পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ কে ছিলেন

পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ কে ছিলেন ,পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ কে? (Prithibir bhalo manush ke)


পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ হযরত মুহাম্মদ(সাঃ)। তিনি ছিলেন আল্লাহর বন্ধু, তাকে আবার আল্লাহর প্রেরিত রাসূলও বলা হয়। তিনি সবসময় মানুষের উপকার করতেন,এমনকি সবসময় মানুষের উপকারে নিয়োজিত ছিলেন।‘পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ’ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) প্রতিনিয়ত মানুষের কল‍্যান ও মঙ্গল করে গেছেন।

 

পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ কে ছিলেন



মানুষ তার ভালো ব‍্যবহার ও ভালো কাজের দ্বারা স্মরণীয় হয়ে থাকে, তেমনি, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ’ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তার ভালো ব‍্যবহার ও ভালো কাজের দ্বারা আমাদের মনে একটা বিরাট জায়গা জুড়ে স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন।পৃৃৃথিবী সৃৃষ্টির মূল কারণই ছিলেন তিনি।



মাইকেল হার্টসের লেখা ‘বিশ্ব সেরা ১০০ মনীষী’ গ্রন্থে প্রথম স্থানেই রয়েছে হযরত মুহাম্মদ (স)-এর নাম। ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত ওই বইটি বিভিন্ন মহলে ব্যাপক হইচই ফেলে দেয়।


গুগলের এ তথ্য এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘Best Man In The World ’Prophet Muhammad’. অর্থাৎ ‘নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, বিশ্বের সেরা মহামানব’ ইত্যাদি হ্যাশট্যাগে ভাইরাল হয়েছে।



পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ মানব কে?


সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)।তিনি আল্লাহর প্রেরিত নবী ও রাসূল।পৃথিবীর বুকে তিনিই একমাত্র সর্বোত্তম ও আদর্শব‍্যক্তি যার সাথে তুলনীয় আর কেউ নেই।তার চরিত্র ছিল ফুলের মতো পবিত্র।যিনি সর্বাধিনায়ক হওয়া সত্ত্বেও অত‍্যন্ত সাধারন জীবন যাপন করতেন।


বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মানব মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে লন্ডন মিউজিয়ামে ‘the best man in the world as a man, as Muslim, as a leader, as an emperor’ বলে ঘোষনা দিয়েছে।


রাসূল (সা.) বলেন- যে ব্যক্তির তিনটি কন্যাসন্তান আছে যাদের সে লালন পালন করে এবং তাদের সঙ্গে সদয় আচরণ করে, তার জন্য অবশ্যই জান্নাত ওয়াজিব। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! যদি দুটি মেয়ে থাকে? নবীজি বললেন, দুটি থাকলেও (বুখারি : ২৪৮১)।


পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এতটাই বিশ্বস্ত ছিলেন যে, তাঁকে সবাই ‘আল আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেছে। তিনি তাঁর ভাল কর্ম ও আচরণের জন্য সকলের প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। আরবসহ পুরো বিশ্ব যখন অজ্ঞতা, মূর্খতা আর মূর্তিপূজার অন্ধকারে আচ্ছন্ন ছিল, তখন হযরত মুহাম্মদ পুরো বিশ্বের জন্য এক আলোকবর্তিকা হিসাবে প্রেরিত হয়।


নারীদের মর্যাদাবানে বিশ্বনবী

 


ইসলামের আগে জাহেলি আরব সমাজে নারীর মর্যাদাপূর্ণ কোনো অবস্থান ছিল না। তাদের গণ্য করা হতো ভোগের বস্তু হিসেবে। নারী ছিল রাতের কবিতার আসর আর মদের আড্ডার বিশেষ অনুষঙ্গ। জীবন ও সমাজে তাদের বড় জোর স্বামী বা মনিবের মরোঞ্জনের উপকরণের বেশি কিছু মনে করা হতো না। নারীকে পরিবার, সমাজ ও বংশের জন্য অসম্মান ও অভিশাপ মনে করা হতো। এমনকি সামাজিক লজ্জার ভয়ে নারীকে জীবন্ত কবর দেয়া হতো।



পবিত্র কোরআনে পুরুষদের সঙ্গে নারীদেরও সম্পত্তির উত্তরাধিকার নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। একইভাবে মায়েদের, স্ত্রীদের, কন্যাদের, স্বামীদের সম্পত্তির এবং বিশেষ অবস্থায় বোনদের-ভাইদের সম্পত্তির উত্তরাধিকার সাব্যস্ত করা হয়েছে। একবার ওয়াইস করনি (রা.) নবীজির কাছে খবর পাঠালেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)। আপনার সঙ্গে আমার দেখা করার খুব ইচ্ছা, কিন্তু আমার মা খুব অসুস্থ, এখন আমি কী করতে পারি?



নবীজি (সা.) উত্তর পাঠালেন, আমার কাছে আসতে হবে না। আমার সঙ্গে সাক্ষাতের চেয়ে তোমার মায়ের সেবা করা বেশি জরুরি। মায়ের সেবা করার কারণে তিনি প্রিয় নবীর যুগে থেকেও তার সাক্ষাৎ লাভ করতে পারেননি।

(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)