ঠান্ডা পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা , গরম পানিতে লেবু খেলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, ক্ষুধামন্দা, বমিসহ অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়। মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং গবেষণায় দেখা গেছে, আমরা যখন ঘুম থেকে জেগে উঠি, তখন আমাদের দেহের টক্সিন থেকে পরিত্রাণ পেতে এবং সেইসাথে আমাদের কোষগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য হাইড্রেশন প্রয়োজন হয়ে থাকে।
ঠান্ডা পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা
লেবুতে আছে পলিফেনলস্ যা ক্ষুধা নিবারণে সাহায্য করে। এছাড়া খাওয়ার আগে পানি পান করলেও ক্ষুধা কিছুটা কম লাগে। সকালে উঠে যদি আপনার কমলার জুস পানের অভ্যাস থাকে, তাহলে অভ্যাসটি বদলে লেবু পানি পানের চেষ্টা করুন।মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং কারণ কমলার জুসে ক্যালরি থাকে যাতে আপনার ওজন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৮-১২ আউন্স নরমাল বা ঠাণ্ডা পানিতে পুরো একটি লেবুর রস মিশিয়ে নিন। তবে ওজন কমানোর জন্য ঠাণ্ডা লেবুর পানিই বেশি কার্যকরী।
টক জাতীয় যেকোনো ফল, যেমন- লেবুতে আছে ভিটামিন সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও লেবুতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যার প্রভাবে শরীরে কোনো রোগ জীবাণু সহজে বাসা বাঁধতে পারে না। মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং তাই যেকোনো ধরনের ইনফেকশন বা অসুস্থতা এড়াতে লেবুর কোনো বিকল্প নেই। আর লেবুর খোসায় আছে ক্যালসিয়াম, পেকটিন, ফাইবার ও বিভিন্ন খনিজ পদার্থ যা বিভিন্ন রোগের নিরাময়ে সাহায্য করে।
ত্বক ভালো রাখে
ভিটামিন সি শরীরের কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে। এছাড়া ত্বক উজ্জ্বল ও টানটান রাখতে ভূমিকা রাখে লেবুতে থাকা উপকারী কিছু উপাদান।
৪। হজমে সাহায্য করে
সকালে খালি পেটে এক গ্লাস লেবু-পানি পান করলে হজমশক্তি বাড়ে। ২০১৯ সালে করা একটি সমীক্ষা বলছে, লেবু-পানি পলিফেনল সমৃদ্ধ পানীয় যা অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখে। এছাড়া অন্ত্রে বয়স-সম্পর্কিত পরিবর্তনগুলোকে বিলম্বিত করে।
৫। কিডনিতে পাথর প্রতিরোধে সাহায্য করে
লেবুর রসে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ক্যালসিয়াম অক্সালেট তৈরি করে। এটি কিডনিতে পাথর প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া পানির অতিরিক্ত তরল হাইড্রেশন বজায় রাখতে এবং সম্ভাব্য পাথর দূর করতে সাহায্য করে।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)