পিরিয়ড কত দিন থাকে , আগে ১৪-১৬ বছর মেয়েদের পিরিয়ড শুরুর গড় বয়স হিসেবে ধরা হত। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,তবে আজকাল মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত সমাজে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ১২-১৩ বছর বয়সে পিরিয়ড শুরু হয়ে যাচ্ছে।
সাধারণত ৩-৭ দিন। প্রথম ২ দিন রক্তপ্রবাহ একটু বেশি হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে প্রথম দিকে মাসিক নিয়মিত নাও হতে পারে। প্রথম ছয় মাস পর্যবেক্ষণ করতে হবে মাসিকের গতিপ্রকৃতি। বলা হয়ে থাকে সম্পূর্ণভাবে মাসিক প্রতিষ্ঠিত হতে দুই বছর পর্যন্ত সময় লাগে।
পিরিয়ড কত দিন থাকে
মাসিককে সহজ করার জন্য প্রথম দিনটি উদযাপন করা যেতে পারে।বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, মেয়ের পছন্দের কোনো খাবারের আইটেম রান্না করে বা নতুন একটি জামা উপহার দিয়ে বিষয়টি সহজ স্বাভাবিক করে তোলা যেতে পারে। সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
বিশেষ করে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার। খাবার ও বিশ্রাম গ্রহণ এই সময়ে শরীরের ক্ষয়পূরণ করতে অত্যন্ত জরুরি। স্কুলের ছেলে সহপাঠীদের ভেতরে এই বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে নেওয়ার বিষয়টি শিক্ষকদের যত্নসহকারে দেখতে হবে।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও মেডিসিন টিপস
কিশোরীদের অনিয়মিত মাসিকের কারণগুলো হলো-
ডিম্বাশয়ের অপরিপক্বতা, যার কারণে মেয়েলি হরমোন ইসট্রোজেন ও প্রজেস্টেরনের তারতম্য হয় এবং মাসিক যে পর্দা থেকে হয় সে পর্দা নিজেকে ধরে রাখতে পারেনা এবং ভাঙতে শুরু করে।
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রম, যেখানে অনিয়মিত মাসিকের সাথে হাতে-পায়ে ও মুখে অবাঞ্ছিত লোম হয় এবং ঘাড়ে ও গলায় কালো দাগ পড়ে যায়। ওজন বেড়ে যায়।
ঋতুস্রাব বা মাসিকের ফেজ এর তিনটি অংশ-
১) মেন্সট্রুয়াল ফেজ- ৪ দিন স্থায়ী হয় (৪-৭ দিন) ২) প্রলিফারেটিভ ফেজ- ১০ দিন স্থায়ী হয় (৮-১০ দিন) ৩) সেক্রেটরি ফেজ- ১৪ দিন স্থায়ী হয় (১০-১৪ দিন) ঋতুস্রাব বা মাসিক ফেজ – shajgoj.com ১. মেন্সট্রুয়াল ফেজ এই সময় যোনি পথে রক্ত বের হয়।
৪-৭ দিন স্থায়ী এই রক্তপাতে ভেঙ্গে যাওয়া রক্তকনিকা ছাড়াও এর সাথে শ্বেত কনিকা,বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, জরায়ুমুখের মিউকাস, জরায়ুর নিঃসৃত আবরণী, ব্যাকটেরিয়া, প্লাজমিন, প্রস্টাগ্লানডিন এবং অনিষিক্ত ডিম্বাণু থেকে থাকে। ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন হরমোনের যৌথ ক্রিয়ায় এই পর্বটি ঘটে।
২. প্রলিফারেটিভ ফেজ ৮-১০ দিন স্থায়ী হতে পারে। শুধু ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাবে এটি হয়। এই সময় জরায়ু নিষিক্ত ডিম্বাণুকে গ্রহণ করার জন্য প্রস্ততি নেয়।
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন