নবীজির বিড়ালের নাম , হ্যাঁ রাসূল ﷺ এর এক আদরের বিড়াল ছিল ‘মুয়েজ্জা’। একদিন তার পবিত্র পরিচ্ছদের একাংশে বিড়ালটা পরম ভালোবেসে ঘুমিয়েছিলো। মুহাম্মদ ﷺ তাকে টেনে তোলেননি, পোশাক ঝাড়া দেননি, লাথি মেরে দূর দূর করে তাড়িয়েও দেননি। ঘুম ভেঙে যেতে পারে ভেবে, পাছে বিড়ালটির কষ্ট হয় তাই গায়ে হাত বুলিয়ে ডাকও দেননি। তিনি যা করেছেন, তা কেউ কল্পনাও করতে পারবেনা বাস্তবে করাতো অনেক দূরের ব্যাপার।
মুহাম্মদ ﷺ আলতো করে ঘুমন্ত বিড়ালটার সমপরিমাণ জায়গা রেখে বাকি কাপড়টুকু কেটে ফেলেছিলেন। ছেড়া পোশাকটি গায়ে চড়িয়ে দিব্যি নামাজে রওনা দিলেন।
একদিন এক প্রসিদ্ধ সাহাবী বিড়াল ছানা কোলে নিয়ে খেলছেন। তিনি নতুন না, বেশ কবার বিড়াল কোলে নিয়ে আদর করতে করতে মসজিদে আসতেন। নবী মুহাম্মদ ﷺ এর কাছে ধর্ম শিক্ষা গ্রহণ করতেন। কোলে বিড়ালকে আদর করতে থাকা অবস্থায় মুহাম্মদ ﷺ তাকে কাছে ডাকলেন। এই বিড়ালের বাপ এদিকে আসো। ভদ্রলোকের ভ্রু কুঁচকে যায়নি, সরল বোকা মানুষের মতো মুচকি হাসলেন ।
প্রিয় শিক্ষকের এই ডাকটা তার মনে ধরেছে খুব। সিদ্ধান্ত নিলেন নিজের নামটাই বদলে ফেলবেন। নবীর ভালোবাসার নিদর্শনের দরুন আমরা সবাই তাকে বিড়ালের বাপ বলেই ডাকি। সহীহ হাদিসের সর্বোচ্চ পরিশুদ্ধ বর্ণনাকারী হিসেবে তিনিই ‘আবু হুরায়রা’ নামে পরিচিত।
মক্কা সহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ মসজিদে বিড়ালের অবাধ অনুপ্রবেশ। এরা প্রত্যেক ইবাদতকারীর পাশেই ঘুমায়, গা ঘেঁষে বসে থাকে যেখানে সেখানে। মানুষের আদর ভালোবাসায় লাই দিয়ে গড়া অদ্ভুত এই বিলাসপ্রবণ প্রাণী!
নবীজির বিড়ালের নাম
এটি সবসময় ক্ষেত্রে নাও হতে পারে, তবে পয়সা পানে খুশকি আপনার ফুসফুসে কে প্রভাবাতে করে। আপনি সঠিকভাবে যে পড়া পোশাক পানির খুশকি শুধু চুলকানি চোখ এবং একটি সর্দি হতে পারে না, কিন্তু পোষা খুসনি আপনার শ্বাসযত্নের সিস্টেমের জন্য সম্ভাবনা ক্ষতিকারক হতে পারে। আমেরিকান লাঙ্গ অ্যাসোসিয়েশন এর মতে এটি ফুসফুসের কাজ করার ক্ষমতা হ্যাশ করতে পারে। নিশ্চিত করুন যে আপনি এবং আপনার প্রয়োজনেও নিরাপদ আছে; ব্যাসিক থেকে শুরু করা যাক।
আব্দুল্লাহ্ ইব্ন মাসলামা—দাউদ ইব্ন সালেহ্ইব্ন দীনার আত-তাম্মার হতে তার মাতার সূত্রে বর্ণিত । একদা তাঁর মনিব তাকে হযরত আয়েশা (রা.)-র নিকট “হারিসাহ্”-সহ প্রেরণ করেন। অতঃপর আমি তাঁর নিকট পৌছে দেখতে পাই যে, তিনি নামায রত আছেন। তিনি আমাকে (হারিসার পাত্রটি) রাখার জন্য ইশারা করলেন
। ইত্যবসরে সেখানে একটি বিড়াল এসে তা হতে কিছু খেয়ে ফেললো হযরত আয়েশা (রা.) নামায শেষে বিড়ালটি যে স্হান হতে খেয়েছিল সেখান হতেই খেলেন এবং বললেন, নিশ্চয়ই রাসূল্লুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘বিড়াল অপবিত্র নয়। এরা তোমাদের আশেপাশেই ঘুরাফেরা করে’। অতঃপর হযরত আয়েশা (রা.) আরো বলেন, ‘আমি রাসূল্লুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বিড়ালের উচ্ছিষ্ট পানি দ্বারা উযু করতে দেখেছি’। (সুনান আবু দাউদ, ৭৬
পোষা খুশকি কি?
