দাউদ এর ঔষধ এর নাম , দাউদের সবচেয়ে ভালো ঔষধ , আপনাকে যে পরামর্শ দিব সেটা যদি অনুসরণ করেন তাহলে আপনি দাদ বা Ring worm থেকে মুক্তি পাবেন সেটার নিশ্চয়তা শতভাগ!
আপনি একজন ভাল Dermatologist বা চর্মরোগ এর ডাক্তারের শরণাপন্ন হউন।
আন্দাজে খাবার ঔষধ বা মলম ব্যবহার করলে দাদ কিছুদিনের জন্য সেরে যাবে আবার ১-২ মাস পর ফেরত চলে আসবে।এতে স্থায়ী সমাধান পাবেন না।
এর কারন হচ্ছে দাদ হয় ফাংগাসের কারনে।ফাংগাসের বিভিন্ন ধরন আছে।সুনির্দিষ্ট ফাংগাসের প্রজাতির জন্য সুনির্দিষ্ট এন্টিবায়োটিক না নিলে আপনার শরীরের ফাংগাস কখনও মারা যাবে না।
ডাক্তার খালি চোখে দেখে বুঝতে পারবে আপনার দাদ কোন প্রজাতির ফাংগাসের কারনে হয়েছে।যদি তাতেও নাম রিকভারি হয় তাহলে ডাক্তার আপনাকে “Skin Test” দিবে।আপনার দাদের উপর থেকে চামড়া নিয়ে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখবে কোন প্রজাতির ফাংগাস।
দাউদ এর ঔষধ এর নাম
যেমন দাউদ রোগটিও আছে ঠিক তেমনি ডাক্তার বিশেজ্ঞরা উন্নত মানের ভালো ঔষধ প্রস্তুত করেছেন ও দাউদের সবচেয়ে ভালো ঔষধ গুলো বাজারে পাওয়া যায়।
ফানজিডাল ক্রিম কেন ব্যবহার করা হয়? মূলত দাউদ সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে এই ফানজিডাল ঔষুধটি ব্যবহার করা হয়।
নারকেল তেল দিয়ে দাউদ রোগের চিকিৎসা
নারকেল তেলের মধ্যে মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল দুইটি বৈশিষ্ট্যই বিদ্যমান রয়েছে। যা দাউদের সংক্রমণের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সাহায্য করে থাকে এবং এটি বেশ কার্যকরী হয়ে থাকে ।
নারিকেল তেল ত্বকে লাগানোর জন্য প্রথমে একটি পাত্রের মধ্যে নারকেল তেল নিয়ে হালকা গরম করে নিতে হবে । তারপর ওই গরম করা তেল আপনার ত্বকের দাউদ আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হবে। এই কাজটি দিনে দুই থেকে তিনবার প্রয়োগ করতে হবে।
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার দিয়ে দাউদ রোগের চিকিৎসা
দাউদ হচ্ছে একটি ফাঙ্গাস জাতীয় রোগ। আর অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের মধ্যে রয়েছে ফাঙ্গাসরোধী বেশ কয়েকটি উপাদান। যা আমাদের দেহের ফাঙ্গাসঘটিত বিভিন্ন জটিলতাকে সারিয়ে তুলতে সক্ষম ।
এটি দিনে তিন থেকে চারবার পরিষ্কার তুলার মধ্যে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার দিয়ে ত্বকের দাউদ আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করুন। দাউদ ভালো হওয়া পর্যন্ত এটি ব্যবহার করুন।
টি-ট্রি অয়েল দিয়ে দাউদ রোগের চিকিৎসা
ছত্রাকজনিত ত্বকের ইনফেকশনের চিকিৎসার ক্ষেত্রে টি-ট্রি অয়েল অত্যন্ত কার্যকরী হয়ে থাকে। টি-ট্রি অয়েল দিয়ে দাউদের চিকিত্সা করতে হলে প্রথমে একটি পরিষ্কার তুলোর বলে কয়েক ফোঁটা টি-ট্রি অয়েল নিয়ে দেহের যেই জায়গায় সংক্রমিত হয়েছে সে স্থানে লাগিয়ে দিতে হবে ।
টি-ট্রি অয়েল আপনারা নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন । এইভাবে ১দিনে সকাল এবং সন্ধায় ব্যবহার করুন।
আপনার পছন্দের বা দাম ভিত্তিতে যে কোন একটি দাউদের ক্রিম ধৈর্য সহকারে ব্যবহার করুন ইনশা-আল্লাহ দাউদ নিরাময় হবে। তাদের মধ্যেই অন্যতম দাউদের সবচেয়ে ভালো ঔষধ গুলো হলো:
1. ক্লোট্রিমেজোল ক্রিম (Clotrimazole cream) ২৪ ঘন্টার জন্য দিনে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করুন ।
2. মাইকোনাজোল ক্রিম (miconazole cream) | এছাড়াও অন্যান্য নামে পরিচিত এবং জনপ্রিয় হলো ফানজিডাল (Fungidal). এই ক্রিম রাতে ব্যবহার করতে হবে ।
3. ফাঙ্গিট্যাক ক্রিম (Fungitac cream) ২ gm/১০০gm এর মূল্য ৳১৮০.০০ টাকা Product বিস্তারিত জানতে Product Details
4. লুলিজল ক্রিম (Lulizol Cream) এর মূল্য ৳১৬৩.৫৫ টাকা Product বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন Product Details
5. ইবারকোনাজল ক্রিম (eberconazole cream)
6. ক্লোট্রিমেজোল ক্রিম (Clotrimazole cream)
তার মধ্যে দাউদ হওয়ার উল্লেখযোগ্য কারন গুলো হলো:
বিভিন্ন ছত্রাকের কারনে শরীরে দাউদ হতে পারে।
শরীরের কোনো স্থান সবসময় ভেজা থাকলে তা থেলে দাউদ হতে পারে।
শরীর সবসময় অপরিষ্কার এবং অপরিচ্ছন্ন রাখলে দাউদ হতে পারে।
কোনো দাউদ আক্রান্ত ব্যক্তির জামা কাপর ব্যবহার করলে দাউদ হতে পারে।
ইত্যাদি কারণ গুলোর জন্যই বেশিরভাগ সময়ই একজন মানুষ দাউদ আক্রান্ত হয়ে থাকে।
কোন লক্ষন গুলো দেখে আপনি বুঝবেন যে আপনার দাউদ হয়েছে। দাউদ হওয়ার বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে।
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য লক্ষণ গুলো হলো:
শরীরে এক ধরনের ক্ষত তৈরি হওয়া এবং এর আকার চাকার মতো হওয়া।
ধীরে ধীরে চাকার মতো ক্ষত বড় হতে থাকা।
চাকার মতে ক্ষত স্থানটি থেকে খুসকির মতো ময়লা পরতে থাকা।
ক্ষত স্থানে স্বাভাবিকের তুলনার অতিরিক্ত চুলকানি তৈরি হওয়া।
যে স্থানে দাউদ হবে সে স্থান থেকে সব লোম ঝরে যাওয়া।
ইত্যাদি লক্ষণ গুলো দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার দাউদ হয়েছে কিনা।
শরীরের বেশ কিছু স্থান রয়েছে যে স্থান গুলোতে দাউদের আক্রমণ বেশি হয়ে থাকে।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)