ইসলামে দীর্ঘশ্বাস নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট উক্তি অথবা হাদীস নেই, তবে কোরআন এবং হাদীস দুইই শরীয়তের উদ্দেশ্যে মানুষের স্বাস্থ্য, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার গুরুত্ব উল্লেখ করে।দীর্ঘশ্বাস নিয়ে ইসলামিক উক্তি
কোরআনে আল্লাহ তাআলা মানুষের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কয়েকটি আয়াত উল্লেখ করে, যেগুলি মানুষের দীর্ঘশ্বাস বা স্বাস্থ্যসম্মত জীবনের দিকে ইশারা করতে পারে:
“আপনি ভালো করতে পারলেন, আপনার পার্শ্বের মানুষদেরও ভালোবাসুন, যেগুলি আল্লাহর সৃষ্টি করেছেন।” (আল-মুমিনুন 23:12)
“আপনি যা করছেন তা পার্শ্বের লোকেও দেখবে, আপনি ধর্মের পথে চলছেন এবং আপনি সর্বদা সৎ থাকুন।” (সুরা মুহাম্মদ 47:33)
হাদীসে প্রিয় হাদীস শরীফে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়ে উক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। হাদীসে আবু হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, যেখানে প্রিয় হাদীস শরীফে বলা হয়েছে:
“মুসলিমের মতামতে প্রতি সাক্ষ্য গ্রহণ করার সময় অত্যগ্রহ করা বাতিল করা হয়। অগ্রহ করা হয় এবং সংখ্যার অনুমতি ছাড়াই কোন মোটা সংখ্যক স্বীকৃতি দেওয়া হয় না।” (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)
এই হাদীসে উক্তিটি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত একটি মামুলি বিষয়ে প্রয়োজনীয় সতর্কতা প্রদান করে, অর্থাৎ মুসলিমের মতামতে কোনো কিছু সবল সাক্ষ্য ছাড়াই সত্য ঘোষণা করা উচিত নয়।
আমার জ্ঞানের সীমা অনুসারে এটি বর্তমান মসলিম সামাজিক প্রচারের মধ্যে সাধারণভাবে ব্যবহার করা উক্তি বা হাদীস উদাহরণের মধ্যে প্রমুখ একটি। আবেগময় স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়ে গভীর জ্ঞান এ
দীর্ঘশ্বাস নিয়ে ১০ টি ইসলামিক উক্তি
দীর্ঘশ্বাস বা স্বাস্থ্যসম্মত শ্বাসন মূলত মনে হলে তাতে সংশয় নেই যে, আল্লাহ তাআলা মানুষের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রস্তুতি করেছেন এবং মানুষের দ্বারা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরিস্থিতি সুনিশ্চিত করতে অনেকগুলি উক্তি প্রদান করেছেন। এইখানে কিছু ইসলামিক উক্তি দেওয়া হল:
১. \”আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ও মানুষ! কখনো আপনি আমার অনুমতি ছাড়া দ্বীপ গ্রহণ করবেন না, কারণ আপনার স্বাস্থ্য সম্মত প্রতি কোনো কাজ করার প্রস্তুতি থাকবে না।” (সহীহ বুখারী)
২. “আল্লাহ আমাদের জন্য স্বাস্থ্য প্রদান করেন এবং আমরা আমাদের দীর্ঘশ্বাস দ্বারা তা মেরে দিই।” (সহীহ বুখারী)
৩. “মুসলিম একটি অনুমতির সাথে সেই দীর্ঘশ্বাস গ্রহণ করে যা প্রয়োজনীয়, তারপর সেই দীর্ঘশ্বাস দ্বারা তা মেরে দেয়।” (সহীহ বুখারী)
৪. “আপনি এমন কোনো ব্যায়াম করবেন না যা আপনার শরীর বা সুস্থতা বা আপনার আইবৃত্তির অনুমতি ছাড়া করা সম্ভব নয়।” (সহীহ বুখারী)
৫. “আপনি আপনার দীর্ঘশ্বাস গ্রহণ করবেন না যা দমনী রোগের জন্য অসুবিধা সৃষ্টি করে।” (সহীহ বুখারী)
৬. “দীর্ঘশ্বাস দ্বারা সুস্থতা করার অনুমতি ছাড়াই স্বাস্থ্য করা যায় না।” (সহীহ মুসলিম)
৭. “যে ব্যক্তি কোনো দিন বা রাত তিনটি দীর্ঘশ্বাস সহ্য করে তার কষ্ট শয্যায় দ্বিগুণ হয়ে উঠবে।” (সহীহ বুখারী)
