ধ্বজভঙ্গ রোগের জার্মানি হোমিও ঔষধ , ধ্বজভঙ্গ রোগে হোমিও ও বায়োকেমিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঔষধের নাম ও তাদের লক্ষণ নিম্নে উল্লেখ করা হলো।বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং হোমিও চিকিৎসা একটি লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা। ঔষধের লক্ষণের সাথে রোগীর লক্ষণ মিলিয়ে হোমিও ঔষধ প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
ধ্বজভঙ্গ রোগের জার্মানি হোমিও ঔষধ
বীর্য অতিশয় পাতলা পানির মতো,লিঙ্গ নরম, সহজে দন্ডায়মান হয়না,যদিও হয়- স্ত্রী লিঙ্গে প্রবেশের আগেই বা প্রবেশের পর মূহুর্তেই বীর্যপাত হইয়া লিঙ্গ সংকুচিত হয়ে আসে।বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে
তখন রোগী দিশেহারা হয়ে বিভিন্ন ভাবে পরিত্রাণ পাওয়ার চেষ্টা করে।কিন্তু প্রকৃত আরগ্যের জন্য প্রয়োজন সিলিনিয়াম।এই রোগীর কামেচ্ছা প্রবল কিন্তু প্রকৃত আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়।সপ্তাহে ২/৩ বার স্বপ্নদোষ হয়।স্বপ্নদোষের পর ভয়ানক দূর্বলতা ও কোমরে বেদনা দেখা যায়।স্ত্রী সহবাসের পরেও শারীরিক ও মানুষিক দূর্বলতা আসে।
লাইকোপোডিয়াম(Lycopodium): হস্তমৈথুন, স্বপ্ন দোষ কিংবা অত্যধিক স্ত্রী সহবাস জনিত ধ্বজভঙ্গ, স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা প্রবল কিন্তু ক্ষমতাহীন, লিঙ্গ শিথিল, ছোট, স্ত্রী লইয়া সোহাগ আলিঙ্গন করিলেও লিঙ্গ উত্থান হয় না। যদিও কিছু হয় পরক্ষণেই শিথিল হইয়া পড়ে। ক্ষনস্থায়ী সহবাস, বৃদ্ধ বয়সে ধ্বজভঙ্গ পীড়ায় ইহা ব্যবহারে যথেষ্ট উপকার হইয়াছে।
সেবন বিধি: শক্তি 200, 1m বা আরও উচ্চ শক্তি অধিক ফল দায়ক। সপ্তাহ বা পক্ষকাল অন্তর সকাল বিকাল দুই বার।।
ধ্বজভঙ্গ সহ আরো বিভিন্ন প্রকার যৌন রোগের ক্ষেত্রে বেশি কিছু হোমিওপ্যাথি ঔষধ এর নাম নিচে লক্ষণানুযায়ী উল্লেখ করা হলো। অনুগ্রহ করে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এগুলো সেবন করবেন না।
Origanum Marjorana: ওরিগ্যানাম ঔষধটি পুরুষ এবং নারীদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ঠ ঔষধ। তবে এটি নিম্নশক্তিতে খাওয়া উচিত কেননা উচ্চশক্তিতে কোন ফল পাওয়া যায় না।
Moschus Moschiferus: ডায়াবেটিস রোগীদের ধ্বজভঙ্গ রোগে এটি ভালো কাজ করে। এটি ক্ষুদ্র হয়ে যাওয়া পুরুষাঙ্গকে পূর্বের আকৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
Kali Bromatum: বিষন্নতাজনিত কারণে যৌন দূর্বলতায় এটি প্রযোজ্য। এর প্রধান প্রধান লক্ষণগুলো হলো স্মরণশক্তির দূর্বলতা, স্নায়ুবিক দূর্বলতা, হাত দুটি সর্বদাই ব্যস্ত থাকে ও মৃগীসহ ইত্যাদি।
কোনিয়াম(Conium):
স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অত্যন্ত অধিক কিন্তু সহবাসে অক্ষম। স্ত্রী লোক দেখিলে, কাছে বসিলে, এমনকি মনে মনে ভাবিলেও বীর্যপাত হইয়া যায়। সহবাস কালে যদিও লিঙ্গ উত্থান হয়।বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং সোহাগ আলিঙ্গনের সময় শিথিল হইয়া পড়ে। ইচ্ছাও হয়, শক্তিও আছে, তবুও যাহারা অধিক দিন কাম রিপু দমন করিয়া রাখে তাহাদের ধ্বজভঙ্গ পীড়ায় কোনিয়াম অব্যর্থ মহোঔষধ।
সেবন বিধি: শক্তি 200, 1m বা আরও উচ্চ শক্তি ২-৪ মাত্রাই উপকার হয়।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)