পিরামিড সম্পর্কে কোরআন , কুরআন নিজেই প্রাচীন মিশরীয়দের খারাপ লোক হিসাবে নিক্ষেপ করে বেশ কয়েকটি সুপরিচিত বাইবেলের বর্ণনা অন্তর্ভুক্ত করেছে । বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং প্রথমে মূসা ও ফেরাউনের গল্প, তারপর জোসেফ এবং পোটিফারের লম্পট স্ত্রীর গল্প। উভয় গল্পেই, মিশরীয়রা খারাপভাবে চলে আসে।
পিরামিড সম্পর্কে কোরআন
মূলত পিরামিডের মতো বিশাল ভবন নির্মাণের জন্য তারা মূলত নীল নদের কাছে পাওয়া সাধারণ কাদা ব্যবহার করত। তারপরে এটিকে জলের সাথে মিশ্রিত করে, এটিকে টেমপ্লেটে স্থাপন করে এবং অবশেষে আগুন জ্বালানো যতক্ষণ না এটি শক্ত হয়ে যায় এবং পাথরগুলি আজকের মতো আকারে তৈরি হয়।
প্রানিন মিশরের রাজাদের ফারাও বলা হত তারা এই পিরামিড তৈরি করে বলে ধারনা করা হয়।
সুরা কাসাস আয়াত ৩৮,
ফেরাউন বলল, হে পরিষদবর্গ, আমি জানি না যে, আমি ব্যতীত তোমাদের কোন উপাস্য আছে। হে হামান, তুমি ইট পোড়াও, অতঃপর আমার জন্যে একটি প্রাসাদ নির্মাণ কর, যাতে আমি মূসার উপাস্যকে উকি মেরে দেখতে পারি। আমার তো ধারণা এই যে, সে একজন মিথ্যাবাদী
এখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ফেরাউন তার উপদেষ্টা হাম্মাদ কে বলল তুমি ইট পুড়াও এবং প্রাসাদ নির্মাণ কর ,
ইট পুড়ানো মানে baked clay cast , আধুনিক baked clay সিমেন্ট কে নির্দেশ করে, যা উপরের গবেশনা দেখা যায়
এই প্রাসাদ হল পিরামিড , পিরামিড ফেরাউন এই জন্য তৈরি করে যে সে নিজেকে খোদা দাবি করত অতপর, মুসা (আঃ) ফেরাউন কে বলেছিল সৃষ্টি কর্তা আকশের উপরে থাকে , এই জন্য সে উচু পাহাড় প্রাসাদ নিরমান করে উপরে উকি দিয়ে দেখতে চেয়েছিল , তখনকার সময় ত এর চেয়ে উপরে যাওয়া সম্ভব ছিল না।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, পিরামিডের প্রস্তুতকারকেরা ছিলেন দক্ষ নির্মাতা, তাঁরা কেউই বাইরে থেকে আনা দাস ছিলেন না। তাঁরা মিশরেরই ছিলেন এবং আশেপাশের এলাকা থেকেই আসতেন। পিরামিডের আশেপাশেই ছিল স্থানীয় শ্রমিকদেরও থাকার জায়গা।
এই উদ্দেশ্যে গড়ে উঠেছিল বেশ কয়েকটি গ্রাম। এখন আমরা জানি যে, দাসদের দিয়ে পিরামিডগুলো বানানো হয়নি। কিন্তু তারপরও স্বীকার করতেই হয় যে, ক্ষমতাধরদের স্বার্থ এবং খেয়াল খুশির জন্য হাজার হাজার সাধারণ জনগণ শ্রম এবং জীবন দিয়ে আসছেন সেই তথাকথিত মানব সভ্যতার শুরু থেকেই।
তারই নিদর্শন এই পিরামিডগুলো। অনেক প্রশ্নের উত্তর মিললেও পিরামিডের ভিতরের অসংখ্য সুড়ঙ্গ, গোপন কুঠুরির ভেতরের রহস্য এখনও অমীমাংসিত। শুধু পিরামিডই নয়, প্রাক্তন ফারাওদের সংরক্ষিত মমিগুলোও আরেক বিস্ময়।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)