তাহান নামের অর্থ কি | বাংলা আরবি ইসলামিক অর্থ জানুন, কোন লিঙ্গের ? তানহা নামের সঙ্গে সংযুক্ত নাম সমূহ আমরা আজকে জানব এগুলোর বিস্তারিত
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (র.) হতে বর্ণিত , তিনি বলেন হযরত ওমর (র.) এর কন্যা ছিল , যাকে আছিয়া (পাপিষ্ঠা ) নামে ডাকা হত । হযরত রসুলুল্লাহ (সা.) তার নাম রাখলেন জামিলাহ (সুন্দরী ) । (বুখারি ও মুসলিম ) তাই আসুন আমরা আমাদের সন্তানদের নামের অর্থ জেনে নাম রাখি
নবীকরীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ব্যওি আমার প্রতি দরদ শরীফ পাঠ করতে ভুলে যায় তাহলে স্ফরণ রেখো সে ব্যতওি জান্নাতের পত ভুলেযাবে নবীকরীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন যে ব্যঔি পিতা মাতার অবাথধ্যকারী এবং আমার সুন্নাত ত্যাগকারী এবং আমার নাম শুনে দরুদ শরীফ পাঠ করেনা তারা কিয়ামতের ময়দানে আমার সাথে সাষ্ফাং লাভ করতে পারবে না
তাহান নামের অর্থ কি | বাংলা আরবি ইসলামিক অর্থ জানুন
অপর এক হাদীসে রয়েছে হযরত ওমর রাঃ বলেছেন মুমিনের দোয়ো ততষ্ফণ পযন্ত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতিদরুদ শরীফ পাঠকরেনা হযরত আলী রাঃ হতে বণিত নবী করীম সাল্লাসাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন সেই ব্যওি অধিক কৃপণ যার সন্দুখে আমার নাম উচ্চারিত হয় অথচ সে আমার নাম শুনে দরুদ শরীফ পাঠ করল না
তানহা নাম ইসলামিক কিনা ?
এই নামটি ইসলামিক নাম। এই নাম রাখলে কোন সমস্যা নেই। অতএব কোন ধরনের টেনশন ছাড়া এই নামটা আপনার সন্তানের জন্য রাখতে পারেন।
তানহা নামের বাংলা অর্থ কি ?
বাংলা অর্থ হলো : লক্ষ , রাত্রি । বাংলার ক্ষেত্রেও এই নামটি অনেক চমৎকার।
তাহান নামের বানান হলো – TAHAN, তাহান (طحان) অর্থ হলো দয়ালু
তানহা নামের সঙ্গে সংযুক্ত নাম সমূহ:
তাহান খান
তাহান ইসলাম
তানহা ইভা
তানহা সিদ্দিকা
তানহা ইমু তানহা
শরিফা তানহা স্বর্ণা
তানহা রুপা
তাহানূর ইসলাম
মোহাম্মদ তাহান
তাহান নামের অর্থ টা কি | বাংলা আরবি ইসলামিক অর্থ জানুন
রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ কিয়ামাতের দিন তোমাদেরকে, তোমাদের ও তোমাদের পিতাদের নাম ধরে ডাকা হবে। তাই তোমরা তোমাদের সুন্দর নামকরণ করো।
হজরত আবূ হুরাইরাহ রাদি আল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন , হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ্ তা‘আলার নিরা নব্বই নাম আছে, এক কম একশত নাম । যে ব্যক্তি এ (নাম) গুলোর হিফা যাত করবে সে ঐ জান্নাতে প্রবেশ করবেই । মহান আল্লাহ্ বিজোড়। তিনি বিজোড়ই পছন্দ করেন ।
সহীহ বুখারী ( হাদিসঃ ৬৪১০ )
