তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত।কোরআন হাদিসের আলোকে

তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত
তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত

তাহাজ্জত নামাজের গুণাবলী এবং এর ফজিলত, তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত ,সে সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে কোরআন ও হাদিসের আলোকে

রাত্রের কিছু অংশ তোমরা তাহাজ্জত নামাজ কায়েম করার জন্য প্রস্তুত হও , এটা তোমাদের জন্য একটি অতিরিক্ত কর্তব্য আশা করা যায়, তোমার রব তোমাকে প্রতিষ্ঠা করবেন প্রশংসিত স্থানে
(সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত নাম্বার ৭৯)

তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত

মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনুল কারিমে আরো এক আয়াতে তাহাজ্জুতের নামাজ সম্পর্কে বলেন, তারা তাদের বিছানা ত্যাগ করে আকাঙ্ক্ষা ও আশংকার সাথে, তাদের রব কে ডাকে এবং আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি সেই রিজিক হতে তারা দান করে
(সূরা সিজদা আয়াত নম্বর ১৬)

তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত।কোরআনে কি বলে

মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন তার পবিত্র কোরআনের বাণী তে সুনির্দিষ্টভাবে এই নামাজের কথা উল্লেখ করেছেন অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মত দের জন্য এই নামাজ এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি যখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়নি তখনো এই নফল ইবাদতের প্রথা চালু ছিল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিনিয়ত এই সালাত আদায় করেছেন

হযরত ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বর্ণনা করেছেন আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে একরাতে নামাজে দাড়িয়ে ছিলাম, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম এত সময় দীর্ঘ করে এই নামায আদায় করলেন যে শেষপর্যন্ত আমি একটা মন খারাপ কাজের নিয়ত করে ফেলেছিলাম, হযরত ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু কে জিজ্ঞেস করা হলো তিনি কেন খারাপ কাজের ইচ্ছা পোষণ করলেন তখন তিনি বললেন আমার ইচ্ছা হয়েছিল যে, তাকে ছেড়ে দিয়ে আমি বসে পড়ি (সহি বুখারী১১৩৫)

মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন তাঁর বান্দাদের জন্য নেয়ামত স্বরূপ এই নামাজ দিয়েছেন
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম ৮ রাকাত ১২ রাকাত থেকে বিশ রাকাত পর্যন্ত পড়েছেন, দুই রাকাত করে চার রাকাত আদায় করছেন, তবে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশিরভাগ সময়ই ৮ রাকাত আদায় করতেন

আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই নামাজকে শ্রেষ্ঠ নফল ইবাদত হিসেবে অভিহিত করেছেন আবার অতিরিক্ত সুন্নত নামাজ ও বলা হয় হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই নামাজ কে সর্বোচ্চ তাগিদ দিয়ে পড়তে বলেছেন

তাহাজ্জত নামাজ হলো এমন এক সময়ে পড়তে বলা হয়েছে নিরবে নির্ঘুম ভাবে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামিন কে স্মরণ করা যায়

• তাহাজ্জুত নামাজের নির্দিষ্ট কোন রাকাত নাই

• তাহাজ্জুদ নামাজ প্রথমে দুই রাকাত পড়া উত্তম

• তাহাজ্বতের নামাজ দুই রাকাত করে চার রাকাত ৬ রাকাত ৮ রাকাত
এভাবে বিশ রাকাত পর্যন্ত পড়া উত্তম

• সাহাবায়ে কেরাম রা বেশি বেশি এই নামায পড়তেন

• প্রাথমিক পর্যায়ে দুই রাকাত করে শুরু করা ভালো

• নিয়তের ক্ষেত্রে সুন্নত অথবা নফলের ও নিয়ত করতে পারেন

• অর্থাৎ আপনার যেভাবে সুবিধা হয় সেই ভাবে পড়তে পারেন

তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত।কোরআনে কি বলে (1)

হাদিস শরীফ

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন যখন তোমাদের কেউ রাতে উঠবে এবং কোরআন তেলাওয়াত করবে কিন্তু বুঝতে পারবে না যে, সে কি পড়ছে , তখন সে যেন ঘুমিয়ে যায়

অর্থাৎ কোরআন তেলাওয়াত এবং এই তাহাজ্জত নামাজের ক্ষেত্রে যখন শরীর সুস্থ থাকবে তখন বেশি বেশি করে এই নামাজ পড়া কিন্তু যখন শরীর অসুস্থ থাকবে তখন নিয়মমাফিক অনুযায়ী বেশি না আদায় করতে পারলেও মাত্র দুই রাকাত করে পড়লে হবে এবং পরবর্তীতে যেন সে ঘুমিয়ে যায় কারণ শরীর সুস্থ রাখতে হবে এটাই আল্লাহতালার কাছে বড় নিয়ামত

 

হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন যে, এক দা রাত্রে, প্রিয় নবী, ফাতেমার বাড়িতে আগমন করলেন এবং তিনি হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এবং ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা কে জিজ্ঞেস করলেন তোমরা কি তাহাজ্বতের নামাজ পড় না? ( সহীহুল বুখারী১১২৭)

হযরত ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বর্ণনা করেছেন আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে একরাতে নামাজে দাড়িয়ে ছিলাম, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম এত সময় দীর্ঘ করে এই নামায আদায় করলেন যে শেষপর্যন্ত আমি একটা মন খারাপ কাজের নিয়ত করে ফেলেছিলাম, হযরত ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু কে জিজ্ঞেস করা হলো তিনি কেন খারাপ কাজের ইচ্ছা পোষণ করলেন তখন তিনি বললেন আমার ইচ্ছা হয়েছিল যে, তাকে ছেড়ে দিয়ে আমি বসে পড়ি (সহি বুখারী১১৩৫)

তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত

হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন যে, এক দা রাত্রে, প্রিয় নবী, ফাতেমার বাড়িতে আগমন করলেন এবং তিনি হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এবং ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা কে জিজ্ঞেস করলেন তোমরা কি তাহাজ্বতের নামাজ পড় না? ( সহীহুল বুখারী১১২৭)

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন আল্লাহ তাআলা সেই ব্যক্তির উপর দয়া করে যে রাতে উঠে নামাজ আদায় করে এবং তার স্ত্রীকেও জাগায় তার স্ত্রী যদি না উঠতে চাই ঘুম থেকে তাহলে তার চোখে পানি মেরে তাকে ঘুম থেকে উঠাই ঠিক তেমনিভাবে কোন মহিলা যদি প্রতিরাতে উঠে নামাজ আদায় করে এবং তার স্বামীকে জায়গায় তার স্বামী যদি না উঠতে চাই তাহলে তার মুখে পানির ছিটা মারে (আবু দাউদ ১৩০৮)

হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি দৈনিক যথানিয়মে তাহাজ্জতের নামাজ আদায় করতে না পেরে ঘুমিয়ে পড়ে অতঃপর সে যদি ফজর ও যোহরের মধ্যবর্তী সময়ে তা পড়ে নেই, তাহলে তার জন্য এই নামাজের ফজিলত এমনভাবে লিপিবদ্ধ করা হবে সে জেন ওই রাতেই নামাজ পড়েছে (আবু দাউদ১৩১৩)

রাবি রাযিআল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন দৈহিক ব্যথা-বেদনা শরীর অসুস্থ হলে আল্লাহ তা’আলা যদি তাহাজ্বতের নামাজ ছুটে যেত তাহলে তিনি ১২ রাকাত নামাজ দিনের বেলায় আদায় করে নিতেন
(আবু দাউদ ১৩২৪)

হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের বন্ধু হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে যখন তাহাজ্জত নামাজের জন্য ওঠেন তখন দু’রাকাত সংক্ষিপ্ত নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আরম্ভ করতেন (মুসলিম ৭৬৭)

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন যখন তোমাদের মধ্যে কেউ রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার জন্য উঠবে সে যেন হাল্কা ভাবে দুই রাকাত নামাজ পড়ার মাধ্যমে শুরু করে
(মুসলিম ৭৬৮)

তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত।কোরআনে কি বলে তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত।কোরআনে কি বলে

হযরত জাবের রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন আল্লাহর নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছ থেকে আমি শুনেছি যে, রাত্রিকালে এমন একটি সময় আছে কোন মুসলিম ব্যক্তি
তাপে এই দুনিয়া ও আখেরাত বিষয়ক যেকোন উত্তম জিনিস প্রার্থনা করলে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন অবশ্যই তাকে তা দিয়ে থাকেন ওই সময়টা প্রত্যেকদিন রাতে চলে আসে
(মুসলিম ৭৫৭)

মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন তাঁর বান্দাদের জন্য নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন এই নামাজ বাদে সবথেকে উত্তম নামাজ হলো তাহাজ্বতের নামাজ

তাহাজ্বতের নামাজ সাধারণত দুই রাকাত করে পড়তে হয়

দুই দুই রাকাত করে ২০ রাকাত পর্যন্ত আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম আদায় করতেন, আপনার যদি শরীর সুস্থ থাকে তাহলে আপনি ২০ রাকাত পড়তে পারবেন, আর যদি শরীর অসুস্থ থাকে তবুও নিয়মিতভাবে কমপক্ষে দুই রাকাত আদায় করা উত্তম

মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তাহাজ্জত নামাজের গুণাবলী এবং এর ফজিলত, তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত,সে সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে কোরআন ও হাদিসের আলোকে

রাত্রের কিছু অংশ তোমরা তাহাজ্জত নামাজ কায়েম করার জন্য প্রস্তুত হও , এটা তোমাদের জন্য একটি অতিরিক্ত কর্তব্য আশা করা যায়, তোমার রব তোমাকে প্রতিষ্ঠা করবেন প্রশংসিত স্থানে
(সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত নাম্বার ৭৯)

 

মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনুল কারিমে আরো এক আয়াতে তাহাজ্জুতের নামাজ সম্পর্কে বলেন, তারা তাদের বিছানা ত্যাগ করে আকাঙ্ক্ষা ও আশংকার সাথে, তাদের রব কে ডাকে এবং আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি সেই রিজিক হতে তারা দান করে
(সূরা সিজদা আয়াত নম্বর ১৬)

তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত।কোরআনে কি বলে তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত।কোরআনে কি বলে

মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন তার পবিত্র কোরআনের বাণী তে সুনির্দিষ্টভাবে এই নামাজের কথা উল্লেখ করেছেন অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মত দের জন্য এই নামাজ এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি যখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়নি তখনো এই নফল ইবাদতের প্রথা চালু ছিল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিনিয়ত এই সালাত আদায় করেছেন

তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত

হযরত ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বর্ণনা করেছেন আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে একরাতে নামাজে দাড়িয়ে ছিলাম, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম এত সময় দীর্ঘ করে এই নামায আদায় করলেন যে শেষপর্যন্ত আমি একটা মন খারাপ কাজের নিয়ত করে ফেলেছিলাম, হযরত ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু কে জিজ্ঞেস করা হলো তিনি কেন খারাপ কাজের ইচ্ছা পোষণ করলেন তখন তিনি বললেন আমার ইচ্ছা হয়েছিল যে, তাকে ছেড়ে দিয়ে আমি বসে পড়ি (সহি বুখারী১১৩৫)

মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন তাঁর বান্দাদের জন্য নেয়ামত স্বরূপ এই নামাজ দিয়েছেন
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম ৮ রাকাত ১২ রাকাত থেকে বিশ রাকাত পর্যন্ত পড়েছেন, দুই রাকাত করে চার রাকাত আদায় করছেন, তবে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশিরভাগ সময়ই ৮ রাকাত আদায় করতেন

আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই নামাজকে শ্রেষ্ঠ নফল ইবাদত হিসেবে অভিহিত করেছেন আবার অতিরিক্ত সুন্নত নামাজ ও বলা হয় হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই নামাজ কে সর্বোচ্চ তাগিদ দিয়ে পড়তে বলেছেন

তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত

তাহাজ্জত নামাজ হলো এমন এক সময়ে পড়তে বলা হয়েছে নিরবে নির্ঘুম ভাবে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামিন কে স্মরণ করা যায়

তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত

• তাহাজ্জুত নামাজের নির্দিষ্ট কোন রাকাত নাই

• তাহাজ্জুদ নামাজ প্রথমে দুই রাকাত পড়া উত্তম

• তাহাজ্বতের নামাজ দুই রাকাত করে চার রাকাত ৬ রাকাত ৮ রাকাত
এভাবে বিশ রাকাত পর্যন্ত পড়া উত্তম

• সাহাবায়ে কেরাম রা বেশি বেশি এই নামায পড়তেন

• প্রাথমিক পর্যায়ে দুই রাকাত করে শুরু করা ভালো

• নিয়তের ক্ষেত্রে সুন্নত অথবা নফলের ও নিয়ত করতে পারেন

• অর্থাৎ আপনার যেভাবে সুবিধা হয় সেই ভাবে পড়তে পারেন

তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত। তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত।কোরআনে কি বলে (1)

হাদিস শরীফ

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন যখন তোমাদের কেউ রাতে উঠবে এবং কোরআন তেলাওয়াত করবে কিন্তু বুঝতে পারবে না যে, সে কি পড়ছে , তখন সে যেন ঘুমিয়ে যায়

অর্থাৎ কোরআন তেলাওয়াত এবং এই তাহাজ্জত নামাজের ক্ষেত্রে যখন শরীর সুস্থ থাকবে তখন বেশি বেশি করে এই নামাজ পড়া কিন্তু যখন শরীর অসুস্থ থাকবে তখন নিয়মমাফিক অনুযায়ী বেশি না আদায় করতে পারলেও মাত্র দুই রাকাত করে পড়লে হবে এবং পরবর্তীতে যেন সে ঘুমিয়ে যায় কারণ শরীর সুস্থ রাখতে হবে এটাই আল্লাহতালার কাছে বড় নিয়ামত

