দ্রুত বীর্য পাতের ট্যাবলেট , অতিরিক্ত মাস্টারবেট করার অভ্যাস অবিলম্বে ত্যাগ করুন। আর যাদের স্ত্রী আছে তাঁরা স্ত্রীর সাথেই যৌনজীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন। যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য হাতুড়ে ডাক্তারদের শরণাপন্ন হবেন না বা কোন টোটকা ব্যবহার করবেন না। কোন তেল বা ওষুধ কিছুই ব্যবহার করবেন না হাতুড়েদের কথায় প্রভাবিত হয়ে।
* বাজারে সাময়িকভাবে যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু ওষুধ পাওয়া যায়, যেগুলো সেবনে ২৪ ঘণ্টার জন্য যৌন ক্ষমতা বাড়ে। এইধরনের ওষুধ মোটেও ব্যবহার করবেন না। এতে সাময়িক ক্ষমতা বাড়লেও, ক্রমশ আসলে ক্ষমতা কমতেই থাকবে।
দ্রুত বীর্য পাতের ট্যাবলেট
দ্রুত বীর্য পাত রোধের উপায় এবং দ্রুত বীর্য পাতের স্থায়ী চিকিৎসা ওষুধ এর নাম সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। দ্রুত বীর্য পাত রোধের উপায় নিচে উল্লেখ করা হলঃ
মাদকদ্রব্য সেবন বর্জন করা
বিভিন্ন ধরনের মানসিক দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা
সঙ্গীনের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখা
সঠিক সেক্স পজিশন বজায় রাখা
নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া
নিয়মিত দুধ পান করা
কোলেস্টেরল জাতীয় খাবার বর্জন করা ইত্যাদি।
চিকিৎসা :
দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসা একটি দীর্ঘ মেয়াদী ব্যাপার। এর জন্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা উত্তম। তবে এলোপ্যাথি বেশ কিছু ঔষধ বাজারে প্রচলিত আছে। যেমন :-
Capsule :
1) Dapoxen 30 mg (Opsonin)
2) Daxetin 30 mg (ACI)
3) Depotin 30 mg ( Incepta)
4) Susten 30 mg ( Square)
5) Ejalong 30 mg ( Drug)
সেবন বিধি :
মিলনের ১ – ৩ ঘন্টা আগে একটা ক্যাপসুল সেবন করতে হবে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আর সেবন করা যাবে না।
তবে ১৮ বছরের নিচে এবং ৬৫ বছরের উর্দ্ধে যাদের বয়স তাদের সেবন করা উচিৎ নয়। এছাড়া যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে এবং heart এর সমস্যা আছে তাদের সেবন করা ঠিক নয়।
দ্রুত বীর্য পাত রোধের ঔষধ
দ্রুত বীর্যপাত হলো সহবাসের সময় নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে বা যৌন কার্য সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই দ্রুত সময়ের মধ্যে বীর্য বের হয়ে যাওয়া। যৌনগত বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে এটি অন্যতম।অনেকেই দ্রুত বীর্য পাতের স্থায়ী চিকিৎসা ওষুধ এর নাম জানতে চান।দ্রুত বীর্যপাত রোধ করার বিভিন্ন ধরনের ঔষধ রয়েছে।
যেমনঃ
হোমিও চিকিৎসাঃ কোনিয়াম, সালিক্স নায়াগ্রা, এসিড ফস,টার্নেরা, লাইকোপডিয়াম।
ভেষজ চিকিৎসাঃ মধু, রসুন,ইসপগুলের ভুসি, শতমূলী, রাম তুলসী
বীর্য দেরিতে ফেলার ঔষধঃ কোনিয়াম,সোবান সেরুলেটা, সেলিনিয়াম।
কোন জিনিসটি সবচেয়ে কার্যকর দ্রুত বীর্যপাতের জন্য?
