তেতুল বিচির উপকারিতা,বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও মেডিসিন টিপস

তেতুল বিচির উপকারিতা , বাংলাদেশে মূলত পাটকল ও কাপড়ের মিলে সুতা রং করার কাজে তেঁতুলের বিচি ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চলতে হবে সুতার রং টেকসই করার কাজে বহুদিন ধরেই এর ব্যবহার হয়ে আসছে। এ ছাড়া মশার কয়েল তৈরির কাজে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার হয় তেঁতুলের বিচি।

তেতুল বিচির উপকারিতা

চিকিৎসার ক্ষেত্রে ইউনানি, আয়ুর্বেদ, হোমিও ও অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ তৈরিতে তেঁতুলের বিচির ব্যবহার আছে। এ ধরনের কাঁচামাল ছাড়াও ঔষধি গুণের জন্য খুবই উপকারী জিনিস এটি।

তেঁতুলে খাদ্যশক্তির পরিমাণ নারিকেল ও খেজুর ছাড়া সব ফলের চেয়ে অনেক বেশি। তেঁতুলে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ সব ফলের চেয়ে ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি আছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান স্বাভাবিক পরিমাণে আছে, এ তেঁতুল যেসব রোগের জন্য উপকারী তা হলো স্কার্ভি রোগ, কোষ্ঠবদ্ধতা, শরীর জ্বালা করা প্রভৃতি রোগে তেঁতুলের শরবত খুব উপকারী।



তেঁতুল রক্তের কোলস্টেরল কমায়, মেদভুঁড়ি কমায় ও পেটে গ্যাস হলে তেঁতুলের শরবত খেলে ভালো হয়। তেঁতুল খেলে কোনো ক্ষতি হয় না। তবে বেশি খেলে রক্তের চাপ কমে যেতে পারে। নিচে প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যোপযোগী তেঁতুলে বিদ্যমান পুষ্টিমান উল্লেখ করা হলো।


শুষ্ক চোখের চিকিৎসায় যে ড্রপ তৈরি হয় তাতেও ব্যবহার করা হয় তেঁতুলের বিচি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং এ ছাড়া পাকস্থলীর গোলযোগ, লিভার ও গল-ব্লাডারের সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এ বিচি। গর্ভকালীন বমিভাব ও মাথাঘোরার সমস্যায় তেঁতুলের বিচির শরবত বেশ উপকারী।


তেঁতুল বিচি গরম পানিতে ফুটিয়ে এক ধরনের আঠা তৈরি করা হয়। যা কিনা ছবি আঁকার কাজে ব্যবহার করা হয়।বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চলতে হবে 

পাকা তেঁতুল কফ ও বায়ুনাশক, খিদে বাড়ায় ও উষ্ণবীর্য হয়। তেঁতুল গাছের ছাল, ফুল, পাতা, বিচি ও ফল সবই ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তেঁতুল বীজের শাঁস পুরনো পেটের অসুখে উপকারী।বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং  তেঁতুল পাতার রস কৃমিনাশক ও চোখ ওঠা সারায়। মুখে ঘা বা ক্ষত হলে পাকা তেঁতুল জলে কুলকুচি করলে উপকার পাওয়া যায়।

(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)