পানি খাওয়ার দোয়া,ইসলাম কি বলে?

পানি খাওয়ার দোয়া,পান করার দোয়া↓↓পানি পান করার শুরুতে এই দোয়া,পড়বে, ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّﻪ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴْﻢِউচ্চারণ ঃ বিস্মিল্লাহির রাহমানির রাহীম।

 


পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম পানি জমজমের পানি। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘ভূপৃষ্ঠের শ্রেষ্ঠ পানি জমজম। এতে রয়েছে খাদ্যের বৈশিষ্ট্য ও রোগ থেকে মুক্তি।’ -(আলমুজামুল কাবির : ১১১৬৭; মাজমাউয যাওয়ায়েদ : ৫৭১২)।

 

পানি খাওয়ার দোয়া

 

আরও বর্ণিত হয়েছে, ‘যে উদ্দেশ্যে জমজম পান করা হবে তা পূরণ হবে। যদি তুমি রোগমুক্তির জন্য তা পান কর আল্লাহ তোমাকে সুস্থ করে দেবেন।’ (মুসতাদরাকে হাকেম : ১৭৩৯)




পান করা শেষ হলে এই দোয়া পড়বে



ﺍَﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠّﻪِ ﺍﻟَّﺬِﻱْ ﺟَﻌَﻠَﻪ ﻋَﺬْﺑًﺎ ﻓُﺮَﺍﻃًﺎ ﺑِﺮَﺣْﻤَﺘِﻪ ﻭَ ﻟَﻢْ
ﻳَﺠْﻌَﻠْﻪ
ﻣِﻠْﺤًﺎ ﺍُﺟَﺎﺟًﺎ ﺑِﺬُﻧُﻮﺑِﻨَﺎ


উচ্চারণ ঃ আল্হামদুলিল্লাহ
ীল্লাজী জা‘আলাহু
আ‘জবান ফুরাতান ওয়া লাম
ইয়াজআ‘ললাহু মিলহান
উজাজান।



আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ.) বলেন, হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জমজমের পানি পান করেছিলাম স্মৃতিশক্তিতে হাফিজ শামসুদ্দিন জাহাবি (রহ.)-এর স্তরে পৌঁছার নিয়তে। সুয়ুতি বলেন, ইবনে হাজার ওই স্তরে পৌঁছেছিলেন; বরং তার স্মৃতিশক্তি আরও অধিক প্রখর হয়েছিল। (তাবাকাতুল হুফফাজ : ১/৫২২)

 



চা, কফি, ঠান্ডা ইত্যাদি পানীয়
পান করার সময় পড়বে –


ﺍَﻟﻠّﻬُﻢَّ ﺑَﺎﺭِﻙْ ﻟَﻨَﺎ ﻓِﻴْﻪ ﻭﺯِﺩْﻧَﺎ ﻣِﻨْﻪ
উচ্চারণ ঃ আল্লাহুম্মা
বারিকলানা ফীহী
ওয়াজিদনা মিনহু।



ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেন, আমি এমন মানুষও দেখেছি, যিনি অর্ধ মাস কিংবা তারও বেশি সময় শুধু জমজমের পানি পান করেই কাটিয়েছেন। কখনও ক্ষুধা অনুভব করেননি। অন্যান্যদের সঙ্গে খুব স্বাভাবিকভাবেই তাওয়াফ করতেন। তিনি আমায় বলেছেন, একবার তো শুধু জমজমের পানি পান করেই চল্লিশ দিন কাটিয়েছেন।



যমযমের পানি কিবলামূখী হয়ে
পান
করার সময় এই
দোয়া পড়বে –


ﺍَﻟﻠﻬُﻢِّ ﺍِﻧّﻲْ ﺍَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻋِﻠْﻤًﺎ ﻧَﺎﻓِﻌًﺎ ﻭَﺭِﺯْﻗًﺎ ﻭَﺍﺳِﻌًﺎ
ﻭَﺷِﻔَﺎﺀً ﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ
ﺩَﺍﺀٍ


উচ্চারণ ঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী
আ‘সআলুকা ই‘লমান
নাফি‘আ ওয়া রিজকান ওয়াছি‘আ
ওয়া সিফাআম মিন
কুল্লি দায়ীন।



জমজমের পানি পানের নিয়ম ও দোয়া



মুহাম্মাদ ইবন আব্দুর রহমান ইবন আবু বকর থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমি ইবনে আব্বাস (রা)-এর নিকট বসা ছিলাম। এক ব্যক্তি তাঁর নিকট এলো ।
তখন তিনি জিজ্ঞাসা করেন, তুমি কোথা থেকে এসেছ? সে বলল, জমজমের নিকট থেকে। তিনি জিজ্ঞাসা করেন, তুমি কি তা থেকে প্রয়োজন মত পান করেছ?



সে বলল, কিভাবে ? তিনি বললেন, তুমি যখন তা থেকে পান করবে, তখন কিবলামুখী হবে, আল্লাহর নাম স্বরণ করবে, তিনবার নিঃশ্বাস নিবে এবং তৃপ্তি সহকারে পান করবে। পানি পান শেযে তুমি মহামহিম আল্লাহর প্রশংসা করবে। কারণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাদের ও মুনাফিকদের মধ্যে নিদর্শন এই যে, তারা তৃপ্তিসহকারে যমযমের পানি পান করে না। -(সুনান ইবন মাজা, হাদীস নং- ৩০৬১)


(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)