দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম , ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ আয়েশা সিদ্দিকা বলেন- খুব সাধারন কিছু চিকিৎসার মাধ্যমে এই চর্মরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে এই রোগের বহুল প্রচলিত কিছু মলম হলো-
1. Lucazol cream ( লুকাজল ) ১০ gm মূল্য ৳৯৬.০০ টাকা।
2. Elvina cream ( এলভিনা ) ১০ gm মূল্য ৳৮০.০০ টাকা।
3. Lulizol cream ( লুলিজল ) মূল্য ৳৯৬.০০ টাকা।
4. Mycofin cream ( মাইকোফিন ) ১০ gm মূল্য ৳৬৫.০১ টাকা।
দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম
5. Lucazol cream ( লুকাজল ) ১০ gm মূল্য ৳৯০.০৪ টাকা।
6. Terbex cream ( টারবেক্স ) ১০ gm মূল্য ৳৩১.৫২ টাকা।
7. Infud cream ( ইনফুড ) ১০ gm মূল্য ৳৬৫.০০ টাকা।
8. Lulitop Lulinox cream ( লুলিটপ লুলিনক্স ) ১০ gm মূল্য ৳১৬২.২৪ টাকা।
দাদ হলো একটি ত্বক সমস্যা যা ব্যক্তির ত্বকের উপর ফুসফুস মাইসেস বা ফাংগাস এর কারণে উত্পন্ন হয়। দাদ হলো একটি সাধারণ রোগ এবং সাধারণত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। তবে যদি দাদ অতি কষ্টকর হয় এবং কিছু না খেলে ভুলবান্ধব হয়, তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
দাদ থেকে রক্ষা করার জন্য আপনাকে কিছু কার্যক্রম অনুসরণ করতে হবে:
দাদ আকার কমানো জন্য আপনি জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে পারেন।
যদি দাদ আপনার শরীরের যে কোন একটি অংশে থাকে, তবে আপনাকে সাবধান হতে হবে যাতে এটি আর ছড়িয়ে না যায়।
ত্বকের জন্য কিছু ভালো জন্যবদ্ধ মোস্টারাইজার আপনার ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ও দাদের সাথে সাথে ব্যবহার করা উচিত।
এছাড়া ও নিচে, দাউদের সবচেয়ে ভালো ঔষুধ এর নাম দেওয়া হলো।
এই ঔষধগুলো খুবই ধীরে ধীরে শরীরে কাজ করে। সাধারনত এই মলমগুলো ৪ মাস ব্যবহার করতে হয়। বাজারে ২ টি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান পাওয়া যায়- কিটোকোনাজোল, লুলিকোনাজোল।
এই সাবান নিয়মিত গোসলের সময় গায়ে মেখে ৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে ভালো ফল পাওয়া যায়। আর যার দাদের পরিমান বেশি সে কিটোকোনাজোল শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। এটি সধারনত গোসলের ১৫ মিনিট পূর্বে ক্ষত স্থানে লাগাতে হবে।
এবং গোসলের সময় পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।এই কাজগুলো বেশ সময় নিয়ে করতে হয়। ৪-৫ মাস একটানা সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এটা নিয়মিত না করলে দাদ ভালো হবে না।
দাউদের সবচেয়ে ভালো ঔষুধ
1. (Flucon) ১৫০ gm মূল্য ৳২২.০৭ টাকা।
2. (Fluconazole) ১৫০ gm মূল্য ৳১৯৮.০০ টাকা।
3. (Falcon) ৫০ gm মূল্য ৳৭.০০ টাকা এবং ১৫০ gm ৳২১.১২ টাকা।
4. (Flucoder) ১৫০ gm মূল্য ৳২২.০০ টাকা।
5. (Diflu) ১৫০ gm মূল্য ৳১১৮.৮০ টাকা।
বাজারে প্রচলিত ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানির, ভিন্ন ভিন্ন নামে, যে সকল এন্টিফাঙ্গাল মলম বা ক্রিম রয়েছে তার মধ্যে ইকোনাজাল, ফ্লুকোনাজাল, মাইকোনাজল ও টারবিনাফিন গ্রুপের মলম বা ক্রিম দাউদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
এদের মধ্যে আপনি দাউদের চিকিৎসায় যে গুলো ব্যাবহার করতে পারেন।
১। পেভিসন ক্রিম – Pevisone (সানোফি)
২। ফাঙ্গিসন ক্রিম – Fungison (কেমিস্ট)
এছাড়া আপনি দাউদের চিকিৎসায় ঘরোয়া পদ্ধতি ফলো করতে পারেন।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাউদ রোগের চিকিৎসা
কিছু কিছু ঘরোয়া জিনিস ব্যবহারে দাদ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। নিচে আমরা সেগুলো নিয়ে আলোচনা করবোঃ-
