তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল এই প্রশ্নের উত্তরে জানবো, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাহা বলিয়াছেন বা নিজে করিয়াছেন অথবা সাহাবায়ে কেরামদের কে করিতে দেখিয়া নিষেধ করেন নাই তাই হাদিস (হাদিস শরীফ) অর্থাৎ তাই সুন্নাত
তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল
তাজ্জতের নামাজ এটা ফরজ না ওয়াজিব নয়, এজন্য বলা যায় এটা নফল।
এশার নামাজের পর বিতরের নামাজের আগে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া যায় এবং বিতরের নামাজের পরেও তাহাজ্জত নামাজ পড়া যায়।
তবে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের নামাজ কে রাতের শেষ নামাজ হিসাবে পড়তেন তাহাজ্জত নামাজ পড়ে তিনি বিতরের নামাজ ও পড়তেন।
তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল
তবে হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদেশ করেছিলেন হে আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু তুমি ঘুমের আগে বিতরের নামাজ পড়ে নাও হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হয়তোবা সংশয় প্রকাশ করছিলেন, বিতরের নামাজ যদি আগে না পড়া যায়, তাহলে ঘুমের কারণে এটা অনেক সময় ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
(মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বাশার দীপ্ত টিভি)
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেহেতু তাহাজ্জুতের নামাজ পড়েছেন সেহেতু তাহাজ্জুদের নামায সুন্নত,
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাহা বলিয়াছেন বানিজে করিয়াছেন অথবা সাহাবায়ে কেরামদের কে করিতে দেখিয়া নিষেধ করেন নাই তাই হাদিস (হাদিস শরীফ) অর্থাৎ তাই সুন্নাত
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নত হলো দুই প্রকার একটা হল যার উপর বেশি গুরুত্ব আরোপ করেছেন এমন সুন্নাত, আর যা প্রমাণিত হয়েছে এমন সুন্নাত।
আর যেহেতু হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদায় করেছেন সেহেতু এ টি সুন্নাত।
তাহাজ্বতের নামাজ এটা নফল নামাজ বাকি অন্য সকল যত নফল নামাজ আছে তার মধ্যে এটি একটি বিশেষ নফল নামাজ এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ এজন্য হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশি বেশি করে এই তাহাজ্জোতের নামায আদায় করতেন
তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল এর উত্তর
আমরা যদি এভাবে বলি যে তাহাজ্বতের নামাজ কে নফল বলা যাবে আবার সুন্নত বলা যাবে অর্থাৎ আপনি নফল হিসেবেও নিতে পারেন অথবা সুন্নাত হিসেবেও নিতে পারেন
যদি আপনি সুন্নাত হিসেবে নেন তবে এর সঙ্গে অতিরিক্ত যোগ করতে হবে অর্থাৎ সুন্নাতে যায়েদা
অর্থাৎ আপনি সুন্নাতে যায়েদা অতিরিক্ত সুন্নত অথবা নফল নামাজ হিসেবেও পড়তে পারেন কোন সমস্যা নাই
(মুফতি সাহেব, নিউজ টুয়েন্টিফোর)
হযরত সালামা ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত তিনি বলেন হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু কে জিজ্ঞাসা করেন যে রমজানে নবী হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নামাজ কেমন হতো হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু উত্তরে বললেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানে এবং রমজানের বাহিরে 11 রাকাতের বেশি পড়তেন না নামাজ (সহি বুখারি ১/১৫৪)
তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আবী কায়েস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন আমি হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এর কাছে জিজ্ঞাসা করলাম যে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের নামাজ কত রাকাত পড়তেন হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন চার এবং তিন , ছয় এবং তিন,আট এবং তিন,দশএবং তিন, তিনি বিতরের সালাত আদায় করতেন
(আবু দাউদ শরীফ ১/১৯৩)
আবু সালা-মা ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু কে জিজ্ঞেস করেন যে, রমজানে নবীজির সালাত কেমন হতো? উত্তরে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানে এবং রমজানের বাইরে ১১ রাকাতের বেশি পড়তেন না প্রথমে চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে আমাকে জিজ্ঞেস করো না, এরপর তিনি আরও চার রাকাত পড়তেন, তার সৌন্দর্য দীর্ঘতা সম্পর্কে আমাকে জিজ্ঞেস করো না এরপর তিনি তিন রাকাত বিতর পড়তেন ( বুখারী শরীফ ১/১৫৪, হাদিস নাম্বারঃ ১১৪৭, সহিঃ মুসলিম ১/২৫৪, হাদিস নাম্বারঃ ৭৩৮ )
তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যখন তোমাদের কেউ যায় তখন তার গ্রীবাদেশে শয়তান তিনটি করে বেঁধে দেয় প্রত্যেক এই বলে মন্ত্র পড়ে যে তোমার সামনে রয়েছে দীর্ঘ রাত কত একটু ঘুমাও অতএব যদি সে জেগে উঠে আল্লাহর জিকির করে তাহলে একটি ঘাঁট খুলে যায় তারপর যদি অজু করে তবে তার আরেকটি ঘাট খুলে যায় তারপর যদি নামাজ পড়ে তাহলে সমস্ত ঘাট চলে যায় আর তার প্রভাত হয় ভাল মনে নচেৎ সে সকালে উঠে কলুষিত মনে অলসতা নিয়ে (সহীহুল বুখারী ১১৪২)