মায়ো ক্লিনিকে এটিকে প্রভাবে তুলে ধরে: পোষা পারসেন এলার্জিগুলো একটি পোষা প্রাচীর শেডে ত্বকের মৃত ফ্লেক্সের সংস্পর্শে আসার ফলে শুরু হয়। পশম সহ যে কোন পানি পোষা পানির এলার্জির উতস হতে পারে। পোষা পানির এলার্জি সাধারণত বিড়াল এবং কুকুরের সাথে সম্পর্কিত। তার মানে চামড়ার সেই মৃত ফ্লাক্স গুলি সর্বত্র পাওয়া যাচ্ছে: কার্পেট, বিছানা, পালং এবং এমনকি বায়োমোগলে।
ইসলামে বিড়াল পালনে কি বলে
৬ টি কারণে আপনার বিড়াল পালন করা উচিৎ।
বিড়াল আপনার বাড়িতে ফেরেশতাদের নিয়ে আসে।
তারা সুন্নত নিয়ে আসে।
তাদের লালা বিশুদ্ধ।
বিড়াল নিজেদের পরিষ্কার রাখে।
তারা খুব শান্ত।
কাবশাহ্ বিনতু কা‘ব ইবনু মালিক (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি ছিলেন আবূ ক্বাতাদাহ্ (রা.)-এর পুত্রবধূ। আবূ ক্বাতাদাহ্ (রা.) তাঁর নিকট ছিলেন। তিনি তাঁর জন্য ওযুর পানি ঢাললেন। একটি বিড়াল এলো এবং ওযুর পাত্র হতে পানি পান করতে লাগলো। আর তিনি পাত্রটি তার জন্য কাত করে ধরলেন যে পর্যন্ত পান করা শেষ না হলো। কাবশাহ্ বলেন,
তিনি আমার দিকে তাকিয়ে দেখলেন, আমি তাঁর দিকে চেয়ে আছি। তিনি আমাকে বললেন, আমার ভাতিজী! তোমার কাছে আশ্চর্য লাগছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বিড়াল নাপাক নয়। এটা তোমাদের আশে পাশে ঘন ঘন বিচরণকারী বা বিচরণকারিণী। (সহীহ : মালিক ৪৪, আহমাদ ২২০৭৪, আবূ দাঊদ ৭৫, তিরমিযী ৯২, নাসায়ী ৬৮, ইবনু মাজাহ্ ৩৬৭, দারিমী ৭৩৬, ইরওয়া ১৭৩)
বেশ কিছু গবেষণা দেখা গেছে, বিড়ালের লিটার মানসিক চাপ কমায়। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বিড়ালের মালিক; তাদের হৃদরোগে ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় ৩০ শতাংশ কম।
গবেষণায় দেখা যায় বিড়ালের উপস্থিতিতে ঘুম ভালো হয়। মায়ো ক্লিনিক সেন্টারে ফর স্লিপ মেডিসিনের পরামর্শ অনুযায়ী, একটি বিড়ালকে ঘুমের সঙ্গী হিসেবে রাখুন।
একটি বিড়ালের নিউ মিউ পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর শব্দগুলোর মধ্যে একটি, যা বেশি এবং জয়েন্ট এর প্রদাহ নিরাময়ে থেরাপের মতো কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে বিড়ালের ২০ থেকে ১৪০ Hz এর মধ্যে শব্দ উৎপন্ন করে। ফলস্বর,ূপ এটি জয়েন্ট এর এবং পেশাগুলির চিকিৎসায় থেরাপির হিসাবে ভূমিকা পালন করতে পারে।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)