দুপুরে সহবাস করলে কি হয় , আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে যা শুনেছেন তা সঠিক নয়। বরং ঈদের রাতে ও দিনে স্ত্রী-সহবাস করা বৈধ। মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং শুধুমাত্র রমযান মাসে দিনের বেলায় স্ত্রী-সহবাস করা হারাম। এছাড়া হজ্জ কিংবা উমরার ইহরাম অবস্থায় হারাম।
দুপুরে সহবাস করলে কি হয়
আমাদের শরীরে অনেক সময় জীবাণু বাসা বাঁধে সেজন্য কেউ যদি নিয়মিত বা প্রতিদিন সহবাস করে তাহলে এতে করে শরীরে কোন রোগ জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে না।মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং যারা সপ্তাহে কমপক্ষে দুই থেকে তিন দিন সহবাস করে তাদের শরীরে জীবাণুর পরিমাণ কম থাকে। শরীরে জীবাণু যাতে আক্রমণ করতে না পারে সেজন্য প্রতিদিন সহবাস করুন।
যাদের ব্লাড প্রেসার লো তাদের জন্য প্রতিদিন সহবাস করা অনেক ভালো। যাদের ব্লাড প্রেসার লো রয়েছে তারা নিয়মিত সহবাস করলে ব্লাড প্রেসার লো এর সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং শরীর অনেক ভালো থাকবে।
নিজেদের চাহিদা থাকলে করতে পারেন। সমস্যা নেই। নিয়মিত সহবাস করার ফলে কিছুটা দূর্বল লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাত্রা বাড়াতে হবে। নিজেদের চাহিদা আর আগ্রহের উপর বিবেচনা করে চিন্তা করবেন। দিনে কয়েকবার সহবাস করবেন?
নাকি এক দিন পর এক দিন করবেন?
নাকি সপ্তাহে একদিন করবেন। তবে বিয়ের প্রথম দিকে যদিও অনেকের ক্ষেত্রে দিনে কয়েকবাস সহবাস করতে দেখা যায়। কিন্তু নিয়মিত কিছুদিন চলার পরে শারীরিক অবস্থা, কাজের প্রেসার, মানসিক উদ্বিগ্নতা,পারিবারিক সমস্যা এবং আর্থিক বিষয়ের কারণে সেটা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে। দুজনের যখন আগ্রহ অনুভব হবে তখনই সহবাস করতে পারেন। সমস্যা নাই। তবে জোর পূর্বক না করাই শ্রেয়।
দুপুরে বউ এর সাথে সহবাস করলে বর এর আয়ু কমে যায় এটা ভ্রান্ত কথা। এসব কুসংস্কার।
ইসলামে দিবারাত্রে স্বামী স্ত্রীর যখন সুযোগ হয়, তখনই সহবাস বৈধ।
আসলে কুরআন ও সুন্নাহার আলোকে রমজান মাস, মাসিক পিরিয়ড, নেফাস, হজ্জ বা ওমরার ইহরাম অবস্থায় সহবাস নিষিদ্ধ। এছাড়া সহবাসের কোন নিষিদ্ধ সময় নেই।
এই মর্মে মহান আল্লাহ বলেন যে “অতঃপর যখন তারা পবিত্র হয়, তখন তাদের নিকট ঠিক সেইভাবে গমন কর, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমা প্রার্থীগণকে এবং যারা পবিত্র থাকে, তাদেরকে পছন্দ করেন। (সূরা বাকারা আয়াতঃ ২২২
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)