পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব কে , পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব মহানবী হযরত মুহাম্মাদ মুহাম্মাদ (সা.) । কুরআন এবং মুসলিম উম্মাহই কেবল তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি দেয়নি, দিয়েছেন অমুসলিম মনীষীরাও এমনকি অন্যান্য ধর্মগন্থও। ‘মাইকেল হার্ট’ যিনি বিশ্বের সর্বকালের সবচাইতে প্রভাবশালী একশত সেরা মনীষীর জীবনী লিখেছেন,
তিনি সেই জীবনী তালিকায় প্রথমেই মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে স্থান দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “মুহাম্মদ (সা.) এর সাফল্যের মধ্যে জাগতিক ও ধর্মীয় উভয় বিধ প্রভাবের এক অতুলনীয় সংমিশ্রণ ঘটেছে। এজন্য সংগতভাবেই তাঁকে ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।” -(দ্যা হ্যান্ড্রেড)
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলেন পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ মানব। তিনি ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ ই রবিউল আউয়াল মহানবী (সাঃ) সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আব্দুল্লাহ এবং মাতার নাম আমিনা।
তাঁর বয়স যখন কৈশোরে তখন একটি সত্য ও সুন্দর সমাজ গঠনের লক্ষ্যে শান্তিকামী যুবকদের নিয়ে তিনি গঠন করেন ‘হিলফুল ফুযুল’ অর্থাৎ শান্তিসংঘ। যার উদ্দেশ্য ছিল অত্যাচারীকে প্রতিরোধ করা,গোত্রে গোত্রে সম্প্রীতি বজায় রাখা, আর্তমানবতার সেবা করা ও শান্তি- শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা।
গুগলে best man, best human, best human in the world, ‘who is the best man in the world- ইত্যাদি লিখে সার্চ করলে প্রথমেই চলে আসে হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর নাম।
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব কে
মাইকেল হার্টসের লেখা ‘বিশ্ব সেরা ১০০ মনীষী’ গ্রন্থে প্রথম স্থানেই রয়েছে হযরত মুহাম্মদ (স)-এর নাম। ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত ওই বইটি বিভিন্ন মহলে ব্যাপক হইচই ফেলে দেয়।
গুগলের এ তথ্য এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘Best Man In The World ’Prophet Muhammad’. অর্থাৎ ‘নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, বিশ্বের সেরা মহামানব’ ইত্যাদি হ্যাশট্যাগে ভাইরাল হয়েছে।
মানবের শ্রেষ্ঠত্বের কোনো নৈর্ব্যক্তিক পরিমাপ অদ্যোবধি তৈরী হয় নি। সেরকম কিছু থাকলে মেপে ফেলে হিটলারের দুই, চার্চিলের আড়াই, বুদ্ধের সাড়ে নয়, গান্ধীজির পৌনে নয় এরকম করে সাজিয়ে নিলেই শ্রেষ্ঠ মানুষ পাওয়া যেত।
কিন্তু যদ্দিন তা না হচ্ছে, তদ্দিন “তেন্ডুলকর ব্যাটা বলে বাড়ি মারতে পারে, কিন্তু মহম্মদ রফির মতো গান গাইতে পারবে? তবে সে সেরা হয় কিসে” জাতীয় প্রশ্ন উঠতেই থাকবে। মোদ্দা কথা ব্যাটের বাড়ি আর গানের সুরের মধ্যে যেটা আপনার কাছে বেশী প্রিয়, তার কারবারীই আপনার কাছে শ্রেষ্ঠত্বের বৃহত্তর দাবীদার। তাই না?
আমার প্রথম এবং শেষ দাবী, আপনার পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব আমার পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ না-ও হতে পারেন। এতে দমে গেলে চলবে না।
বেশ। গৌরচন্দ্রিকা শেষ। কাজের কথায় আসি। আমার পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষটি পেশায় যোদ্ধা। তবে প্রাণহরণের জন্য খ্যাত নন, বরং প্রাণদানই তাঁর অবদান। একটি দুটি নয়, অসংখ্য প্রাণ। আসুন তবে পরিচয় করি লেফটেনান্ট কর্ণেল স্তানিস্লাভ ইয়েভগ্রাফোভিচ পেত্রফের সাথে। মানবসমাজ শুধু নয়, সম্ভবতঃ মানবসভ্যতা এই বীরের সাহসিকতার কাছে ঋণী।
কাল- মধ্যযাম, ২৬শে সেপ্টেম্বর, ১৯৮৩। সোভিয়েত-মার্কিন শীতল যুদ্ধ পুরোদমে চলছে। মস্কোর উপকণ্ঠে সেরপুখভ ১৫ নামে একটি বুঙ্কারে অবস্থিত সোভিয়েত আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেমে গোটা গোটা লাল অক্ষরে ভেসে ওঠে LAUNCH! (অথবা হয়ত রুশ ভাষায় একই সতর্কবার্তা)। অর্থ প্রাঞ্জল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে একটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষিপ্ত হয়েছে – ধেয়ে আসছে সোভিয়েত ইউনিয়নের অভিমুখে। আর সেই ক্ষেপণাস্ত্র বয়ে আনছে পারমাণবিক বোমা।
মহানবী (সা.) দশম হিজরীতে হজ্জ্ব পালন করেন। এটা ছিল তাঁর জীবনের শেষ হজ্জ্ব। শেষ হজ্জ্ব ইসলামের ইতিহাসে হুজ্জাতুল বিদা বা বিদায় হজ্জ্ব নামে অভিহিত। বিদায় হজ্জ্বে উপস্থিত লক্ষাধিক অনুসারীদের উদ্দেশ্য করে মহানবী (সা.) এক মর্মস্পর্শী ভাষণ দেন। এর পর আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয় কুরআনুল কারীমের শেষ বাণী। আল্লাহ বলেন, “আমি আজ তোমাদের ধর্মকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম এবং আমার নি’য়ামত তোমাদের জন্য পরিপূর্ণ করে দিলাম। ইসলামকে তোমাদের জন্যে জীবনব্যবস্থা হিসেবে মনোনীত করলাম।’ -(সুরা আল-মায়িদা, আয়াত: ০৩)
৬৩২ খ্রিস্টাব্দে যুলহাজ্জ্ব মাসে বিদায় হজ্জ্বের পর ২৯ সফর মহানবী (সা.) মাথাব্যথা ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। ১২ই রবিউল আউয়াল, সোমবার ৬৩ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন। মহানবী (সা.) আজ নেই। তিনি ছিলেন সর্বশেষ নবী। আর কোন নবী আসবেন না।
তিনি আমাদের জন্য রেখে গেছেন দু’টি মুল্যবান জিনিস। একটি হলো কুরআন আর অপরটি হলো সুন্নাহ। এই দু’টিকে শক্ত করে আকড়ে ধরার তাগিদ রয়েছে ইসলামে।