ধৈর্য নিয়ে উক্তি হাদিস
একটি প্রসিদ্ধ হাদিস যা ধৈর্য নিয়ে উক্তি করে, তা হল:
“ব্যক্তির বিস্ময় করে রাখতে এটি জ্ঞাত হওয়া উচিত যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা ব্যক্তির জন্য ধৈর্য আবেগ এবং কষ্টের সময়ে থাকার দক্ষতা তাঁকে বেশী সহায়ক।” (সহীহ বুখারী)
এই হাদিস থেকে বোঝা যায় যে ধৈর্য মানুষের মধ্যে একটি গুণ যা আল্লাহ তাআলা অনেক গুরুত্ব দেয়াছে। ধৈর্যশীল হওয়া মানুষকে কঠিন সময়ে ভালোভাবে সম্পর্ক গড়তে এবং সমস্যা বা কষ্টের মুখোমুখি স্থিতিতে এড়ানোর ক্ষমতা দেয়। এটি অধিকাংশ স্থিতিতে আত্মনিরীক্ষণ করতে এবং নিরাপদে স্থিতিতে থাকতে সাহায্য করে।
ধৈর্য একটি মানসিক গুণ যা কঠিন সময়ে বৃদ্ধি করতে হয়, কারণ সময়ের সাথে সাথে এটি আমাদের সাথে জন্মানো নয়। ধৈর্য সম্পর্কে মহাত্মা গান্ধীর একটি উক্তি বলতে গেলে, সে বলেছিলেন, “ধৈর্য একটি শক্তিশালী এবং স্থিতিস্থাপক গুণ, তা খুঁজে পেতে আমার প্রয়াস অনেক সময় লাগেছে, কিন্তু আমি খুশি যে আমি এখন এটি পেয়েছি।”
ধৈর্য ব্যক্তির জীবনে একটি মৌলিক গুণ হিসাবে প্রশংসিত হয় এবং সমস্যাগুলির সমাধানে সহায়ক। এটি সময়ের সাথে সাথে কর্মশীলতা এবং ধৈর্য উন্নত করতে সাহায্য করে যাতে আপনি জীবনের ক্যালেন্ডারে সফল হতে পারেন।
ধৈর্য নিয়ে ১০ টি উক্তি হাদিস
ধৈর্য নিয়ে সম্পর্কিত বিভিন্ন হাদিস মাধ্যমে আমরা এই মহান গুণটি উপস্থাপন করতে পারি। নীচে দশটি উক্তি হাদিস দেওয়া হল:
১. সহীহ বুখারী (বুখারী, ১০০৪):
“আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি হাদিস ছিল যে, একজন ব্যক্তির প্রতি ব্যক্তি যদি অমরাত করে তবে আমি তার দুই মুখ দিয়ে প্রস্তুতি করি যাতে তার ইমান বাঁচতে পারে।”
২. সহীহ মুসলিম (মুসলিম, ১৬৮২):
“সাহিবুল ইব্রাজ আর্নাওত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন: কেউ অসমর্থ হওয়া পর্যন্ত আল্লাহর সাথে সম্পর্ক একটি লাভযোগ্য সম্পত্তি।”
৩. সহীহ মুসলিম (মুসলিম, ১১৮):
“যখন কেউ কাউকে নাসাইয়্য করে, তখন সে সম্পত্তি অধিকারী হয়ে ওঠে না।”
৪. সহীহ বুখারী (বুখারী, ১১৯৬):
“একজন মুসলিমের প্রভু প্রদর্শন করার জন্য আল্লাহ পাক প্রধানতঃ তার ধৈর্য চেয়ে দেখেন।”
৫. সহীহ মুসলিম (মুসলিম, ১১৫৮):
“ধৈর্যশীল ব্যক্তি প্রতিযোগিতার মধ্যে বা মানসিক যুদ্ধে শক্তিশালী ব্যক্তি এবং প্রযুক্তিশীল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়।”
৬. সহীহ বুখারী (বুখারী, ১৪০১):
“ধৈর্যশীল হওয়া নির্বিকম্পতায় বৃদ্ধি করে, মহিলাদের সহনশীলতা বৃদ্ধি করে, এবং পৃথিবীতে এক মহিলা মন্দ চরিত্রে ভাল কাজের জন্য এক হাজার মহিলা ছাড়ে।”
৭. সহীহ বুখারী (বুখারী, ১৮৩৯):
“যখন তুমি ধৈর্যশীলভাবে কোনো ব্যক্তির উপর জবরদস্তি বা অমনসূসুক ব্যবহার করবে, তখন তুমি তার সাথে আত্মার প্রভাব প্রদর্শন করতে পারবে না।”
৮. সহীহ বুখারী (বুখারী, ৪৭৫৪):
“ধৈর্য ব্যক্তির জীবনের একটি মৌলিক গুণ, এটি ব্যক্তির জীব
শেষ কথা
ধৈর্য একটি মৌলিক গুণ যা ব্যক্তির জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি সময়ের সাথে সাথে উন্নত করা যায় এবং ব্যক্তি কর্মশীলতা এবং সমস্যাগুলির সমাধানে সাহায্য করে। ধৈর্যশীল ব্যক্তি জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করার সুযোগ পায় এবং বিপদ বা কঠিন সময়ে তাদের অনুভবে স্থির থাকতে সাহায্য করে। ধৈর্য প্রকৃতি ও মানসিক শক্তির একটি অত্যন্ত মৌলিক সম্পত্তি, যা আমাদের জীবনে সমৃদ্ধ করে এবং আমাদের সাফল্যে প্রবৃদ্ধি করে।
একটি ধৈর্যশীল মানুষ কখনও হঠকারিতা বা অস্থিরতা দেখায় না, বরং বিভিন্ন পরিস্থিতিতেও শান্তিতে বসে থাকেন। তারা কষ্টের সময়েও প্রয়াস করে সাহায্য প্রদান করার জন্য প্রস্তুত থাকেন। ধৈর্য একজন ব্যক্তির ক্যারিয়ার, পরিবার, সমাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনে একটি বিশেষ অবদান করে।
ধৈর্য একজন ব্যক্তির কাছে সমস্যা বা কষ্টের সময়ে তাদের আত্ম-নিরীক্ষণের ক্ষমতা উন্নত করে এবং সামগ্রিকভাবে তাদের জীবনে পরিস্থিতি সম্পর্কে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করে। ধৈর্যশীল ব্যক্তিরা তাদের লক্ষ্যের দিকে অনুমান করে এবং প্রতিবার উচ্চ মানসিক উদ্দীপনা বজায় রেখে অগ্রসর হন।
ধৈর্য আমাদের দৈনিক জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি গুণ, এটি আমাদের কাছে একটি শক্তিশালী সম্পত্তি তৈরি করে এবং আমাদের জীবনকে সহজ করে। ধৈর্যশীল হওয়া ব্যক্তি বিপদগ্রস্ত সময়ে তাদের স্থিরতা এবং বুদ্ধিমান সম্পত্তি প্রদর্শন করে। আমরা ধৈর্যশীলভাবে জীবনের প্রত্যেক দিন সামর্থ্য দেখতে পারি এবং জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য অর্জন করার