পায়খানার রাস্তা চুলকায় কেন,ডাক্তারের পরামর্শ ও স্বাস্থ্য টিপস

পায়খানার রাস্তা চুলকায় কেন , মলদ্বারে স্নায়ুতন্ত্রের প্রাচুর্যের কারণে সম্ভবত এটি বিভিন্ন ধরনের উত্তেজকের প্রতি বেশি সংবেদনশীল।ডাক্তার ও অভিজ্ঞতাদের পরামর্শ অনুযায়ী  অল্প কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর চিকিৎসা করা সম্ভব, তবে তা নির্ভর করে রোগীর সঠিক ইতিহাস নেওয়া, বিশেষ করে খাবারের এবং বিশেষ ধরনের আধুনিক ও অত্যাধুনিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার ওপর।

পায়খানার রাস্তা চুলকায় কেন



চুলকানি সাধারণত মলদ্বারে হয়ে থাকে। কখনও কখনও যৌনাঙ্গে চুলকানি দেখা যায়। কিন্তু ব্যাপারটি কখনও সারা শরীরে হয় না। এটি বেশি অনুভূত হয় রাতে। ডাক্তার ও অভিজ্ঞতাদের পরামর্শ অনুযায়ী  এমনকি চুলকাতে চুলকাতে রোগীর ঘুম ভেঙে যায়। এর ফলে নখের আঁচড়ে মলদ্বারে ক্ষত হয়ে যায়।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে সুগন্ধি সাবান, রঙিন-সুগন্ধি ও খসখসে টয়লেট পেপার ব্যবহারও পায়ুপথে চুলকানির কারণ হতে পারে।


৩. যারা অতিরিক্ত ঘামান তাদের এই ধরনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
৪. ছোটদের ক্ষেত্রে কৃমি চুলকানির প্রধান কারণ। সাধারণত রাতের বেলা ঘুমের সময় শিশুদের মলদ্বার চুলকায়।
৫. বড়দেরও কৃমির কারণে চুলকানি হতে পারে।


৬. অনেক সময় মলদ্বার বা এর আশেপশে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণের কারণে চুলকানি হয়। সাধারণত মহিলারা তুলনামূলক বেশি ছত্রাকের আক্রমণের শিকার হন।
৭. যৌনবাহিত রোগও মলদ্বারে চুলকানির কারণ হতে পারে।

ডাক্তারের পরামর্শ ও স্বাস্থ্য টিপস



পায়ুপথের চারপাশে যে লোম থাকে তার গোড়ায় সংক্রামণ বা সেখানের সোয়েট গ্ল্যান্ডের নালী বন্ধ হলেও হতে।ডাক্তার ও অভিজ্ঞতাদের পরামর্শ অনুযায়ী টিনিসমাস নামক এক ধরনের সিমটোম এ হতে পারে। .) ছত্রাক দিয়ে সংক্রামণ হলে হতে পারে। .) অ্যালার্জি থেকে ও সমস্যাটি হতে বেশ দেখা যায়।

এথেকে মুক্তি পেতে হলে কারন অনুসারে চিকিৎসা করতে হবে, যেমন কৃমি হলে কৃমিনাশক এলবেনডাজল, সংক্রামনের কারনে হলে পরিষ্কার থাকতে হবে, ডিটল দিয়ে ধুয়ে হবে,ডাক্তার ও অভিজ্ঞতাদের পরামর্শ অনুযায়ী । ছত্রাক দিয়ে হলে এন্টিফাংগাল ঔষুধ ব্যাবহার করতে হবে।


অনেকে আবার মলদ্বারে মরণব্যাধি ক্যানসার নিয়ে পাইলসের চিকিৎসার জন্য কবিরাজ, হেকিম কিংবা কোনো হাতুড়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হচ্ছেন। ডাক্তার ও অভিজ্ঞতাদের পরামর্শ অনুযায়ী  সেক্ষেত্রে তারা অপচিকিৎসার মাধ্যমে প্রতারিত হচ্ছেন এবং বলছেন মলদ্বারের চিকিৎসা করে ভালো হয় না।

তবে এটা সম্পূর্ণ একটি ভ্রান্ত ধারণা। চিকিৎসক রোগ নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসা দিলেই মলদ্বারের রোগ থেকে সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব।

(সূত্র:মেডিসিন টিপস)