পুরুষাঙ্গের যত্ন কিভাবে নিতে হয়,ইসলাম কি বলে?

পুরুষাঙ্গের যত্ন কিভাবে নিতে হয়,যৌনাঙ্গের পরিচ্ছন্নতা এক দিকে যেমন দূরে রাখে বিভিন্ন যৌন রোগ, তেমনই বৃদ্ধি করে যৌন মিলনের সামগ্রিক আনন্দকে। কী কী যৌন স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা পুরুষদের ক্ষেত্রে একান্তই আবশ্যিক, জেনে নিন—



যতটা সম্ভব শুকনো রাখুন যৌনাঙ্গ ও সংলগ্ন অঞ্চল। স্নান, সাঁতার কিংবা ঘাম হয় এমন কোনও কাজের পর চেষ্টা করুন পরিষ্কার করে গোপনাঙ্গ মুছে নিতে। এতে বিভিন্ন ছত্রাকের দ্বারা তৈরি হওয়া সংক্রমণের সম্ভাবনা হ্রাস পায় অনেকটাই।

 

পুরুষাঙ্গের যত্ন কিভাবে নিতে হয়



লিঙ্গকে পরিষ্কার রাখুন। যদিও দৈনিক স্বাস্থ্যবিধির কথা বলা জরুরী নয় বলে মনে হতে পারে তবে অনেক পুরুষই বুঝতেই পারে না যে প্রতিদিন স্নান করা এবং জলের নিচে থাকা লিঙ্গটি সাবধানে পরিষ্কার করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। লিঙ্গ ভাল করে পরিষ্কার করা মানে নিশ্চিতভাবে মৃত চামড়ার কোষ ধুয়ে ফেলা যা নতুন, তাজা চামড়া যৌনকর্মের জন্য প্রস্তুত রাখে।



নিয়মিত পরিষ্কার করুন যৌনাঙ্গ। প্রত্যেকের যৌনাঙ্গের নির্দিষ্ট গন্ধ রয়েছে। তাই জল বা নিজস্ব সাবান দিয়ে নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন ‘ইন্টিমেট ওয়াশ’ও, এগুলি যৌনাঙ্গ ও সংলগ্ন অঞ্চলে ৩.৫ পি-এইচ বজায় রাখতে সহায়তা করে। ফলে দূরে থাকে নানা ধরনের যৌন রোগ।



ভাল করে ময়শ্চারাইজিং করা ত্বকে যত বেশি আর্দ্রতা আটকে থাকবে, লিঙ্গের প্রান্তিক নার্ভগুলো তত সুস্থ থাকবে। কিন্তু যে কোন ময়শ্চারাইজার কাজ করবে না; একজন পুরুষের ওই ময়শ্চারাইজারগুলোই ব্যবহার করা উচিত যেগুলোতে শুধুমাত্র প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে, যা চামড়া মসৃণ এবং প্রলেপযুক্ত রাখতে প্রমাণিত হয়েছে এবং এটি ত্বকীয় পরীক্ষায় অনুমোদিত।



যৌন সংসর্গের আগে ও পরে পরিষ্কার করুন লিঙ্গ, মূত্রথলি, কুঁচকি। শিশ্নের টাইসন গ্রন্থির ক্ষরণ হয় পুরুষদের অজান্তেই, তাই নিয়মিত পরিষ্কারে বজায় থাকে পরিচ্ছন্নতা।



সময়ের সাথে সাথে অবস্থান পাল্টান। অনেক ছেলেদের যৌনসঙ্গমের সময় একটি যৌন অবস্থান বা হস্তমৈথুনের সময় একই ধরনের ধরা প্রিয় হয়ে ওঠে। এবং এটা প্রথম প্রথম ঠিক মনে হলেও,সময়ের সাথে সাথে শরীর ওই নির্দিষ্ট স্পর্শ বা কর্ম আশা করতে থাকে।




পরুন আরামদায়ক অন্তর্বাস। ফ্যাশন সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি ঠিকই, কিন্তু এটাও জানা দরকার যে অতিরিক্ত আঁটোসাঁটো পোশাক বা অন্তর্বাস যৌনাঙ্গে নানা সমস্যা তৈরি করে। এমনকি, কমিয়ে দিতে পারে শুক্রাণুর সংখ্যাও। চেষ্টা করুন ফ্যাশন যেন সুস্বাস্থ্যের পরিপন্থী না হয়ে যায়।

 

(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)