জীবন মানে কি,অভিজ্ঞতাদের পরামর্শ অনুযায়ী

জীবন মানে কি ? জীবনের অর্থ কি , জীবনের সার্থকতা কোথায় ? মার্কিন কবি রবার্ট ফ্রস্ট বলেছিলেন, জীবনের সারমর্ম তিনি মাত্র তিনটা শব্দে প্রকাশ করতে পারেন, ‘জীবন চলেই যায়।’

 


আর আইনস্টাইন বলেছেন, ‘জীবন হলো একটা বাইসাইকেলের মতো, তুমি যদি পড়ে যেতে না চাও, তোমাকে এটা চালিয়ে যেতে হবে।’ আবাত কারও মতে, জীবন মানে একটি সমাধান প্রত্যাশী অংক।সবাই সমাধান এর জন্য সমীকরণ মেলানোর চেষ্টা করে।কেউ সহজ ভাবে কেউবা কঠিন ভাবে।


  জীবন মানে কি ?


জীবন মানে হল কিছু সময়ের সমষ্টি মাত্র যেটা অনেকটা সাইন তরঙ্গের মতো যেখানে উত্তান-পতন, সুখ-দুঃখ, আনন্দ -বেদনা পর্যায়ক্রমে আসতেই থাকে।



জীবন মানে শুধু সফলতা নয়, জীবন মানে প্রাপ্ত জিনিস নিয়ে সন্তুষ্টির হাসি হাসতে পারার এক নাটক।যেটা আবার সবাই পারে না।


জীবন মানে কখনো সংগ্রাম, ত্যাগ, ভালবাসা ,বিনয়, প্রতিযোগিতা, হাসি-খুশি, দুঃখ, লাঞ্চনা, বঞ্চনা ইত্যাদি।

জীবনের অর্থ হল বেঁচে থাকা যে কোন উপায়ে হোন না কেন।


জীবনের সার্থকতা হল এমন কিছু করে যাওয়া মানে ভাল কাজ । যার জন্য কিয়ামত পর্যন্ত অগণিত সওয়াব পাওয়া যাবে (সদকায়ে জারিয়া)



বলে রাখা ভাল শুধু টাকা-পয়সা খরচ করেই সদকা করা যায় এমন না !

আপনার ও আমার প্রতিটি ভাল কাজই একটা সদকা।



জীবন হল এক অলিখিত যুদ্ধ যেখানে আবেগের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে সর্বোচ্চ দিয়ে মেলে ধরতে হয়, অন্যথায় আপনি হেরে যাবেন। যেহেতু যুদ্ধে জয়ীদেরই ইতিহাস মনে রাখে,সো,আপনি যদি এ-ই জীবন যুদ্ধে হেরে যান তাহলে আপনি হতাশার স্তূপে নিমজ্জিত হবেন।




… জীবনের সার্থকতা আসলে সেই সমীকরণ টা মেলানোর মধ্যেই নিহীত।ব্যাক্তি ও মানষিকতা অনুযায়ী সমীকরণ ভিন্ন।তাই সার্থকতার ধরনও ভিন্ন। যেমনঃ একজন উঠতি বয়সের যুবক মনে করতে পারে, ইস!! পাশের গ্রামের সুন্দরি মেয়েটাকে যদি বিয়ে করতে পারতাম তাহলে জীবন সার্থক হত।

 

আবার অনেকের ক্ষেত্রে কিন্তু এটা না।এটাতে জীবনের সার্থকতা খুঁজে পাই না। অনেকের কাছে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা কোন ক্ষুধার্ত ব্যাক্তিকে খাবার খাওয়ানোর মধ্যেই সার্থকতা। আবার অনেকের কাছে তা মূল্যহীন।এগুলা গেল জীবনের সংক্ষিপ্ত সমীকরণ। …


এবার দীর্ঘ সমীকরণটা দেখুন। হিটলার,মৃত্যুবরণ করার পরেও তার স্থান অধিকাংশ মানুষের মনেই আছে।ঘৃনার সাথে হলেও তাকে সবাই স্মরন করে কারন সে পেশিশক্তি দিয়ে বিশ্ব করার জন্য কাজ করেছিল। মহাত্মা গান্ধী, তার স্থানও মানুষের মনে।কারন ভালবাসা দিয়ে বিশ্ব জয় করার কাজ করেছিল।এরকম আরও অনেক উদাহরণই তো দেওয়া যায়।খুব ভাল ও খুব খারাপ কাজ দ্বারা মানুষের মনে স্থান করে নেওয়া যায়। পোকামাকড়ের মত জীবন কোনো জীবন না।

 



জীবন তো একটাই। জীবনটা সুন্দর যদি এটাকে ভালোভাবে উপভোগ করা যায়। জীবন মানে যুদ্ধ। জীবন মানে বেঁচে থাকার লড়াই। জীবন মানে যন্ত্রণাকে আপন করে নিয়ে সম্মুখে এগিয়ে চলার লড়াই। জীবন মানে – যুদ্ধ !!! মাতৃগর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত, প্রতিটি জীবকেই যুদ্ধ করেই পৃথিবীতে টিকে থাকতে হয় ।

 

 


কিন্তু কিছু অপূর্ণতা ও মনের মতো না হওয়ায় জীবন প্যারাময় হতে পারে। এজন্য সবকিছুর সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়াই উত্তম।




খাওয়া দাওয়া করলাম,বিয়ে করলাম, সন্তান জন্ম দিলাম তারপর একদিন মরে গেলাম। জীবনে বেচে থাকতে এমন কিছু করা উচিৎ যাতে করে আমরা পৃথিবী ত্যাগ করেও স্থান করে নিতে পারি প্রতিটা মানুষের হৃদয়ে।তাহলেই তো বোঝা যাবে যে আমার জীবন সার্থক। তবে এই স্থান করে নেওয়া হোক “খুব ভাল করে কোন ভাল কাজ” করার মধ্য দিয়ে।হোক না সমীকরণটা দীর্ঘ ও জটিল তাতে কি!! জীবনের সার্থকতা তো সেখানেই।

(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)