পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ কে

পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ কে , আল্লাহ তায়ালা মানুষ ও জিন জাতিকে তার এবাদত এর জন্য সৃষ্টি করেছে। যারা আল্লাহ তাআলার আদেশ নির্দেশ মেনে জীবন যাপন করবে তাদের জন্য রয়েছে চির সুখের স্থান জান্নাত। আর যারা আল্লাহর আদেশ নির্দেশ অমান্য করে তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহ তাআলার কঠিন শাস্তি।



আল্লাহতালা যুগে যুগে অনেক নবী-রাসূলগণ পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন, শুধুমাত্র ইসলাম কে প্রচার করার জন্য। কিছু সংখ্যক মানুষ রয়েছে যাদের জন্য নবী-রাসূলগণ ইসলাম প্রচার করতে অনেক অসুবিধা হয়েছে। যারা আল্লাহর কাজে বাধা দিয়েছে তারাই খারাপ মানুষ।

 

পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ কে


অ্যাডলফ হিটলার– অ্যাডলফ হিটলার জন্মগ্রহণ করেছিলেন ২০শে এপ্রিল ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে। তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সৈনিক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে ভাইমার প্রজাতন্ত্ররে নাৎসি পার্টির নেতৃত্ব লাভ করেন। অভ্যুত্থান করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন যে কারণে তাকে জেল খাটতে হয়েছিল। হিটলার একটি বৈদেশিক নীতি গ্রহণ করেন যাতে সকল জীবন্ত অঞ্চল দখল করে নেওয়ার কথা বলা হয়। এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু।



১৯৪৫ সালের মধ্যে জার্মানি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। হিটলারের রাজ্যজয় ও বর্ণবাদী আগ্রাসনের কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ হারাতে হয়। ৬০ লক্ষ ইহুদিকে পরিকল্পনামাফিক হত্যা করা হয়।এই কারণেই ৬০ লক্ষ মানুষের হত্যার জন্য দায়ী অ্যাডলফ হিটলারকে পৃথিবীর ঘৃণিত মানুষের তালিকায় রাখা হয়। অবশেষে ১৯৪৫ সালের ৩০শে এপ্রিল (৫৬ বছর বয়সে) হিটলার নিজেই নিজের কপালে গুলি করে মারা যান।

 



অ্যাডলফ হিটলারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণী : –



* শক্তি প্রতিরোধে নয়, আক্রমণেই প্রকাশিত হয়।
* অপছন্দের চেয়ে ঘৃণার স্থায়িত্ব বেশি।
* যদি বড় কোন মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাও, সহজভাবে এটাকে বলো, বারবার বলতে থাকো। একসময় দেখবে সবাই এটা বিশ্বাস করতে শুরু করেছে।

 


* তুমি যদি সূর্যের মতো চকচকে হতে চাও তাহলে প্রথমে তোমাকে তার মতো পুড়তে হবে।
* একজন বড় মিথ্যাবাদী, একজন বড় জাদুকরও।
* বিজয়ীকে কেউ কখনো জিজ্ঞাসা করেনা সে সত্য বলছে কিনা।


14 এপ্রিল, 1912-এ যখন আরএমএস টাইটানিক একটি আইসবার্গে আঘাত করেছিল, এমনকি জাহাজের কর্মীরাও আতঙ্কের মধ্যে ছিল। কেউ দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রথম দিকে উঠেনি। আসলে, বেশিরভাগ স্টাফ যাত্রীদের মতোই উন্মত্তভাবে চারপাশে দৌড়াচ্ছিল।



হেড বেকার ছিলেন এবং উপযুক্তভাবে, তার কাজ ছিলো লাইফবোটে রুটি পাঠানো লোকেরা উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত খাবার পায়।

তিনি তার নিজের না পৌঁছা পর্যন্ত অন্যদের তাদের নৌকায় সাহায্য করে চলতে থাকলেন। কেবল লাফানোর পরিবর্তে, তিনি একদল মহিলা ও শিশুদেরকে জোর করে তাদের জীবন বাঁচান।


বরফের জল জাহাজটি দ্রুত ভরাট করে এবং চার্লস সম্পূর্ণরূপে সচেতন যে তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে কম, তাই তিনি যা করতে পারেন তা করেছিলেন।



