নেলসন ম্যান্ডেলা হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার একজন প্রখ্যাত বীর এবং নেতা।নেলসন ম্যান্ডেলার উক্তি, তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ছাত্র নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন, এবং অপার্থেইড বিধি বিরোধে লড়াইয়ে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হন। তার বীরত্ব, সামাজিক সমমান, এবং সাহসের বিচারে পরিচিত হন। তাঁর বহুত কিছু উক্তি রয়েছে, যা তাঁর বীরত্ব এবং ব্যক্তিগত ধার্মিক ভাবনাবিশেষে মূল্যবান। কিছু প্রসিদ্ধ উক্তির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে:
“আমি অসমাধান বৃদ্ধি হিসেবে নিশ্চিত যে বিপ্লব সমর্থন না করার পরিণতি হয় সহযোগিতা প্রদান না করার মতো।”
“মৃত্যু অগাধ স্বাধীনতা।”
“শিক্ষা একটি শস্য জোতা যার মাধ্যমে আপনি একটি জোতা আলোকিত করতে পারেন।”
“প্রতিযোগিতা অবশ্যই পরজয়ের জন্য নয়, বরং আমরা আমাদের প্রয়াসের মাধ্যমে যা পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে পারি, সেই জন্য প্রতিযোগিতা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।”
“একজন মানুষের মূল গুণ তাঁর সাহসের মাত্রা নয়, বরং তাঁর সমর্থন সামাজিক মর্যাদা এবং মানসিক দৃঢ়তা প্রদর্শন করা।”
এই উক্তিগুলি ম্যান্ডেলা এর মহান ধার্মিক, সামাজিক এবং রাজনীতি কর্মকাণ্ডের মধ্যে তাঁর দৃঢ় প্রত্যাশা এবং মূল্যবান বোধায় সাধারণ মানুষের জীবনে উত্তেজনা ও প্রভাব ছেড়েছে।
নেলসন ম্যান্ডেলার ১০ টি উক্তি
নেলসন ম্যান্ডেলা একজন অত্যন্ত মহান বীর, নেতা এবং ধর্মীয় আধারের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকার স্বার্থ ছাত্র নেতা হিসেবে পরিচিত। তাঁর উক্তি মানবিকতা, শান্তি এবং সামাজিক প্রগতির উচ্চ মর্যাদার সাথে ভরা আছে। এই নীচে তিনির ১০টি উক্তি:
“বৃদ্ধি অসমাধানের মধ্যে নেয় না, কেবল ব্যক্তিগত সফলতা নয়, সহযোগিতার মধ্যেও নেয়।”
“আমি নিশ্চিত যে, যত্ন এবং সাহসের মাধ্যমে, মানুষ যা সম্পাদন করতে পারে সেটা তিনি কখনও মনে করেন নি।”
“সবসময় স্মিতি বজায় রাখুন, কারণ এটি আপনার দৃঢ়তা এবং অদলবদলের উত্থান হতে সাহায্য করতে পারে।”
“প্রতিযোগিতা অবশ্যই হারানোর জন্য নয়, প্রতিযোগিতা আমাদের সমর্থন করার মাধ্যমে যা পরিবর্তন করতে পারি তা সবচেয়ে মৌলিক জিনিস।”
“শিক্ষা মানুষকে বিশ্বাস দেয়, যা ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং মানসিক মুক্তির একটি মাধ্যম।”
“সমাজের সর্বোচ্চ দায়িত্ব সারাদেশে এটি অস্থায়ী ব্যক্তিদের প্রতি সাহায্য করা যাতে সমাজের দায়িত্ব সুস্থ এবং সম্পূর্ণ হয়।”
নেলসন ম্যান্ডেলার উক্তি
“সময় আমাদের শক্তির স্রোত, আমরা এটিতে আগুন না লাগিয়ে সেই স্রোতটিকে ব্যবহার করতে পারি।”
“স্বাধীনতা পেতে অবশ্যই অনেক শক্তি এবং দৃঢতা প্রয়োজন, কিন্তু এটি অবশ্যই সম্পূর্ণ সম্পাদন না করাটি হল যা অসম্ভব।”
“আমি প্রয়োজন নেই নাকি প্রশ্নের উত্তর এবং প্রশ্নটি আমার একটি সাধারণ প্রশ্ন ছিল, যা আমি মানুষের কাছে প্রশ্ন করতে পারি।”
“সত্যি আত্মবল প্রাপ্ত করা হয় সময়ের প্রস্তুতি এবং প্রত্যাশার মাধ্যমে।”