প্রথমত দ্রুত বীর্যপাত রোধের জন্য আপনি কিছু সেক্সের সময় কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। যেমন-
কৌশল-1ঃ পুরুষরা দ্রুত উত্তেজিত হয় আবার দ্রুত বীর্যপাত করে। তাই আগে সঙ্গীনিকে চরম উত্তেজিত করুন। সেক্সের আগে লক্ষ্য নারীর যোনীতে হাত দিয়ে অথবা পেনিস দিয়ে আন্দাজ করবেন। নারীর যোনী যদি রসে চুপসে থাকে তাহলে সেক্স শুরু করুন। তাহলে আপনার আগে নারীরটা শেষ হবে।
কৌশল-2ঃ একটানা পনের কাঁচা রসুনের কোয়া খান তিনবেলা। এই সময় সেক্স করবেন না। তবে পুরুষাঙ্গ সবসময় সেক্সের জন্য সায় দিতে থাকবে। ১৫ দিন পর থেকে সেক্স শুরু করুন। গ্যারান্টি ৩০ মিনিটের আগে বীর্যপাত ঘটবে না। যদি ঘটেও যায় তারপরে ৩০/৪০ মিনিট লিঙ্গ শক্ত হয়ে থাকবে।
কৌশল-3ঃ সেক্স শুরু করুন। কিছুক্ষণ পর পর স্টাইল পরিবর্তন করুন। মাঝে মাঝে কোমর সঞ্চালন বন্ধ করুন। আপনার সঙ্গীনীর সাথে কথা বলুন, জিজ্ঞাসা করুন কেমন লাগছে, তবে বুঝতে দিবেন না আপনি সময় পার করছেন, আপনার সঙ্গীনি বলবে করার জন্য,, কিন্তু আপনি কথার জালে কিছুক্ষণ সময় নিবেন,, তবে পুরুষাঙ্গ যোনীতেই রাখবেন।
কৌশল-4ঃ মনে হচ্ছে এখন বীর্যপাত ঘটতে পারে। তখন লিঙ্গ বের করুন। সঙ্গীনিকে বুঝতে দিবেন না। তার সাথে রোমাঞ্চ করুন। যেন মন অন্য দিকে যায়। দেখন লিঙ্গ একটু শিতল হচ্ছে। তখন আবার সেক্স শুরু করুন। দেখন পুনরায় নতুন করে সময় পাবেন।
কৌশল-5ঃ যদি সামান্য বীর্যপাত ঘটে, তাহলে সেক্স বন্ধ করুন। হাত দিয়ে বীর্যপাত ঘটাবেন না। যতটুকু বীর্য বের হওয়ার হবে, তবে কিছু থেকে যাবে, যদি হাত না দেন,, বা ঘষাঘষি না করেন তাহলে বীর্য থেকেই যাবে। একটু পরে আবার সেক্স করুন,, প্রথমে লিঙ্গ হালনা নিস্তেজ এর মতো থাকবে। কিন্তু একটু পরেই শক্ত হবে। আর সহজে বীর্যপাত ঘটবে না,, আপনি চাইলেও বীর্যপাত ঘটাতে পারবে না।
কৌশল-6ঃ বীর্যপাতের ১৫ মিনিট পরেই লিঙ্গ পুনরায় শক্ত হতে পারে ও নতুন বীর্যশুরু হতে থাকে। অর্থাৎ সেক্সের আগে সামান্য বীর্যপাত করে নিবেন। তার ২০.৩০ মিনিট পর সেক্স শুরু করুন। চাইলেও দ্রুত বীর্যপাত ঘটাতে পারবেন না।
এরপরেও যদি মনে করেন ডাক্তারের সাথে কথা বলতে হবে,, তাহলে সরাসরি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে কথা বলতে পারবেন।
যদি লজ্জা বোধ করেন,, তাহলে সরাসরি বিনামূল্যে অনলাইনে ডাক্তারের সেবা নিন।
দ্রুত বীর্য পাতের ইসলামিক চিকিৎসা
ইসলাম হলো একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের পবিত্র কুরআন মাজীদে সকল প্রকার আদেশ-নিষেধ এবং নেয়ামত সম্পর্কে জানিয়েছেন। যার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রোগের শেফা রয়েছে। দ্রুত বীর্যপাতের ইসলামিক চিকিৎসা সম্পর্কে অনেকে জানতে চান। নচে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
পবিত্র কোরআনের সূরা আন নাহার আয়াত ৬৯ এর মধ্যে আল্লাহ তায়ালা মধুর কথা উল্লেখ করেছেন,যেখানে বলা হয়েছে মধুতে রয়েছে অনেক রোগের শেফা।কোন রোগী যদি নিয়মিত মধু পান করে তাহলে সে ব্যক্তি শারীরিকভাবে সবল ও শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি তার যৌন শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
মহান আল্লাহ তায়ালা,সূরা তিনের প্রথম আয়াতের দুটি ফলের কথা উল্লেখ করেছেন। এই দুটি ফলের একটি হলো ত্বীন ও অপরটি হলো জায়তুন। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর প্রিয় ফলগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে জাইতুন ফল।
মহান আল্লাহ তায়ালা এই জাইতুন ফলের মধ্যে অনেক ধরনের নিয়ামত দান করেছেন। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এই জাইতুন ফল খুব পছন্দ করতেন এবং এর তেল নিজে ব্যবহার করার পাশাপাশি অন্যদেরও ব্যবহার করার উপদেশ দিতেন।
জাইতুন এর ফল ও তেলের অনেক ধরনের উপকারিতা রয়েছে যা বলে শেষ করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা সমাধানের জন্য জায়তুন এর ফল ও তেল ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও স্বামী স্ত্রীর যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি ও প্রজনন প্রক্রিয়াতে জাইতুন এর ফল অনেক উপকারী।
রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, সিনার গোস্ত অন্য সব গোস্ত থেকে উত্তম হয়ে থাকে। এ কথার অর্থ হচ্ছে এই গোশতে যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)