পাথরকুচি পাতার ক্ষতিকর দিক , কলেরা, ডায়রিয়া কিংবা রক্ত আমাশয়ে ভুগছেন? সজীব পাথরকুচি পাতার সাথে জিরা গুড়া এবং ঘি মিশিয়ে কিছুদিন সকালে খালি পেটে পান করুন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং পাথরকুচি পাতার রসের সাথে আধা কাপ গরম পানি মিশিয়ে পান করলে শরীরের জ্বালাপোড়া দূর হয়। জন্ডিস নিরাময়ে এবং উচ্চ রক্তচাপ আয়ত্বে রাখতে পাথরকুচি পাতার রস অনেক কার্যকরী।
পাথরকুচি পাতার ক্ষতিকর দিক
পাথরকুচি পাতার ওষুধি গুণাগুণ সম্পর্কে:
কিডনির পাথর অপসারণ: পাথরকুচি পাতা কিডনি এবং গলগণ্ডের পাথর অপসারণ করতে সাহায্য করে।
পেট ফাঁপা: অনেক সময় দেখা যায় পেট ফুলে গেছে, প্রসাব আটকে আছে। সে ক্ষেত্রে একটু চিনির সঙ্গে এক বা দুই চা-চামচ পাথর কুচির পাতার রস গরম করে খেলে উপকার পাওয়া যাবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং পানির সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন।
মৃগী: মৃগী রোগাক্রান্ত সময়ে পাথর কুচির পাতার রস ২-১০ ফোঁটা করে মুখে দিতে হবে। একটু পেটে গেলেই রোগের উপশম হবে।
শিশুদের পেট ব্যথায়: শিশুর পেটব্যথা হলে, ৩০-৬০ ফোঁটা পাথর কুচির পাতার রস পেটে মালিশ করলে ব্যথার উপশম হয়।
পাতার ব্যবহার কি কি
জৈব মালচগুলি পচে যাওয়ার সাথে সাথে তারা আপনার ল্যান্ডস্কেপ গাছগুলির ব্যবহারের জন্য মূল্যবান পুষ্টি মুক্ত করে। সবজি বাগানে, ফুলের বিছানায় এবং ঝোপঝাড় ও গাছের আশেপাশে মালচ হিসেবে পাতা ব্যবহার করা যেতে পারে। র্যাকিংয়ের বিকল্প হিসাবে, ব্যাগিং সংযুক্তি সহ একটি লন ঘাসের যন্ত্র পাতা ছেঁড়া এবং সংগ্রহ করার একটি দ্রুত এবং সহজ উপায় প্রদান করে।
ত্বকের যত্ন: পাথরকুচি পাতায় প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
পাইলস: পাথরকুচি পাতার রসের সঙ্গে গোল মরিচ মিশিয়ে পান করলে পাইলস ও অর্শ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
জন্ডিস নিরাময়ে: লিভারের যেকোনো সমস্যা থেকে রক্ষা করতে তাজা পাথরকুচি পাতা ও এর জুস অনেক উপকারী।
উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং মুত্রথলির সমস্যা থেকে পাথরকুচি পাতা মুক্তি দেয়।
শরীর জ্বালাপোড়া: দু-চামচ পাথর কুচি পাতার রস, আধা কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে দুবেলা খেলে জ্বালাপোড়া উপশম হয়।
আমেরিকা ও ইউরোপের তুলনায় সৌদি আরবে যথাক্রমে ১০% ও ৫০% বেশি কিডনি স্টোন হয়। ঘন ঘন কিডনি স্টোন হওয়া আটকাতে প্রচুর পরিমানে জলপানের সুপারিশ করা হয়। এক লিটারের এক চতুর্থাংশ কফি বা চা ১০% কিডনি স্টোনের ঝুঁকি কমাতে পারে, অথচ সম পরিমান ওয়াইন ও বিয়ার এই ঝুঁকি কমায় যথাক্রমে ৫০% ও ৪০%। আঙুরের রসেও কিডনি স্টোনের ঝুঁকি ৪০% বেড়ে যায়।
অত্যধিক মানসিক চাপ স্টোন হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। বলা হয়, চাপের সময় ভাসোপ্রেসিন হর্মোনটি অত্যধিক মাত্রায় নিঃসৃত হয়ে এই কাজটি করে।
স্টোন এড়াতে সুপারিশ
ক্যালসিয়াম স্টোনের ঝুঁকি কমাতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করা হয়। আসলে ইউরিনের অ্যাসিডিটি ও ক্ষারকত্বের মধ্যে ভারসাম্য থাকা জরুরি। ভারসাম্য স্বাভাবিক থাকলে স্টোন সৃষ্টিকারী দ্রব্যগুলি ইউরিনে দ্রবীভূত থাকে, অতিপৃক্ত হয়ে পড়ে না।
জল বা পানীয় গ্রহণ: ইতিমধ্যেই ক্যালসিয়াম অথবা ইউরিক অ্যাসিড স্টোনে আক্রান্ত যাঁরা, তাঁদের প্রতিদিন অন্তত ১০ গ্লাস তরল গ্রহণ করা দরকার। এই তরলের অর্ধ্বেক অবশ্যই জল হবে। সিস্টিন স্টোন থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন ৪.৫ লিটারেরও বেশি জল খাওয়া দরকার।
এই জল দিনে ও রাতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর গ্রহণ করাই বাঞ্ছনীয়। অতিরিক্ত পরিশ্রম ও মানসিক চাপের পর যথেষ্ট পরিমান জল বা তরল গ্রহণ করলে সমস্ত ধরনের স্টোন থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)