ডিলেনটিন ঔষধ খাওয়ার নিয়ম,মেডিসিন ও স্বাস্থ্য টিপস

ডিলেনটিন ঔষধ খাওয়ার নিয়ম , ১ বছরের আগে বাচ্চাকে কৃমির ঔষধ দেয়া যাবে না। কিন্তু ১ বছর হয়ে গেলে নিয়মিত ৬ মাস অন্তর অন্তর বাচ্চাকে কৃমির ঔষধ অবশ্যই দিবেন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং একবার ঔষধ খাওয়ানোর ৭-১০ দিন পর পুনরায় প্রাথমিক ডোজ দিতে হবে। কৃমির ঔষধ কৃমিকে মেরে ফেলে কিন্তু কৃমির ডিম এবং লার্ভা মারতে পারে না।

ডিলেনটিন ঔষধ খাওয়ার নিয়ম




Delentin ট্যাবলেট প্রাপ্তবয়স্ক ও ২ বৎসরের উপরের বাচ্চা :এন্টারোবিয়াস ভার্মিকিউলারিস, ট্রাইচুরিস ট্রাইচুরিয়া,এসকারিস ল্যাব্রিকয়েডস, এনসাইলোস্টোমা ডিওডেনালে এবং নেকাটার এমেরিক্যানাস দ্বারা সৃষ্ট ইনফেস্টেশন এর ক্ষেত্রে ৪০০ মিঃগ্রাঃ (১ টি ট্যাবলেট বা ১০ মিঃলিঃ সাস্পেনশন) এর একক মাত্রা।

স্ট্রংগাইলোয়ডিয়াসিস বা টেনিয়াসিস এর ক্ষেত্রে দৈনিক ৪০০ মিঃগ্রাঃ (১ টি ট্যাবলেট বা ১০ মিঃলিঃ সাস্পেনশন) করে পরপর ৩ দিন।বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং  ৩ সপ্তাহের মধ্যে যদি নিরাময় না হয় তবে দ্বিতীয়বার একই চিকিৎসা নিতে হবে।

১-২ বৎসরের বাচ্চা: ২০০ মিঃগ্রাঃ (৫ মিঃলিঃ সাস্পেনশন) এর একক মাত্রা।

১ বৎসরের নীচের বাচ্চা: অনুমোদিত নয় ।

হাইডাটিড ডিজিজ (একিনোকক্কোসিস):দৈহিক ওজন ৬০ কেজির বেশি হলে ৪০০ মিঃগ্রাঃ (খাবারের সাথে) করে দিনে ২ বার ২৮ দিন।



খাবারের সঙ্গে কৃমির সম্পর্ক



বেশি মিষ্টি, কলা কিংবা মাছ খাওয়ালে পেটে কৃমি হয় এ রকম একটা ধারণার কথা মাঝে মাঝে শোনা যায়। স্থানভেদে আরো কিছু খাবারের নামও অনেকে বলেন।বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং  প্রকৃতপক্ষে কৃমি সংক্রমণ ঘটে মল থেকে। কৃমির ডিম বা লার্ভা মানুষের মলের সঙ্গে বের হয়।

পরে হাত ঠিকমতো না ধুলে নখের মধ্যে, আঙুলের খাঁজে লেগে থাকা অবস্থায় অথবা অপরিষ্কার শাকসবজি, ফল ইত্যাদির মাধ্যমে কৃমির ডিম মুখে প্রবেশ করে।বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং  তবে অপরিচ্ছন্ন খাবারের সঙ্গে কৃমির সম্পর্ক আছে।

যেমন- বাজারের খোলা চকোলেট, লজেন্স বা মিষ্টি ইত্যাদি না ঢেকে রাখা খাবার। এসব খাবারে মাছি বসে, আর এভাবে খোলা অপরিচ্ছন্ন খাবারের সঙ্গে কৃমির ডিম বা লার্ভা দেহে প্রবেশ করে।


আজকাল দুই বছরের কম বয়সী শিশুদেরও কৃমির ওষুধ খাওয়ানো যায়, কিন্তু তার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং শিশু সুতাকৃমি বাদে অন্য কৃমিতে আক্রান্ত হলে মেবেনডাজল ১০০ মিলিগ্রামের একটি বড়ি ১২ ঘণ্টা পরপর তিন দিন বা অ্যালবেনডাজল ৪০০ মিলিগ্রামের একটি বড়ি বা পিপেরাজিন ৪ গ্রামের একটি বড়ি খাওয়াতে হবে।

সুতাকৃমি হলে মেবেনডাজল ১০০ মিলিগ্রামের বা অ্যালবেনডাজল ৪০ মিলিগ্রামের বা পিপেরাজিন ৪ গ্রামের একটি বড়ি খাওয়াতে হবে।

(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)