থুথুর সাথে রক্ত আসার কারণ , রক্তকাশি বা হিমপ্টিসিস (ইংরেজি: Hemoptysis) হলো ক্লোম-শাখা বা ব্রঙ্কাস, স্বরযন্ত্র, শ্বাসনালি অথবা ফুসফুস থেকে কাশির সাথে রক্ত বা রক্ত মিশ্রিত শ্লেষ্মা নির্গত হওয়া।বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং ফুসফুসের ক্যান্সার, সংক্রমণ যেমন যক্ষ্মা, ব্রঙ্কাইটিস অথবা নিউমোনিয়া ও কিছু হৃৎপিণ্ডের রোগে এটা হতে পারে।
থুথুর সাথে রক্ত আসার কারণ
রক্তবমির ক্ষেত্রে সমস্যা পাকস্থলীতে হয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং এতে করে রক্তের সাথে খাবারের অংশও বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। কখনো এই রক্ত কালো হতে পারে, কখনো স্বাভাবিক রঙের হতে পারে। সাধারণত, হজমের সমস্যা এবং পাকস্থলীর নানা সমস্যার কারণেই এমনটা হয়ে থাকে। অন্যদিকে কফে রক্ত আসার পেছনে থাকে পুরোপুরি অন্য কারণ।
কফে রক্ত আসার রকমভেদ-
কফে রক্ত আসতেই পারে। তবে এই রক্তেরও আছে নানারকম। এই যেমন-
কফে যদি হালকা রক্তের ছিটে দেখা যায়, তাহলে এর সম্ভাব্য কারণ হতে পারে- ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া এবং টিউবারকুলোসিস। এ ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের সাথে দেখা করাটাই শ্রেয়।
সর্দিতে রক্ত আসা ২। বুক ব্যথা ৩। ওজন হ্রাস পাওয়া ৪। রাতের বেলায় অতিরিক্ত ঘাম ৫। সাধারণ কাজকর্ম করার সময় শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি সমস্যা দেখা যায়, তাহলেও চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন।
কফে রক্তপাতের পেছনে আরও অনেক কারণ, এই যেমন- ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, ফুসফুসে টিউমর বা ক্যান্সার, হৃদপিণ্ডের সমস্যা, পালমোনারি এমবোলিজম, পাকস্থলী বা অন্যান্যস্থানে প্রদাহ ইত্যাদি থাকতে পারে।
সমস্যা চিহ্নিত করবেন কীভাবে?
এগুলোর মধ্যে আপনার কফে রক্ত আসার কারণ কোনটি সেটা জানতে চিকিৎসকেরা-
● আপনার পরিবারে এমন সমস্যা আগেও ছিল কি না সেটা জানার চেষ্টা করবেন।
● সমস্যা আরও ভালোভাবে বুঝতে এক্স রে, সিটি স্ক্যান এবং ইউরিন টেস্ট করতে হতে পারে।
● বাড়তি কিছু পরীক্ষা, এই যেমন- ব্রোংকোসকপি ( নাক বা মুখের মধ্য দিয়ে পাইপ প্রবেশ করিয়ে ভেতরটা দেখা হবে, যাতে করে সেখানে কোনো সমস্যা আছে কি না তা বোঝা যায়), পালস অক্সিমেট্রি ( শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বোঝার জন্য), নানারকম রক্তপরীক্ষা ইত্যাদি করবেন।
● এই সমস্যার প্রতিকার হিসেবে রক্তপাত বন্ধ করতে চিকিৎসকেরা আপনাকে কিছু ওষুধ দিতে পারেন। তবে সবক্ষেত্রে ওষুধ কাজ করবে এমনটা নয়। সে ক্ষেত্রে, কেমোথেরাপি বা স্টেরয়েড নেওয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)