পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট এর নাম

পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট এর নাম , ডায়রিয়া খুব একটা মারাত্মক হয় না ফলে এর জন্য এটি হলে এন্টিবায়োটিক খাওয়ার খুব একটা প্রয়োজন হয় না। তবে যদি, মারাত্মক হয়ে দাড়ায় তবে এটি নিধন করার জন্য কিছু ঔষধ আছে যা উপরে বলেছি।

?উপাদান : এ্যালবেনডাজল। ৪০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট এবং ২০০ মি.গ্রা./৫ মি.লি. সাসপেনশন।


?নির্দেশনা : কৃমি দ্বারা সংক্রমিত অন্ত্রের একক বা মিশ্র সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

?মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :

১-২ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে: অর্ধেক এ্যালমেক্স® ৪০০ ট্যাবলেট বা ১ চা চামচ এ্যালমেক্স® সাসপেনশন একক মাত্রায় সেব্য। প্রাপ্ত বয়স্ক এবং ২ বছর বা অধিক বয়সের শিশুদের ক্ষেত্রে এসকারিয়াসিস, এন্টারোবিয়াসিস, বক্র কৃমি সংক্রমণ, ট্রাইচুরিয়াসিস-এর চিকিৎসায় সাধারণ মাত্রা ৪০০ মি.গ্রা.।

পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট এর নাম


স্ট্রংগাইলইডিয়াসিস এবং টিনিয়াসিস এর ক্ষেত্রে ৪০০ মি.গ্রা. করে পর পর তিনদিন। বয়স্কদের ক্ষেত্রে হাইডাটিড রোগের চিকিৎসায় ৪০০ মি.গ্রা. দিনে দুই বার করে ২৮ দিন সেব্য। সুস্থ না হলে ১৪ দিন ব্যবধানে পুনরায় ২৮ দিন সেব্য।


পাতলা পায়খানার ঔষধ এন্টিবায়োটিক



কিন্তু যদি অত্যান্ত মারাত্মক হয়ে যায় তাহলে এর জন্য কয়েকটি এন্টিবায়োটিক রয়েছে যেমনঃ- সিপ্রোফ্লক্সাসিন, মেট্রোনিডাজল বা অ্যাজিথ্রোমাইসিন ইত্যাদি। তবে এগুলো খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতেই হবে। এছাড়া এটি খাওয়া মটেও ঠিক হবে না। আর খুব মারাত্মক না হলে এটা খাওয়ার দরকার নেই।


লপেরামাইড হলো অ্যান্টিমটিলিটি ওষুধ। মানে এটি খেলে অন্ত্রের চলন কমে যায়, ফলে বারবার টয়লেটে যাওয়ার প্রবণতা কমে। কিন্তু এটি ডায়রিয়া সারাতে সাহায্য করে এমন কোনো প্রমাণ নেই। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ ধরনের ওষুধ খাওয়া বারণ।

যেমন ১২ বছর বয়সের নিচে শিশুর যদি ডায়রিয়ার সঙ্গে জ্বর বা পেট কামড়ানো থাকে, পেট ফুলে যাওয়া বা আলসারেটিভ কোলাইটিস-জাতীয় রোগে। এ ছাড়া এ ধরনের ওষুধ খেলে মাথা ঘোরা, মাথা হালকা বোধ হওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি হতে পারে।


উল্টো দিকে সিপ্রোফ্লক্সাসিন, মেট্রোনিডাজল বা অ্যাজিথ্রোমাইসিন ইত্যাদি হলো অ্যান্টিবায়োটিক। আমরা জানি যে বেশির ভাগ ডায়রিয়াই হলো ভাইরাসজনিত, কখনো কখনো ফুড পয়জনিংয়ের কারণে হয়ে থাকে। এ ধরনের ডায়রিয়া এমনিতেই সারে। কোন ধরনের ডায়রিয়ায় অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে, তার স্পষ্ট নির্দেশিকা আছে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত।

 


পাতলা পায়খানা হলে কী কী খাওয়া উচিত

 


ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা মূলত যখন হয় তখন শরীরে পানি শূণ্যতা দেখা দেয়। ফলে এই সময় যে খাবার গুলো খেলে শরীরে পানির শূণ্যতা হ্রাস পাবে সেগুলো খাওয়া উচিত। নিচে কয়েকটি খাবারের তালিকা দেওয়া হলো।


১. লেবুর শরবত চিনি ছাড়া লবণ দিয়ে।
২. ডাবের পানি।
৩. স্যালাইন।
৪. ভাতের মাড় হালকা লবণ দিয়ে।


এছাড়াও তরল জাতীয় এবং লবণ জাতীয় খাবার খেতে হবে। আর বেশি করে স্যালাইন এবং পানি খেতে হবে। আর মুখের রুচি না থাকলে লেবু খাবেন বেশি করে।

(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)