পিল খাওয়ার পর রক্তপাত , নরমালি মাসিকের রক্তপাত যা অতিরিক্ত হারেই বের হচ্ছে তবে যদি খুবেই অতিরিক্ত হয় বা অনিয়মিত ভাবে রক্তপাত আসে তাহলে অবশ্যই গাইনি চিকিৎসক এর পরামর্শ নিবেন। অভিজ্ঞতাদের পরামর্শ অনুযায়ী, জীবনযাত্রা ভালো করতে হবে এবং মুলত ইমার্জেন্সি পিলের কারনেই নানান সাইট ইফেক্ট প্রভাব ফেলে যা অক্ষতিকর বটে।
আর এরকম কারো ক্ষেত্রে ২/৩ মাস পর্যন্ত অনিয়ম মাসিক হতে পারে। কাজেই অপেক্ষা করুন ও প্রয়োজনে গাইনি ডাক্তারের পরামর্শ ও সেবা নিন।
পিল খাওয়ার পর রক্তপাত
রক্ত এক সপ্তাহের বেশি গেলে।
পেটে তীব্র ব্যথা তিন-পাঁচ সপ্তাহের বেশি থাকলে।
ওষুধ সেবনের দুই ঘণ্টার মধ্যে বমি হলে।
তিন সপ্তাহের মধ্যে ঋতুস্রাব না হলে।
নারীর স্বাভাবিক অভ্যাস যদি হয় পাঁচদিন হায়েয হওয়া এবং জন্ম নিরোধক পিল সেবনের ফলে হায়েযের মেয়াদকাল বেড়ে যায় তাহলে এ বেড়ে যাওয়া সময়টা মূলের অনুবর্তী হবে। অভিজ্ঞতাদের পরামর্শ অনুযায়ী, জীবনযাত্রা ভালো করতে হবে এবং অর্থাৎ এটাকে হায়েয হিসেবে গণ্য করা হবে; যতক্ষণ না এ রক্তপাত পনের দিনের বেশি সময় অতিক্রম না করে।
যদি পনের দিনের বেশি সময় অতিক্রম করে তাহলে সেটা ইস্তিহাযা (রোগজনিত রক্তস্রাব)। তখন সে নারী তার স্বাভাবিক হায়েযের মেয়াদকে ধর্তব্য ধরবেন। তার স্বাভাবিক মেয়াদকাল হচ্ছে—পাঁচদিন।[সমাপ্ত]
[ফাতাওয়া নুরুন আলাদ দারব (১/১২৩)]
‘ইমার্জেন্সি পিল’ কোনো জন্মনিয়ন্ত্রণপদ্ধতি নয়। অভিজ্ঞতাদের পরামর্শ অনুযায়ী, জীবনযাত্রা ভালো করতে হবে এবং এটি শুধু অপরিকল্পিত সহবাসের ফলে অযাচিত গর্ভধারণ প্রতিহত করে মাত্র। সুতরাং জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত যে পদ্ধতি ব্যবহার করছেন, তা-ই চালিয়ে যাবেন।
