খতমে ইউনুস পড়ার নিয়ম । দোয়া ইউনুস এর ফজিলত কি দোয়া ইউনুস বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত সূরা ইউনুস বাংলা উচ্চারণ সহ কোরআন হাদিসের আলোকে বর্ণনা করা হলো
হজরত ইউনুস আঃ নিনেভা নামক জনপদে প্রেরিত হন।কিন্তু নিনেভার লোকজন তার ডাকে সাড়া না দেওয়ায় তিনি তাদের আল্লাহর গজবের খবর দিয়ে আল্লাহর নির্দেশের অপেক্ষা না করে নিনেভা ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হন।পথিমথ্যে সমুদ্রে পড়লে তা পাড়ি দেওয়ার জন্য একটি জাহাজে ওঠেন।
দোয়া ইউনুস বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত
জাহাজটি মাঝ সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড়ে পড়ে। তখন জাহাজের চালক ধারণা করে যে,জাহাজে কোনো অপরাধী
আছে,যে কারণে জাহাজটি বিপাকে পড়েছে।
পরে সেকালের নিয়ম অনুযায়ী
অপরাধীকে চিহ্নিত করতে লটারির ব্যবস্থা করা হয়। লটারিতে বার বার হজরত ইউনুস আঃ- এর নাম ওঠে। তখন বাধ্য হয়ে তাকে সমুদ্রে ফেলে দিলে জাহাজটি বিপাক থেকে রক্ষা পায়,আর একটি বিরাট মাছ তাকে গিলে ফেলে।
কিন্তু আল্লাহতায়ালার রহমতে ওই মাছ তাকে হজম করতে সমর্থ হয়নি, এমনকি তার দেহের সামান্যতম অংশেও কোনো রূপ ক্ষতের সৃষ্টি করতে পারেনি। সেই মাছের পেটের-অন্ধকারে বসে
আল্লাহর নবী হজরত ইউনুস আঃ অত্যন্ত সম্মান, বিনয় ও কাতর স্বরে যে দোয়াটি পড়ে- ছিলেন তা দোয়া ইউনুস নামে বহুল পরিচিত।দোয়াটি হচ্ছে- ‘লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুন্তু মিনাজ জলিমীন।’
হজরত রাসূলুল্লাহ দঃ আরও ইরশাদ করেছেন, আমার ভাই ইউনুসের দোয়াটি খুব সুন্দর। এর প্রথম অংশে আছে কালিমায়েতায়্যিবা।মাঝের অংশে আছে তাসবিহ।আর শেষের অংশে আছে অপরাধের স্বীকারোক্তি।যে কোনো চিন্তিত, দু:খিত, বিপদগ্রস্থ ব্যক্তি প্রতি দিন এ দোয়া তিন বার পাঠ করবে আল্লাহ তায়ালা তার ডাকে সাড়া দিবেন।-কানজুল উম্মালঃ ৩৪২৮।
আরও পড়ুন দোয়া মাসুরা বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত
তাশাহুদ বাংলা উচ্চারণ আরবি অর্থ সহ নাযিলের পেক্ষাপট
দোয়া কুনুত বাংলা আরবি উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত উচ্চারণ
খতমে ইউনুস আরবি :
لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ ، إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
খতমে ইউনুসের বাংলা উচ্চারণ :
লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহা নাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জ – লিমিন ।
খতমে ইউনুস অর্থ :
তুমি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, তুমি পবিত্র সুমহান। আমি নিশ্চয়ই জালিমদের দলভুক্ত।
সাদ ইবনে আবি ওক্কাস রা. বলেনঃ-
নবীজি (সাঃ) দুঃখ-কষ্টের সময় বলতেন ঃ-
লা- ইলা হা ইল্লা আন তা সুবহা নাকা ইন্নি কুন তু মিনাজ জোয়া লিমিন ।
অর্থ ঃ- এক মাত্র তুমিই ছাড়া আর কোনো মাবুদ নেই ।
তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। নিশ্চয়ই আমি সীমালঙ্ঘনকারী। (তিরমিজি : ৩৫০০)
এ দোয়াটিই কোর আনের বর্ণিত এবং দোয়া টি দোয়ায়ে ইউনুস নামে প্রসিদ্ধ ।
এ দোয়াটি যে যত বেশি পড়বে মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে বিপদ থেকেে মুক্ত করবেন ।
আসমা বিনতে ওমাইর রা. থেকে বর্ণিতঃ-
নবীজি (সাঃ) বলেন > আমি কি তোমাদের এমন কিছু শিখিয়ে দেব না যা তুমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশানির মধ্যে পড়বে।
সাহাবী বললেন, অবশ্যই শেখাবেন।
নবীজি (সা;) বললেন > দোয়াটি হচ্ছে > আল্লাহু আল্লাহ রব্বী লা উশ রিকু বিহি শাই য়ান ।
