পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্ম কোনটি , মুসলিমরা বলবে ইসলাম ধর্মই শ্রেষ্ঠ ধর্ম আবার তখন হিন্দুরা বলবে যে না ইসলাম ধর্ম নয় বরং সনাতন ধর্মই শ্রেষ্ঠ ধর্ম।
এগুলো শুনে নাস্তিকরা হেসে হেসে বলবে যে কোনো ধর্মই শ্রেষ্ঠ নয়, সবগুলো ধর্মই মানুষের হাতে গড়া, সবগুলো ভুয়া। আবার খ্রিস্টানরা বলতে পারে খ্রিস্টধর্মই শ্রেষ্ঠ ধর্ম। এভাবেই চলতে থাকবে। নিজেরা নিজেদের ধর্মকে শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচনা করবে।
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্ম কোনটি
একজন মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কোথায় কতটুকু লাগবে আল কোরআন তার গাইড লাইন ।
একটা রাষ্ট্র কিভাবে চলবে আল কোরআন তার গাইড লাইন ।
সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক মদীনায় একটি কল্যাণময় ইসলামী রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন করেন। আর এ মর্মে কুরআনে কারীমে আল্লাহ তায়ালা তাঁকে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
আল্লাহ তায়ালার বাণী,
“(হে নবী) আমি সত্য ও সঠিকভাবে তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি, তা পূর্ববর্তী সমস্ত কিতাবের সত্যতা প্রতিপন্ন করে এবং তার সংরক্ষণ করে।
সুতরাং আল্লাহ যা কিছু নাযিল করেছেন, সে অনুযায়ী লোকদের মধ্যে তুমি বিচার ফয়সালা করো। আর যে সত্য তোমার কাছে এসেছে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে তাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করো না।” (সূরা মায়েদা: ৪৮)
কুরআনে কারীমে আল্লাহ তা‘য়ালা ইসলামী রাজনৈতিক ব্যবস্থার নীতিমালা পেশ করেছেন। রাসূল (সা.)আল- কুরআনের নির্দেশ অনুযায়ী মদীনায় হিজরতের পর সেখানে স্বাধীন ও উন্মুক্ত পরিবেশে যে ইসলামী সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করেন তা- ই পৃথিবীর ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ ও কল্যাণময় রাষ্ট্র। রাসূল (সা.) প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র আল্লাহর সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি লাভ করে।
ধর্ম ও রাষ্ট্রের সহাবস্থানে ইসলাম একটি সার্বজনীন ধর্ম ও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় পরিণত হয়। এক দশকের কম সময়ের মধ্যেই মদীনার এ রাষ্ট্র জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ব্যাপক সফলতা বয়ে আনে।
অহীর মাধ্যমে রাসূল (সা.) এ রাষ্ট্রের যাবতীয় কার্যক্রম দক্ষতার সাথে পরিচালনা করেন। যা আজও বিশ্ববাসীর কাছে এক অনুসরণযোগ্য রাষ্ট্র ব্যবস্থার মডেল হয়ে আছে এবং কিয়ামতের আগ পর্যন্ত থাকবে।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)