পায়খানা বন্ধ হলে কি করতে হবে,ডাক্তারের পরামর্শ ও স্বাস্থ্য টিপস

পায়খানা বন্ধ হলে কি করতে হবে , পায়খানা কষা বা শক্ত হওয়াকেই মূলত কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়। এটি খুব পরিচিত একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং  অনেকেরই মাঝে মাঝে পায়খানা খুব শক্ত হয়ে যায়, মলত্যাগের সময় অনেকক্ষণ কসরত করতে হয়। এ ছাড়া পায়খানার পর মনে হয় পেট ঠিকমতো পরিষ্কার হয়নি।

পায়খানা বন্ধ হলে কি করতে হবে




সাধারণত সপ্তাহে যদি তিন বারের কম পায়খানা হয়, তবে সেটাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়। এ ছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য হলে যেসব লক্ষণ থাকতে পারে সেগুলো হলো—



পায়খানা শুকনো, শক্ত চাকার মত হওয়া
পায়খানার আকৃতি স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হওয়া
পায়খানা করতে কষ্ট হওয়া
পেট পরিষ্কার হচ্ছে না এমন মনে হওয়া
পেটে ব্যথা হওয়া, পেট ফাঁপা লাগা, বা বমি বমি ভাব হওয়া



সেক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। আর সেই কারণে পায়খানা খুব শক্ত হলে জোর করে মলত্যাগের চেষ্টা করবেন না। এই পরিস্থিতিতে Glycerin Suppository নিতে পারেন। এর ফলে ১৫ মিনিটের মধ্যে পায়খানার রাস্তা পিচ্ছিল হবে। এই ওষুধ কোনও প্রেসক্রিপশন ছাড়াই কেনা সম্ভব।




নানাবিধ কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কমন ও গুরুত্বপূর্ণ ৬টি কারণ হলো—



খাবারের তালিকায় যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ না থাকা
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করা
শুয়ে-বসে থাকা ও শারীরিক পরিশ্রমের অভাব
পায়খানার বেগ আসলে তা চেপে রাখা
মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা বিষণ্ণতা
ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া


এই কারণগুলো কিভাবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সৃষ্টি করে তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে এগুলো সমাধান করা সহজ হবে , বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে 


পায়খানার চাপ আসছে কিন্তু মল ত্যাগ করতে পারছেন না?


অনেক সময় পায়খানার বেগ আসে। কিন্তু, কোনওমতেই তা দেহ বার করা সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থায় যদি চাপ দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে পায়ুপথে সমস্যা হতে পারে। এমনকী, পায়ুপথ ছিঁড়ে যেতে পারে।



ফাইবার বা আঁশ হলো এক ধরনের শর্করা। পেট পরিষ্কার হওয়ার জন্য ফাইবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পরিপাকতন্ত্রের যে জায়গায় পায়খানা তৈরি হয় ও জমা থাকে, সেখানে ফাইবার অনেকটা স্পঞ্জের মত কাজ করে।বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে 

পানি শোষণ ও ধারণ করার মাধ্যমে ফাইবার পায়খানায় পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে পায়খানা নরম ও ভারী হয়, সহজেই শরীর থেকে বের হয়ে আসে। কিন্তু খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার না থাকলে পায়খানা শক্ত হয়ে যায়, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।

(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)