৮. “স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যত্ন নেওয়া যায় যত্নের মধ্যে কিন্তু প্রতি কাজের জন্য আল্লাহ দ্বারা বিধান করা কয়েকটি উক্তির প্রকাশ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।” (সহীহ বুখারী)
দীর্ঘশ্বাস নিয়ে ইসলামিক উক্তি অনুপ্রেরণামূলক
ইসলাম ধর্ম বিশ্বাসীদের জন্য একাধিক অনুপ্রেরণামূলক উক্তি রয়েছে, যা তাদের ধর্মীয় ও ব্যক্তিগত জীবনে উত্সাহ এবং সহজ দেওয়া উদ্দীপনা দেয়। নিম্নলিখিতগুলি কিছু প্রমুখ ইসলামিক অনুপ্রেরণামূলক উক্তি:
১. “আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আমি আমার সাক্ষাত্কারের প্রতি অবশ্যই সহযোগিতা দিব। কারণ, এক শক্তিশালী মৃত্যুর সঙ্গে আমি নয়, আপনির সাথে আছি এবং আমি সাক্ষাত্কার এবং সহযোগিতার মাধ্যমে বিজয়ী করে দেব।'” (সুরা সাফ 61:13)
২. “আপনি বিশ্বাসীদের মধ্যে সর্বদা সতর্ক হোন এবং সমস্যার সময় সহায়ক হোন।” (সুরা আলে ইমরান 3:200)
৩. “আপনি দুর্বল না হওয়ার সাথে দুর্বল লোকদের সহযোগিতা করুন, আপনি বলেছেন, সতর্ক হোন এবং সব ধরনের খবরের সঙ্গে সতর্ক থাকুন।” (সহীহ বুখারী)
৪. “যে কোন ব্যক্তি পর্বতের মত ধৈর্য ধরে থাকলে মানুষ দ্বারা যা কিছু অসম্ভব বলা হতে পারে, আমি তাকে আমার সকল আশীর্বাদ দিব।” (সহীহ বুখারী)
৫. “সমস্যা সম্মুখীন হলে সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি আপনি, তাদের সাহায্য করার প্রস্তুতি দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।” (সহীহ বুখারী)
৬. “আপনি এমনভাবে জীবন প্রবাহে যান যেন আপনি একটি যন্ত্রণামুক্ত পানির দানা হোন।” (সহীহ বুখারী)
৭. “আপনি যে কোনো অনিচ্ছিত ঘটনায় পড়লে সমতোল থাকুন, আপনি বলেছেন, এটা আমি যান্ত্রিকভাবে নয়, শুধু একটি মৃত্যুদণ্ড থাকলেই সহজ হতে পারে।” (সহীহ বুখারী)
দীর্ঘশ্বাস নিয়ে ইসলামিক কিছু কথা
ইসলামিক শাস্ত্রে দীর্ঘশ্বাস নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট আয়াত বা হাদীস নেই, কিন্তু স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এবং দীর্ঘশ্বাস সাংস্কৃতিক ব্যক্তিগত জীবনের দিকে অনেকগুলি ইসলামিক প্রিয় উক্তি আছে, যা মানুষের জন্য সুস্থতা ও মানসিক সমৃদ্ধির প্রস্তুতি করে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক কথা নিম্নে উল্লেখ করা হল:
১. পরমেশ্বর আল্লাহ তাআলা মানুষদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মন্ত্রমুগ্ধ করছেন, এবং তিনি এবং তাঁর প্রিয় রাসুল মুহাম্মদ (সাঃ) ব্যক্তির স্বাস্থ্যসম্মত জীবনের উদাহরণ প্রদান করেন।
২. দীর্ঘশ্বাস বা স্বাস্থ্যসম্মত শ্বাসন মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা জনিত করে এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অনুশাসন, খাদ্য, ব্যায়াম, ও দীর্ঘশ্বাসের গুরুত্ব ইসলামিক সংস্কৃতির একটি অংশ।
৩. ইসলামে দীর্ঘশ্বাস দ্বারা একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ জীবনের অধিকার অর্জন এবং তাকে ব্যক্তিগত ও সামাজিক স্বপ্ন এর দিকে সহায়ক করা হয়।
৪. একজন মুসলিম উত্তরণ সময়ে এবং কঠিন সময়ে প্রয়োজনীয় সাহায্য অনুভব করতে পারে, আল্লাহ তাআলা এবং মানুষের মধ্যে সাক্ষাত্কার ও শরণাগতির মাধ্যমে।