তাহাজ্জত নামাজ হলো মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের কাছে সর্বোত্তম ইবাদত, তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বলা হয় এই নামাজ আল্লাহর কাছে মনের কথা বলার সর্ব উত্তম মাধ্যম
ফরজ নামাজ ব্যতীত সবথেকে উত্তম নামাজ হলো এই তাহাজ্জুদের নামাজ
তখন তিনি সূরা আল ইমরান এর শেষ আয়াত পড়তেন এই আয়াতের ফজিলতের অনেক গুরুত্ব
হে আমার প্রতিপালক, হে আমার রব ,হে আমার আল্লাহ, এই পৃথিবীতে কিছুই তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি, পবিত্রতা তোমারই জন্য, ওই জাহান্নামের শাস্তি হতে আমাদেরকে বাঁচাও, হে আমাদের প্রতিপালক, তুমি যাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করো তাকে তুমি অপমানিত করো, জালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই , হে আমাদের রব আমরা ঈমান এনেছি একজনের আহব্বান শুনে, হে আমাদের পালনকর্তা তুমি আমাদের সকল গুনাহ মাফ করে দাও আমাদের সকল দোষ ত্রুটি গুনা দূর করে দাও আর ভালোর সঙ্গে আমাদের মৃত্যু দাও
তাহাজ্জত নামাজ হলো আল্লাহর কাছে মনের কথা বলার সর্ব উত্তম মাধ্যম
তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত
দুনিয়ার ক্ষেত্রে যেমন আমরা কারণ নিকটবর্তী হাজির হওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাই কখন তার সানিদ্য লাভ করব সে আশাই তার কাছ থেকে সময় নিয়ে সে জে সময় দেখা করতে বলে তার ২ মিনিট আগে তার কাছে গিয়ে উপস্থিত হয় ঠিক তেমনিভাবে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তার বান্দাদের উদ্দেশ্য করে সকল কিছু বলে দিয়েছেন আমি তোমাদের রব আমি তোমাদের কাছে আসি শেষ রাতে তখন যদি কোন বান্দা আমার কাছে কিছু চাই আমি তাকে তাই দিয়ে থাকি এজন্য মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের কাছে কোন সমস্যার কথা জানাতে গেলে শেষ রাতে তাহাজ্জোতের মাধ্যমে কার কাছে আমরা আমাদের মনের ব্যথা জানাতে পারি
তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তাঁর বান্দাদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন এ ফরজ নামাজের পরে যদি কোন নামাজ আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয় হয়ে থাকে তবে সে নামাজ হলো তাহাজ্জুতের নামাজ এ নামাযের গুরুত্ব এবং ফজিলত সাধারণ নামাজের তুলনায় অনেক গুণ বেশি কারণ নীরবে নিস্তব্ধ যখন সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে তখন মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামিন কে ঢাকার একটা সুযোগ এজন্য এই নামাজের গুরুত্ব অনেক
দুনিয়ার ক্ষেত্রে যদি উদাহরণ হিসেবে বলতে চাই যদি কোন শ্রমিক তার মালিকের কাজ করার সময় নির্দিষ্ট সময়ের পরেও কিছু অতিরিক্ত সময় কাজ করে থাকে তখন মালিক তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যায় ঠিক তেমনিভাবে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আমাদেরকে সরাসরি আছেন তার পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরেও যদি কোন বান্দা অতিরিক্ত কোন নামাজ আদায় করে আর সেটা যদি হয় তাহাজ্জুতের নামাজ তাহলে আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের কাছে এর থেকে অধিক প্রিয় নামাজ কাজ এবং ওই বান্দার চেয়েও আর কেউ হতে পারে না
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতদেরকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে এই নামাজের ফজিলত সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন,
উঠতে পারতেন না এক ভাই, ফজরের নামাজের সময় তার আফসোস অনেক ছিল , সে অনেক আফসোস করতেন কিন্তু কোনোভাবেই মেয়েটির ভালো ফল হচ্ছিল না, তখন তাকে বলা হল তোমার ফজরের নামাজের সময় ওঠার দরকার নাই তুমি মাত্র পাঁচ মিনিটের জন্য রাত্রে উঠে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করো তবে সে একদিন এভাবে কষ্ট করে ওঠে তাহাজ্বতের নামাজ আদায় করল সে দেখল তার মনের ভিতর এক প্রশান্তি তারপরের দিন কষ্ট করে আবার সে উঠে মাত্র দুই রাকাত নামাজ পড়ে আবার ঘুমিয়ে গেল, কিন্তু এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পরে তার আর কোন সমস্যা হয়নি এই তাহাজ্জত নামাজ পড়তে এবং ফজরের নামাজ আদায় করতে
তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত
তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বয়ান
আরেক ভাই সে বহুদিন ধরেই অসুস্থ, তার বড় কোনো রোগ না কিন্তু একটার পরে একটা ছোট রোগ লেগেই থাকে, তবে সে এক আলেমের কাছে পরামর্শ চাইলে ঐ আলেম তাকে পরামর্শ দেয় তুমি তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করো দেখবে তোমার এই সমস্যাগুলো দূর হয়ে যাবে কিন্তু সে জবাবে বলল আমার তো এই নামাজের কোন অভ্যাস নাই আলেম বললেন প্রথম দিন একটু কষ্ট করে এই নামায আদায় করো ওই ব্যক্তি প্রথম দিন অনেক কষ্ট করে এই নামায আদায় করল দ্বিতীয় দিন করলো তৃতীয় দিন করলো এভাবে কিছুদিন করার পরে তার শরীর যে রোগাক্রান্ত হত এ থেকে সে মুক্তি পেল এবং মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিনের কাছে শেষ শুকরিয়া আদায় করল অর্থাৎ তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ফজিলত অনেক উপরে
মহান রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদের সকল প্রতিকূল অবস্থা কে অনুকূলে আনার জন্য সর্বদা শেষ রাতে তার বান্দাদের ডাকতে থাকেন
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন কোন প্রার্থনাকারী কি আছে, আমার কাছেই চাইবে আমি তার সকল চাওয়া পূর্ণ করব এমন কেউ আছে কি যে অসুস্থতার জন্য মুক্তি চাইবে আমি তাকে সুস্থতা দান করব আর এমন কেউ কি আছে যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করবো (সহীহুল বুখারী)
তাহাজ্জুদ নামাজের সময়
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাজ্জুতের নামাজের জন্য শেষ রাতে যখন উঠতেন তখন তাহাজ্জুদ নামাজের সময় আরম্ভ হত
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন আল্লাহ তায়ালা খুশি হন তিন ব্যক্তির উপর প্রথম, যদি কোন ব্যক্তি তাহাজ্জত নামাজের জন্য ওঠে এবং নামাজ পড়ে দুই, যারা নামাজের জন্য কাতারে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়ায় ৩, যারা মুজাহিদ আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করার জন্য সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়ায় । (বুখারী ও মুসলিম)
তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে মিশকাতুল মাসাবিঃ গ্রন্থকারের উল্লেখ আছে হযরত জাবের রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি উল্লেখ করেছেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন রাতের মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত আছে কোনো মুসলমান যদি তা লাভ করে এবং আল্লাহর কাছে ও পরকালে কল্যাণ চাই নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তাদের আশা পূর্ণ করেন। (বুখারী ও মুসলিম)