রসুন:- রসুন সব ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূর করতে পারে। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে ২-৩ কোয়া রসুন খোসা ছাড়িয়ে থেঁতো করে আক্রান্ত স্থানে লাগান।ঘন্টাখনেক লাগিয়ে রেখে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।কিছু দিনেই ভালো ফলাফল পাবেন।
কাঁচা হলুদের রস:-কাচা হলুদে রয়েছে অ্যান্টি সেপটিক, এন্টিফাঙ্গাল ও ব্যাকটেরিয়াল,এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান।যা দাদ নিরাময়ের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর।সবথেকে ভালো ফল পেতে তাজা হলুদ সামান্য পানি দিয়ে ঘন মিশ্রন তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে সরাসরি লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরাঃ-অ্যালোভেরায় রয়েছে অ্যান্টি ফাঙ্গাল, অ্যান্টি সেপটিক,এবং রেজিন নামের উপাদান। যা দাদের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর। অ্যালোভেরা পাতা খেকে অ্যালোভেরা জেল বের করে ফেলুন। এই জেল আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করুন। সবথেকে ভালো ফল পেতে দিনে ৩ বার ব্যবহার করুন।
সাবান পানি:-সাবান পানিতে রয়েছে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট যা সব রকমের ক্ষত স্থান শুকানোর জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বাজারে বিভিন্ন রকমের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান পাওয়া যায়। এই ধরনের সাবান দিয়ে আক্রান্ত স্থান ভালোভাবে পরিষ্কার করুন, তারপর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন।
মধু:মধুতে আছে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড। যেটি ছত্রাকনাশক সব ধরনের রোগের বৃদ্ধি নাশ করে।একটি পরিষ্কার কাপড়ে মধু লাগিয়ে আক্রান্ত স্থানে প্রতিদিন লাগান।১ মাসেই ভালো ফলাফল পাবেন।
জায়ফল: জয়ফলে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান।যা ছত্রাকজনিত রোগ সারিয়ে তোলে।জায়ফল গুড়া পরিমানমত পানিতে মিশিয়ে একটা ঘন মিশ্রন তৈরু করুন আক্রান্ত স্থানে নিয়মিত লাগান।
তুলসী পাতাঃ- তুলসি পাতায় রয়েছে ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান যা ছত্রাক প্রশমনের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। তুলসীপাতা নিয়মিত সংক্রমিত স্থানে ব্যবহার করার মাধ্যমে সংক্রমন ছড়িয়ে পড়া রোধ হবে। এটির নির্যাস ব্যবহারে আপনি চুলকানি থেকে অনেকটা আরাম পাবেন।
নিম পাতা: যে কোনো ধরনের জীবানু ধ্বংস করতে নিমপাতার ব্যবহার সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই অবগত। নিম পাতার রস নিয়মিত ক্ষত স্থানে লাগানোর মাধ্যমে আপনি বেশ উপকার পাবেন।
নারকেল তেল: ফাঙ্গাল ইনফেনশন দূর করতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রপারটিস খুবই উপযোগী। এই উপাদানটি নারকেল তেলে বিদ্যমান। তাই নারকেল তেল ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার দাদ রোগ থেকে পরিত্রান পেতে পারেন।তাছাড়া নারকেল তেল আপনার ক্ষত জায়গার প্রদাহ থেকেও আরাম দেবে।
অ্যাপল সাইডার ভিনেগার: প্রতিদিন ৩-৫ বার এই অ্যাপল সিডার ভিনেগার একটি পরিষ্কার কাপড়ে ডুবিয়ে ক্ষত স্থানে প্রয়োগ করতে হয়। দাদ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়া পর্যন্ত ব্যবহার করতে হবে।
পুদিনা পাতা: আমাদের দেশে পুদিনা পাতা খুবই সহসলভ্য। পুদিনা পাতার রসের সাথে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে একরা ঘন মিশ্রন তৈরি করে আক্রানত স্থানে লাগান। শুধুমাত্র ক্ষত স্থানে এটি ব্যবহার করুন।
সরষে বীজ: এই রোগ থেকে সেরে ওঠার জন্য সরষে বীজের কোন বিকল্প নেই বলা চলে। সরষে বীজ আধা ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর সরিষা বীজ গুলো পানি থেকে উঠিয়ে পাটায় বেটে একটা পেষ্ট তৈরি করুন। কিছুদিন ব্যবহারেই আক্রান্ত স্থান পুরোপুরি সেরে উঠবে।