 

হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন যে, এক দা রাত্রে, প্রিয় নবী, ফাতেমার বাড়িতে আগমন করলেন এবং তিনি হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এবং ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা কে জিজ্ঞেস করলেন তোমরা কি তাহাজ্বতের নামাজ পড় না? ( সহীহুল বুখারী১১২৭)

হযরত ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বর্ণনা করেছেন আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে একরাতে নামাজে দাড়িয়ে ছিলাম, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম এত সময় দীর্ঘ করে এই নামায আদায় করলেন যে শেষপর্যন্ত আমি একটা মন খারাপ কাজের নিয়ত করে ফেলেছিলাম, হযরত ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু কে জিজ্ঞেস করা হলো তিনি কেন খারাপ কাজের ইচ্ছা পোষণ করলেন তখন তিনি বললেন আমার ইচ্ছা হয়েছিল যে, তাকে ছেড়ে দিয়ে আমি বসে পড়ি (সহি বুখারী১১৩৫)

হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন যে, এক দা রাত্রে, প্রিয় নবী, ফাতেমার বাড়িতে আগমন করলেন এবং তিনি হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এবং ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা কে জিজ্ঞেস করলেন তোমরা কি তাহাজ্বতের নামাজ পড় না? ( সহীহুল বুখারী১১২৭)

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন আল্লাহ তাআলা সেই ব্যক্তির উপর দয়া করে যে রাতে উঠে নামাজ আদায় করে এবং তার স্ত্রীকেও জাগায় তার স্ত্রী যদি না উঠতে চাই ঘুম থেকে তাহলে তার চোখে পানি মেরে তাকে ঘুম থেকে উঠাই ঠিক তেমনিভাবে কোন মহিলা যদি প্রতিরাতে উঠে নামাজ আদায় করে এবং তার স্বামীকে জায়গায় তার স্বামী যদি না উঠতে চাই তাহলে তার মুখে পানির ছিটা মারে (আবু দাউদ ১৩০৮)

তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত

হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি দৈনিক যথানিয়মে তাহাজ্জতের নামাজ আদায় করতে না পেরে ঘুমিয়ে পড়ে অতঃপর সে যদি ফজর ও যোহরের মধ্যবর্তী সময়ে তা পড়ে নেই, তাহলে তার জন্য এই নামাজের ফজিলত এমনভাবে লিপিবদ্ধ করা হবে সে জেন ওই রাতেই নামাজ পড়েছে (আবু দাউদ১৩১৩)

রাবি রাযিআল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন দৈহিক ব্যথা-বেদনা শরীর অসুস্থ হলে আল্লাহ তা’আলা যদি তাহাজ্বতের নামাজ ছুটে যেত তাহলে তিনি ১২ রাকাত নামাজ দিনের বেলায় আদায় করে নিতেন
(আবু দাউদ ১৩২৪)

হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের বন্ধু হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে যখন তাহাজ্জত নামাজের জন্য ওঠেন তখন দু’রাকাত সংক্ষিপ্ত নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আরম্ভ করতেন (মুসলিম ৭৬৭)

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন যখন তোমাদের মধ্যে কেউ রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার জন্য উঠবে সে যেন হাল্কা ভাবে দুই রাকাত নামাজ পড়ার মাধ্যমে শুরু করে
(মুসলিম ৭৬৮)

তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত।কোরআনে কি বলে

হযরত জাবের রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন আল্লাহর নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছ থেকে আমি শুনেছি যে, রাত্রিকালে এমন একটি সময় আছে কোন মুসলিম ব্যক্তি
তাপে এই দুনিয়া ও আখেরাত বিষয়ক যেকোন উত্তম জিনিস প্রার্থনা করলে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন অবশ্যই তাকে তা দিয়ে থাকেন ওই সময়টা প্রত্যেকদিন রাতে চলে আসে
(মুসলিম ৭৫৭)

মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন তাঁর বান্দাদের জন্য নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন এই নামাজ বাদে সবথেকে উত্তম নামাজ হলো তাহাজ্বতের নামাজ

তাহাজ্বতের নামাজ সাধারণত দুই রাকাত করে পড়তে হয়

দুই দুই রাকাত করে ২০ রাকাত পর্যন্ত আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম আদায় করতেন, আপনার যদি শরীর সুস্থ থাকে তাহলে আপনি ২০ রাকাত পড়তে পারবেন, আর যদি শরীর অসুস্থ থাকে তবুও নিয়মিতভাবে কমপক্ষে দুই রাকাত আদায় করা উত্তম