আরবিতে তোহা নামের অর্থ কি তুহা নামের ইসলামিক অর্থ কি তুহা নামের অর্থ কি ইংরেজিতে তুহা হারামের অর্থ কি এ বিষয়ে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব
তুহা নামটি অনেক জনপ্রিয় বর্তমানে আমাদের সন্তানদের নাম রাখার জন্য আমরা বিভিন্ন তথ্য-পত্র বিশ্লেষণ করে থাকি সেক্ষেত্রে বিভিন্ন উলামায়ে কেরামের মতামত গ্রহণ করি এবং বিস্তারিত জানার জন্য আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন জায়গায় এগুলো জানার চেষ্টা করি
মুসলিম দেশগুলোর মধ্য অনেকেই এই নামের অর্থ এই নামের বিস্তারিত খুব কম লোকই জানে। একমাত্র ওলামায়ে কেরামরা ছাড়া ভালো কোন সঠিক তথ্য আমাদের নাই এজন্য ওলামায়ে কেরামের মতামত অনুযায়ী আজকে আমাদের এই আর্টিকেল সাজানো হয়েছে
তুহা নামের আরবি অর্থ কি নাম কি ইসলামিক ভাবে এগুলো আমরা জানবো সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে মা-বাবা তাদের সন্তানের নাম রাখার জন্য যে চেষ্টা করে থাকে সেই চেষ্টাকে সহজ করার লক্ষ্যে আমাদের এই অগ্রযাত্রা
তুহা নামের ইসলামিক অর্থ কি আরবিতে তোহা নামের অর্থ কি
তুহা নামের অর্থ কি
তুহা নামের অর্থ হচ্ছে অবিরাম চলমান, গতিশীল, এগুলো তোহা নামের একমাত্র বাংলা অর্থ এখন আপনারা আশা করে জানতে পেরেছেন তোয়া নামের অর্থ কি এখন আমরা জেনে নেব তুহা নামের আরবি অর্থ কি এবং আরো বিস্তারিত
তুহা নামের আরবি অর্থ কি
তুহা নামটি এসেছে আরবি ভাষা থেকে এই নামটি সম্পূর্ণ একটি আরবি শব্দ এ কারণেই এ নামের অর্থ আরবিতে রয়েছে তুহা নামের আরবি অর্থ হচ্ছে অবিরাম, চলমান, গতিশীল
তুহা নামের ইসলামিক অর্থ কি
আপনার সন্তানের জন্য যদি আপনি একটি ইসলামিক নাম খুঁজে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই নামটি নিতে পারেন এই নামটি সম্পূর্ণ ইসলামিক ভাবে বলা হয়েছে বিভিন্ন ওলামায়ে কেরামের মতে এই নামটি ইসলামিক নাম রাখার ক্ষেত্রে আমরা উলামায়ে কেরামের সাহায্য নিতে পারি ওলামায়ে কেরামের কাছ থেকে জেনে ছি যে এই নামটি সম্পূর্ণভাবে ইসলামিক যেহেতু এটা আরবি শব্দ থেকে এসেছে এবং এর অর্থ গতিশীল
তোহা নাম দিয়ে আরও কি কি নাম আছে
- তোহা আলী
তোহা মিঞা - তোহা হাসান
- তোহা ইসলাম
- তোহা তালুকদার
- তোহা মাহতাব
- তোহা নাওয়ার
- আব্দুল তোহা
নাম রাখার ক্ষেত্রে ইসলাম কি বলে
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি কথা বলেছেন যে তোমরা যদি সন্তানদের নাম রাখতে পারো ভালো তাহলে কালকে আমাদের ময়দানে সেই নাম অনুপাতেই তাকে রাখা হবে এবং সে অনুপাতে যাদের এরকম ভালো মানুষ থাকবে তাদের সঙ্গেই সে উঠে দাঁড়াবে
এবং মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন ওই নাম ধরে যখন তার কোন সাহাবী বা নবীদেরকে ডাকবেন সেই নামে সবাই উঠে যখন দাঁড়াবে ওই নবীকে যখন বলবে জান্নাতে যেতে তখন ওই নামে যারা আছে সবাই জান্নাতে চলে যাবে এজন্য নামের গুরুত্ব অনেক
একজন সন্তানকে কি শিক্ষা দিতে হবে জন্মভূমি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান দিতে হবে এবং ধর্ম সংক্রান্ত সবকিছু ভালোভাবে জ্ঞান দিতে হবে তাহলে সে একটি পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে উঠবে
তাওহীদ শিক্ষা দেয়া : শিশু যখন কথা বলা আরম্ভ করবে তখন থেকেই আল্লাহর তাওহীদ শিক্ষা দতে হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘
হে বৎস! আমি তোমাকে কয়েকটি বাক্য শিখাতে চাই। তুমি আল্লাহর অধিকারের হেফাযত করবে, আল্লাহও তোমার হেফাযত করবেন। তুমি আল্লাহর অধিকারের হেফাযত করবে, তুমি তাঁকে সর্বদা সামনে পাবে। যখন কোন কিছু চাইবে তখন আল্লাহর কাছেই চাইবে। আর যখন সহযোগিতা চাইবে তখন আল্লাহর কাছেই চাইবে। আর জেনে রাখ! যদি পুরো জাতি যদি তোমার কোন উপকার করার জন্য একতাবদ্ধ হয়, তবে তোমার কোন উপকার করতে সমর্থ হবে না, শুধু ততটুকুই করতে পারবে যতটুকু আল্লাহ তোমার জন্য লিখে রেখেছেন। আর যদি পুরো জাতি যদি তোমার কোন ক্ষতি করার জন্য একতাবদ্ধ হয়, তবে তোমার কোন ক্ষতি করতে সমর্থ হবে না, শুধু ততটুকুই করতে পারবে যতটুকু আল্লাহ তোমার জন্য লিখে রেখেছেন। কলমের লিখা শেষ হয়েছে এবং কাগজসমূহ শুকিয়ে গেছে। [তিরমিযী: ২৫১৬]
কুরআন শিক্ষা দান : ছোট বেলা থেকেই সন্তানকে কুরআন শিক্ষা দিতে হবে। কেননা কুরআন শিক্ষা করা ফরয। আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমরা তোমাদের সন্তানদের তিনটি বিষয় শিক্ষা দাও। তন্মধ্যে রয়েছে তাদেরকে কুরআন তিলাওয়াত শিক্ষা ও কুরআনের জ্ঞান দাও। [জামিউল কাবীর]
কুরআন শিক্ষা দেয়ার চেয়ে উত্তম কাজ আর নেই। উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
‘‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সেই যে নিজে কুরআন শিক্ষা করে ও অপরকে শিক্ষা দেয়।’’ [সহীহ বুখারী:৫০২৭]