হযরত জাবির ইবনে সামুরা কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে বলতে শুনেছি, বারজন খলিফা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রান্ত অবস্থায় চলতে থাকবে। তারপর তিনি যে কি বললেন, তা’ আমি বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতার নিকট জিজ্ঞাস করলাম তিনি কি বলেছেন? তিনি বললেন নবি করিম (সা.) বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কোরাইশ বংশোদ্ভুত।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দুরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার ওপর দশবার রহমত বর্ষণ করবেন।
[সহিহ মুসলিমঃ ৪০৮, (হা-এ) ৭৯৮, (ই-ফা) ৭৯৭]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
প্রকৃত কৃপণ সেই ব্যক্তিই , যার কাছে আমি নিজে উল্লিখিত হলাম ( আমার নাম উচ্চারিত হল ) অথচ সে আমার প্রতি দুরুদ পাঠ করল না ।
[ সুনান তিরমিজীঃ ৩৫৪৬ ]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নাম শোনার পর তার উপর দুরুদ না পড়াটা মারাত্মক ব্যাপার ! প্রায় সময়েই আমরা খুব নর্মাল ভাবে আমাদের আলাপে নবী কারিম মুহাম্মদ (সাঃ) এর নাম উল্লেখ করি, অথচ তাঁর নাম উচ্চারণের সাথে সাথে ই , “সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” বলিনা ।
অথবা আমরা দেখি যে অন্য কারো লিখায় বা কথায় রসূলের নাম উল্লেখ করা হচ্ছে, কিন্তু আমরা সেটা পড়ার বা শোনার সাথে সাথে “সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” বলছিনা। এইটুকু বলতে মাত্র কয়েক সেকেন্ডই লাগে, কিন্তু আমাদের খেয়াল থাকে না বলতে। এই বেখেয়ালীপনা করে আমরা অজান্তেই নিজের ক্ষতি ডেকে আনছি না তো?
আমরা কি জানি যে, রসূলুল্লাহ (সাঃ) নাম শুনে যে ব্যক্তি দুরুদ পড়ে না তার জন্য হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম বদদুয়া করেছেন? আর স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সেই দুয়ায় আমীন বলেছেন।
কাব ইবনে উজ রা রাদি আল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, নবী করিম (সাঃ) বলেছেন , ” তোমরা মিম্বরের কাছে একত্রিত হও । আমরা সবায় উপস্থিত হলাম । যখন তিনি মিম্বরের প্রথম ধাপে চড়লেন তখন বললেন, ” হে আল্লাহ কবুল করুন ।” তারপর যখন দ্বিতীয় স্তরে চড়লেন তখনও বললেন , ” হে আল্লাহ কবুল করুন । ” তারপর তৃতীয় স্তরে চড়ে আবারও বললেন, “হে আল্লাহ কবুল করুন।”
নবী করিম (সাঃ) খুতবা শেষে যখন মিম্বর থেকে অবতরণ করলেন মানে নিচে নামলেন , তখন আমরা বললাম, ‘ হে আল্লাহর নবী ! আজ আমরা আপনার থেকে এমন কিছু শুনলাম যা এর পূর্বে আর কখনও শুনিনি ।” তখন তিনি বললেন, ” আমার কাছে জিবরাইল (আঃ) এসে বলল, যে ব্যক্তি রমজান পেয়েও তাকে ক্ষমা করা হলো না- সে বঞ্চিত হোক।
তখন আমি বললাম, হে আল্লাহ কবুল করুন। যখন দ্বিতীয় স্তরে চড়লাম তখন তিনি বললেন, যার কাছে আপনার নাম উল্লেখ করা হলো কিন্তু সে আপনার ওপর দুরুদ পড়ল না- সেও বঞ্চিত হোক। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহ কবুল করুন। যখন তৃতীয় স্তরে চড়লাম, তখন তিনি বললেন, যে পিতা-মাতাকে অথবা তাদের কোনো একজনকে বৃদ্ধাবস্থায় পেয়েও জান্নাতে প্রবেশ করতে পারল না সেও বঞ্চিত হোক । তখন আমি বল লাম , হে আল্লাহ কবুল করুন ।”
[ বা য়হাকিঃ ১৪৬৮]