অর্থ ঃ- আল্লাহই আল্লাহ আমার প্রতিপালক।
আমিই তার সঙ্গেই কোনো কিছু শরিক করি না ।
(আবু দাউদ : ১৫২৫)
আনাস (রাঃ)থেকে বর্ণিতঃ-
হ্যাঁ, যাকে তুমিই সহজ করে দাও । যখন তুমি চাও তখন তুমিই মুশ কিল কে সহজ করে দাও । ( ইবনে হিব্বান : ৯৭৪ )
আরবি : لَا إِلَهَ إِلَّ ا أَنْتَ سُبْحَانَكَ ، إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
বাংলা উচ্চারণ : “লা ইলা হা ইল্লা আন তা সুবহা নাকা ইন্নি কুন তু মিনাজ জোয়া লিমীন”।
অর্থ : তুমি ছাড়া আর কোনো মাবুদ নেই, তুমি পবিত্র সুমহান । আমি নিশ্চয়ই জালিম দের দল ভুক্ত। (সূরা আল আম্বিয়া : ৮৭)
দোয়া ইউনুস পাঠের ফজিলত :
দোয়া ইউনুসের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহর নবী ইউনুস (আ.) এই দোয়া পাঠ করেই আল্লাহর রহমতে মাছের পেট থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। যদি কেউ দোয়া ইউনুস কয়েকবার পড়ে দোয়া করে তার দোয়া কবুল হয়। কেউ যদি বিপন্ন বা বিপদগ্রস্ত অবস্থায় এই দোয়া পাঠ করে, আল্লাহর রহমতে সে বিপদ থেকে উদ্ধার পায়।
ইউনুসের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহর নবী ইউনুস (আ.) এই দোয়া পাঠ করেই আল্লাহর রহমতে মাছের পেট থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। যদি কেউ দোয়া ইউনুস কয়েকবার পড়ে দোয়া করে তার দোয়া কবুল হয়। কেউ যদি বিপন্ন বা বিপদগ্রস্ত অবস্থায় এই দোয়া পাঠ করে, আল্লাহর রহমতে সে বিপদ থেকে উদ্ধার পায়।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেছেন, আমি (নবী) ইউনুসের প্রার্থনা মঞ্জুর করেছি। তাকে দুঃখ থেকে মুক্তি দিয়েছি। অনুরূপ ভাবে যে মুমিনরা এ দোয়াটি পড়বে আমি তাদেরও মুসিবত থেকে মুক্তি দিব।
(সূরা আম্বিয়া : ৮৮)
ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত > নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ-
যে ব্যক্তি এমন কোন রুগ্ন মানুষকে সাক্ষাৎ করবে।
যার এখন মরার সময় উপস্থিত হয়নি এবং তার নিকট সাতবার এই দোয়াটি বলবে মহান আল্লাহ তাকে সে রোগ থেকেয় মুক্তি দান করবেন ।
আরবি হাদিসের বাংলা অনুবাদঃ-
আসআলুল্লাহাল আযীম, রাব্বাল আরশিল আযীম, আঁই য়্যাশ্ফিয়াক’ (অর্থাৎ আমি সুমহান আল্লাহ, মহা আরশের প্রভুর নিকট তোমার আরোগ্য প্রার্থনা করছি),
মহান আল্লাহ তাকে সেই রোগ থেকেই মুক্তি দান করবেন ।
বিপদের সময় নবীজির শেখানো ৩টি দোয়াঃ-
দুুনিয়ায় মানুষের বিপদের কোনো শেষ নেই।
কাজে কর্মেইয় কম বেশি বিপদ চলে ই আসে সব সময় ।
মসি বত ও পেরে শানিতে পড়ে সঠিক জ্ঞান হারায় মানুষ । এসব থেকে মুক্তি লাভের উপায় হিসেবে নবীজি ( সাঃ) উম্মতকে বিভিন্ন দোয়া শিখি য়েছেন। বিপদের সময়ের এ দোয়া গুলো শিখে রাখুন যাতে বিপদ থেকে উদ্ধার হতে পারেন ।
যে কোনো বালা-মসিবত, বিপদাপদ, দুশ্চিন্তা-পেরেশানি, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ইত্যাদি থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে দোয়া ইউনুস পাঠ করা অত্যন্ত কার্যকর আমল। কিন্তু এ দোয়া ইউনুস কখন, কীভাবে এবং কতবার পড়তে হয়? সমাজে প্রচ লিত খতমে ইউ নুস উপ লক্ষে বিভিন্ন সংখ্যায় এ দোয়া পড়া কি সঠিক ?
বিপদ থেকে মুক্তি পেতে দোয়া ইউনুস পড়লে উপকার হয়, কিন্তু পাঁচ হাজার বার পড়তে হবে, পঞ্চাশ হাজার বার পড়তে হবে, খতম করতে হবে এমন কথার ভিত্তি কি?
দোয়া ইউনুস পড়ার নিয়ম হলো মহান আল্লাহর কাছে একান্ত বিনয় ও নম্রতা, একাগ্রতা, পূর্ণ আন্তরিকতা ও ভয়ভীতির মাধ্যমে যাবতীয় বিপদ-আপদ থেকে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করা। তবে এর জন্য নির্দিষ্ট কোনো পরিমাণ বা সংখ্যা নেই।