নেলসন ম্যান্ডেলার জীবন কাহিনী
নেলসন ম্যান্ডেলা (Nelson Mandela) একজন অসামান্য ব্যক্তিত্ব, বীর এবং আধুনিক দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান নেতা ছিলেন। তিনি ১৯১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রদেশে মদুবানি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্ম হয় একটি এপর্ত্যেড সময়ে, যার প্রভাবে নেলসন ম্যান্ডেলা ওয়েস্টার্ন কেপ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চায়নি। তিনি প্রথমে দ্বন্দ্বীতা এবং এপর্তাইড প্রতিরোধে সক্রিয় হয়ে নেমে পরে আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের (ANC) সদস্য হন।
ম্যান্ডেলা এবং তাঁর সঙ্গীদের অন্যান্য কর্মীরা এপর্তাইডের বিরোধে সক্রিয় হয়ে গণসংগ্রামে জড়িত হন, যার ফলে ১৯৬৪ সালে ম্যান্ডেলা এবং অন্যান্য প্রধান ANC নেতৃবৃন্দ অপার্থেইড আইন লঙ্ঘন ও উদ্বেগ সৃষ্টি করার অভিযোগে আটক করা হয়েছিল। ম্যান্ডেলা এবং অন্যান্য নেতাদের তাড়াতাড়ি সাবক বিচার করা হয়, এবং তাঁরা দুর্দান্ত বিচারের ফলে সেল ব্যক্তিদের প্রশংসা ও বিশ্বব্যাপী সমর্থন পেয়ে মুক্তি পেয়ে গিয়েছেন।
১৯৯৪ সালে, এপর্তাইড ব্যক্তিবাদ পরাজিত হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ম্যান্ডেলা নির্বাচিত হন। এই সময়ে, তিনি একটি শক্তিশালী সাম্প্রদায়িক বিভাজন এবং যাত্রাপ্রত্যাশা নিরসন করার চেষ্টা করেন। ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার সমর্থন ও একতা রক্ষার প্রস্তুতি করেন, যা তাঁর দক্ষিণ আফ্রিকারে সামাজিক এবং রাজনীতিক প্রগতির জন্য গণসংগ্রামের প্রচেষ্টা করে।
শেষ কথা
নেলসন ম্যান্ডেলার একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন, যাঁর বীরত্ব, ধৈর্য, সমর্থন ও বিনয় দক্ষিণ আফ্রিকার এবং বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতা সংগ্রামে এক অভিনব ভূমিকা প্রদান করে। এপর্যন্ত তাঁর জীবন গল্প এক দীর্ঘ এবং স্থায়ী বিপ্লবের বর্ণনা করে, যা আমাদের প্রেরণা ও অনুমোদন দেয় যে সত্য, ধৈর্য, এবং মানবতার সাথে সম্পর্কিত মৌলিক মানদণ্ড যেমন ব্যক্তিগত ধার্মিক মতান্তর বা ন্যায় সম্পর্কে তাঁর উক্তি ও প্রক্রিয়ার মধ্যে অটুট মিল রয়েছে।
তাঁর বিশ্বব্যাপী প্রভাব ও উত্সাহের ফলে তিনি বহু মানবতাবাদীর হৃদয়ে অমৃতত্ব অর্জন করে এবং প্রয়াস করে সমাজের উন্নতি ও সমগ্রতা বাঞ্ছাগুলিতে এগিয়ে যান। তিনি ২০১৩ সালে বিশ্বের হাস্য স্বাধীনতা দিবসের পক্ষে এবং আধুনিক দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী সরহা রামাফোসা দ্বারা উপাধি প্রদান করা হয়।
নেলসন ম্যান্ডেলা ৫ দিনের এক দিনে ২০১৩ সালে ৯৫ বছর বয়সে বিশ্ব বিদায় দিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর প্রভাব আমরা আজও সমাজে, রাজনীতিতে, স্বাধীনতা সংগ্রামে এবং বীরত্বের ক্ষেত্রে অনুভব করতে পাচ্ছি। তাঁর উদাহরণ এবং উক্তি মানবতার বৃদ্ধির দিকে আমাদের স্থায়ী প্রেরণা দেয় যেখানে একজন ব্যক্তির ধৈর্য, সত্য এবং সমর্থন মানবতার উন্নতির পথে এগিয়ে গেলে তার প্রভাব অনুসরণ করে ও প্রয়োজন মানবকে বদলে দিতে সাহায্য করে।