সে তার কেবিনে গেল এবং যতটা সম্ভব হুইস্কি খেলো। তার পর, তিনি যাত্রীদের ব্যবহারের চেয়ারগুলি সাগরে ছুঁড়ে ফেলেছিলেন।এবং তারপর সে জাহাজ থেকে ঝাঁপ দিল, জমা জলে।

তিনি আটলান্টিক মহাসাগরে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়েছেন।তার শরীরে অ্যালকোহল বয়ে যাওয়া ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করে তাকে বাঁচিয়ে রেখেছিল।



আমি শুধু প্যাডেলিং করছিলাম এবং জল মাড়িয়েছি,” তিনি বলেছিলেন।ভোর হওয়ার সাথে সাথে, তিনি একটি লাইফবোট খুঁজে পেলেন এবং এটির দিকে সাঁতরে গেলেন, কেবলমাত্র তার জন্য জায়গা নেই।


ভাগ্যক্রমে, কাছাকাছি আরেকটি নৌকা ছিল এবং সে আরোহণ করতে সক্ষম হয়েছিল। শীঘ্রই তাদের উদ্ধার করা হয়েছিলো।

চার্লস নৌবাহিনীতে যোগদান করেন।এবং78 বছর বয়সে মারা যান,



ফেরাউন– পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষের তালিকায় ফেরাউনকেও রাখা হয়। আমাদের আলোচ্য ফেরাউনের জন্ম প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ১৩০৩ এবং মৃত্যু ১২১৩ খ্রিস্টপূর্ব। তিনি নিজেকে খোদা বলে দাবি করতেন। ফেরাউন কোন লোক নয়, একটা উপাধি।


কোরান শরীফে আল্লাহ বলেছেন, ফেরাউন যে কিনা মুসা নবীর পেছনে ধাওয়া করেছিলেন এবং আল্লাহর কুদরতে সমুদ্রে ডুবে মারা গিয়েছিল। আল্লাহর কুদরত হিসেবে তার লাশ সমুদ্রের ভিতরে থেকে যাবে। পৃথিবীর মানুষের জন্য শিক্ষা হিসেবে, আজ পর্যন্ত তার লাশটি অক্ষত রয়েছে। তাঁর লাশের দৈর্ঘ্য প্রায় ২০১ সেন্টিমিটার বা ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি, লাশটি বর্তমানে মিশরে সংরক্ষিত আছে।


হাবিল ও কাবিল– বাইবেল অনুসারে আদম ও হাওয়ার দুই ছেলে হাবিল ও কাবিল। ইসলামের ইতিহাসে হাবিল ও কাবিলের ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের মধ্য থেকেই পৃথিবীতে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে এবং তাদের মাধ্যমেই মৃতদেহ কবর দেওয়ার নিয়ম চালু হয়। খ্রিস্টধর্মে তাদেরকে কেইন ও এবেল নামে ডাকা হয়।


ইসলামি নিয়ম অনুসারে ভাই-বোনের মধ্যে কখনোই বিয়ে হয় না, এটা নিষিদ্ধ-হারাম। নিয়ম অনুসারে একই জোড়ার ছেলে মেয়ে বিয়ে করতে পারতো। তাই হাবিলের জোড়ার মেয়েটিকে পায় কাবিল আর কাবিলের জোড়ার মেয়েটিকে পায় হাবিল।

 

কিন্তু এর মধ্যে একটা সমস্যা দেখা দেয় হাবিলের জোড়ার মেয়েটি ছিল অত্যন্ত কালো আর কাবিলার জোড়ার মেয়েটি ছিল অত্যধিক সুন্দর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে সমস্যা দেখা দেয়। কুরবানিতে প্রত্যাক্ষিত হয়ে ও স্ত্রী হিসেবে কাঙ্ক্ষিত মেয়েকে না পেয়ে সে অত্যধিক ক্রোধান্বিত হয়ে ভাই হাবিলকে হত্যা করতে গিয়েছিল।

 



রাজনৈতিক দিক থেকে:


রাজনৈতিক দিক থেকে পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ ব্যাক্তির নাম বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বর্তমান ইসরাইল রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী। তাকে রাজনৈতিক দিক থেকে সবচেয়ে খারাপ ব্যাক্তি বলার পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। নিচে কারণগুলো তুলে ধরা হলো:


ইসরাইল রাষ্র্রের জন্ম হয়েছে ফিলিস্তিনের ভুখন্ডের মধ্যে, অথচ বর্তমানে ফিলিস্তানিদের উপর অত্যাচার করে নিজেদের জায়গা করে নিচ্ছে ইসরাইলের ইয়াহুদিরা। আর এর পিছে প্রধান ব্যাক্তি হিসেবে কাজ করে চলেছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।


নিজের রাজনৈতিক ক্ষমতা পাকাপোক্ত রাখতে এবং আধিপত্য বিস্তার করতে তিনি বেশ তৎপর।
দীর্ষদিন ধরে ইজরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দন্দ চলছে এবং আসংখ্য নিরিহ মানুষ মারা যাচ্ছে।
ক্ষমতার দিক থেকে:


ক্ষমতার দিক থেকে পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ ব্যাক্তি বলা যেতে পারে বর্তমান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমার পুতিন অথবা জো বাইডেনের নাম। ইউক্রেন ন্যাটোতে যুক্ত হতে চায় বলে যুদ্ধ করছে রাশিয়া। অপরদিকে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যুক্ত করতে এবং যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি চাইলে যুদ্ধ থামিয়ে দিতে পারেন অথচ এ বিষয়ে তার কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছেনা।

 


ধর্মীয় দিক থেকে


ধর্মীয় দিক থেকে পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ ব্যক্তি ফেরাউন। কেননা ফেরাউন নিজেকে সৃষ্টিকর্তা দাবি করতো এবং অন্যদের তা স্বীকার করতে বাধ্য করতো। এছাড়াও নিচের এই দাবি বাস্তাবায়ন করার জন্য অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছেন।


চেঙ্গিস খান– চেঙ্গিস খান ছিলেন প্রধান মঙ্গোল রাজনৈতিক ও সামরিক নেতা বা মহান খান। ১১৫০ থেকে ১১৬০ সনের মধ্যে কোন এক সময়ে চেঙ্গিস খান জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকাল কাটান ঘোড়া চালনা শিখে। জন্মসূত্রে তার নাম ছিল তেমুজিন। তিনি এক সাধারন গোত্রপতি থেকে নিজ নেতৃত্বগুণে বিশাল সেনাবাহিনী তৈরি করেন। তাকে মঙ্গোল জাতির পিতা বলা হয়ে থাকে।


তিনি এককভাবে জয় করেছিলেন পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি অঞ্চল এবং তিনি একই সাথে চার (৪) কোটি নিরপরাধ মানুষদের মৃত্যুর জন্য দায়ী। ধ্বংস, হত্যা, চাতুর্য, ক্ষমতা, লিপ্সা এবং রণকুশলতার এক অভূতপূর্ব মিছেলে গড়া চেঙ্গিস খানের জীবন কাহিনী যেন একটি জীবন্ত সিনেমার মতো।

 


চেঙ্গিস খানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বানী :-



* সহিংসতা কখনোই কিছু সমাধান করে না।
* হ্রদের বিভিন্ন প্রান্তে জয়যুক্ত লোকদের হ্রদের বিভিন্ন পাশে শাসন করা উচিত।
* আমি স্রটার পক্ষ থেকে শাস্তি স্বরুপ। তোমরা যদি বড় পাপ গুলো না করতে, তাহলে স্রষ্টা আমার মত শাস্তি তোমাদের নিকট পাঠাতেন না।


* একা এক তীর সহজেই ভেঙে ফেলা যায় তবে অনেক তীর অবিনশ্বর।
* ঈশ্বর যেমন হাতকে বিভিন্ন আঙ্গুল দিয়েছিলেন, তেমনি তিনি পুরুষদের বিভিন্ন উপায়ে দিয়েছেন।
* মানুষের সর্বাধিক আনন্দ হল তার শত্রুকে হত্যা করা, তাঁর ধন সম্পদ লুণ্ঠন করা, তাঁর পায়ে চড়তে, তাঁর প্রিয়জনের চোখের জল দেখা এবং তাঁর স্ত্রীকে আলিঙ্গন করা।

(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)