পাদ দিলে কি ওযু ভেঙে যায় , তিরমিযী শরীফের একটি হাদিসে আছে- হযরত আবু হোরাইরা রা, থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ [সা] এরশাদ করেছেন, যখন আওয়াজ কিংবা দুর্গন্ধ পাওয়া যায় কেবল তখনই ওযু ওয়াজিব হয়। সূত্র: সুনানে তিরমিযী, ১:৩১,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে
তিরমিযী শরীফের অপর একটি হাদিসে রয়েছে তোমাদের কেউ যদি মসজিদে থাকাকালে গুহ্যদ্বারে কোন বাতাস অনুভব করে তাহলে আওয়াজ কিংবা দুর্গন্ধ না পাওয়া পর্যন্ত মসজিদ থেকে বের হবে না। সূত্র: সুনানে তিরমিযী, ১:৩১
পাদ দিলে কি ওযু ভেঙে যায়
সে অবস্থায় নামাজ থেকে বের হয়ে অজু সেরে পুনরায় নামাজে যোগ দেওয়াই নিয়ম। কালচার ডেভেলাপ না করায়, আমাদের সমাজে এ স্বাভাবিক বিষয়টিকে মানুষ খারাপ চোখে দেখে। মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং এখানে মানুষের পরোয়া না করে,
শরীয়তের বিধান পালন করাই উচিত। তবে, কেউ যদি লজ্জাবশত অজু ছাড়াই নামাজ অভিনয় করে থাকে এবং পরে অজু করে নামাজ দোহরায়, তাহলে সে কাফের হবে না। নিয়ম ভাঙ্গার জন্য গুনাহগার হবে।
নিম্নে উল্লিখিত বিষয়গুলোর যেকোনো একটি পাওয়া গেলে অজু ভেঙে যায়—
♦ প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হলে। (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৬)
♦ শরীরের কোনো স্থান থেকে রক্ত বা পুঁজ বের হয়ে গড়িয়ে পড়লে। (দারাকুতনি, হাদিস : ৫৮১)
♦ মুখ থেকে রক্ত বের হলে, যদি রক্তের পরিমাণ থুথু থেকে অধিক অথবা সমান হয়। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ১/১২৫)
মুসলিম শরীফেও এ-ব্যাপারে একটি স্পষ্ট বর্ণনা পাওয়া যায়। হযরত আবু হোরাইরা [রা] থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ [সা]এরশাদ করেন যখন কোন ব্যক্তি পেটের রোগে আক্রান্ত হয় অতপর তার কাছে এ-বিষয়টি অস্পষ্ট হয়ে যায় যে, তার বায়ু নির্গমন হয়েছে কি না? তাহলে সে মসজিদ থেকে বের হবে না যতক্ষণ না সে আওয়াজ শুনবে, অথবা দুর্গন্ধ পাবে। সূত্র: সহী মুসলিম: হাদিস নং:৩৬২,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)