নমস্কার সম্পর্কে ইসলাম কি বলে

নমস্কার সম্পর্কে ইসলাম কি বলে , ভারতবর্ষের দিকে শব্দটিকে নমস্তে বলা হয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং নমস্কার শব্দটি যখন কোন মানুষকে কেন্দ্র করে বলা হয়, তখন আসলে সেই মানুষটিকে সম্মান জানানো হয়ে থাকে। এর অর্থ দাঁড়ায়, “তোমাকে প্রণাম”।

নমস্কার সম্পর্কে ইসলাম কি বলে



নমস্কার এবং নমস্তে দুটো শব্দই এসেছে সংস্কৃত নমস (namas) থেকে (অনেকের মতে নমঃ namah থেকে), যার মানে হলো নত হওয়া বা কুর্নিশ করা (to bow down)। বলতে পারেন এটা অনেকটাই সলাতে রুকু করার মত।

নমস্কারঃ নমস + কার (অথবা, নমঃ + কার)। এখানে কার মানে হলো করা। অর্থাৎ নমস্কারের অর্থ দাড়াচ্ছে “(আমি) নত হচ্ছি/কুর্নিশ করছি”।

নমস্তেঃ নমস + তে। তে মানে হলো আপনাকে। এর অর্থ দাড়াচ্ছে “আপনাকে প্রণাম/আপনার প্রতি নত (হচ্ছি)”


ডঃ মহানামব্রত ব্রহ্মচারীজী নমস্কারের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন এর থেকে ভাল ব্যাখ্যা আর হয় না । সনাতন ধর্মে বলা হয়েছে প্রতিটি জীবের মধ্যে ঈশ্বর বাস করেন। ঈশ্বর দু ভাবে জীবের দেহে বাস করেন ।এক জন সগুন অপর জন নির্গুণ ।

সগুণ ঈশ্বর জীবের দেহে আছেন জীবাত্মা রূপে আর নির্গুণ ঈশ্বর আছেন পরমাত্মা রূপে ।বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং  আমরা যখন একজন অপরজনকে দেখি তখন নমস্কারের মাধ্যমে জানাই আমার সকল হৃদয় মন অঙ্গাদি দিয়ে আপনার মধ্যে যে ঈশ্বর বাস করছেন তাকে অভিবাদন জানাচ্ছি


কেন শরীয়তসম্মত নয়?



কারণ, ইসলামে এক আল্লাহ ছাড়া কারো উদ্দেশ্যে নত হওয়া নিষেধ। সৃষ্টিগত দিক থেকে আমি একজন মানুষ (একটা সৃষ্টি) এবং আপনিও একজন মানুষ (একটা সৃষ্টি)। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং সে হিসেবে আপনার আর আমার লেভেল একই। আপনি কেন আমার প্রতি নত হবেন, আর আমি কেন আপনার প্রতি নত হবো? আপনি আমার উর্ধস্ত নন, এবং আমি আপনার উর্ধস্ত নই। আমরা দুজনেই একই স্রষ্টার সৃষ্টি।


বরংচ একজন অন্যজনের প্রতি নত হওয়াটা শিরকের পর্যায়ে পরে।



আদাবঃ আদাব অনেকটাই নিউট্রাল, যার অর্থ হলো, অভিবাদন, সম্মান/শ্রদ্ধা জানানো। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং এটা হয়তোবা বলা যেতে পারে, কিন্তু এর থেকে সালাম অনেক বেশী সুন্দর এবং শান্তিময় (যেমনটা অন্য একজন উল্লেখ করলেন)।



السلام عليكم ورحمة الله وبركاته



অভিবাদনটি ডান হাত দিয়ে ইশারা করে দেয় হয়ে থাকে এবং বলা হয় “আবাদব আর্জ হ্যাই” যার অর্থ “আমি আপনাকে আমার শ্রদ্ধা জানাচ্ছি” বা সংক্ষেপে আদাব।বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং  প্রায়ই এর আনুরুপ ভঙ্গিতেই উত্তর দেওয়া হয় বা “ব্যবহৃত” শব্দটিকে উত্তর হিসাবে বলা হয়।



নমঃস্কার ’ শব্দটি এসেছে মূলত সংস্কৃত শব্দ ‘ নমঃ’ থেকে যার অর্থ সম্মানজ্ঞাপন পূর্বক অবনত হওয়া। [ সং নম্স+√কৃ+অ = নমস্ক্রিয়া নমস+√কৃ+অ+আ=‘নমঃস্কার ’ । বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং এই ব্যাপারে বৈদিক শাস্ত্র কী বলে- যো দেবো অগ্নী যো অপসু যো বিশ্বং ভুনাবিবেশ য ওষধীষু যো বনস্পতি তম্মৈ দেবায় নমো নমঃ।। ( শ্বেতাশ্বর উপনিষদ ২-১৭) ‘‘যোগ যেমন পরমাত্মার দর্শনের সাধন বা উপায়, নমস্কারাদিও অনুরুপ বলিয়া তাঁহাকে নমঃস্কার জানাই।


(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)