পেনিসের রসুনের উপকারিতা রসুনের গুণের শেষ নেই। পুরুষদের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সেই কোন প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার করা হয় রসুন। পেনিসে রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে রসুনের তুলনা নেই।
খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ শতকে চিন ও ভারতে রক্ত পাতলা রাখার জন্য এর প্রচলন ছিল৷ আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক হিপোক্রেটিস একে ব্যবহার করেছিলেন সারভাইকাল ক্যান্সারের চিকিৎসায়৷ লুই পাস্তুর এর অ্যান্টিফাংগাল ও অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণের খবর জানান৷ সময়ের সঙ্গে আরও উপকারের কথা জানা গেছে৷
আর আধুনিক বিজ্ঞানীরা জানালেন, হৃদরোগ প্রতিরোধে এর ভূমিকার কথা৷ ইউনিভার্সিটি অব কানেক্টিকাট স্কুল অব মেডিসিন–এর কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ টিমের মতে, কাঁচা রসুন খেলে হার্ট অনেক বেশি সুস্থ থাকে৷
পেনিসের রসুনের উপকারিতা
চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা রসুন খেলে আরও কী কী উপকার মিলবে-
১. রক্তচাপ কমায়৷ চার কোয়া করে খেলে সে রক্তচাপ কমানোর ওষুধের সঙ্গেও পাল্লা দিতে পারে কিছু ক্ষেত্রে৷
২. টোটাল এবং এলডিএল কোলেস্টেরল প্রায় ১০–১৫ শতাংশ কমে যায়৷ তবে উপকারি কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বাড়াতে ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে এর কোনও ভূমিকা নেই৷
জেনে নিন কী ভাবে খেলে রসুন পুরুষদের যৌন ক্ষমতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেবে-
ইরেকশনজনিত কোনও সমস্যা থাকলে রোজ তিন-চার কোয়া কাঁচা রসুন খেলে কাজ হবে ম্যাজিকের মত। এক মাস এই রুটিন মেনে চলার পর ইচ্ছা হলে সপ্তাহে তিন দিন এই নিয়ম মেনে চলুন। রান্নাতেও অনেক বেশি রসুন ব্যবহার করুন। কয়েক মাসের মধ্যেই আপনার ইরেকশনজনিত সমস্যা অনেকাংশে কমে যেতে বাধ্য।
রসুনের উপকারিতা বাড়াতে মেদ ঝড়ানোয় মন দিন। আপনার স্বাস্থ্য ভাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যৌন ক্ষমতাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে।
রসুনের অপকারিতা ও সতর্কবার্তা:
১/ রসুন যত উপকার ততটা ক্ষতিকর। দিনে দুই কোয়ার বেশি কাঁচা রসুন খাওয়া যাবে না। রান্নায় এটি ব্যবহার হলেও দিনে মাত্র দুই কোয়া রসুন ব্যবহার করতে হবে। যাদের রসুন খাওয়ার ফলে এলার্জি হবার আশঙ্কা থাকে বা হয় তাদেরকে অবশ্যই কাঁচা রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
২/ যাদের রসুন খাওয়ার ফলে মাথা ব্যথার সমস্যা হয়, বমির প্রাদুর্ভাব হয় বা অন্য কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তাদের জন্য কাঁচা রসুন না খাওয়াই ভাল। আবার অতিরিক্ত খেলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হতেও পারে তাই বেশি রসুন খাওয়া ঠিক নয়।
৩/ অনেকের শরীর থেকে রক্তপাত সহজে বন্ধ হয় না, অতিরিক্ত রসুন খাওয়া তাদের জন্য বিপদজনক। কারণ, রসুন রক্তের জমাট বাঁধার ক্রিয়াকে বাধা প্রদান করে। ফলে রক্তপাত বন্ধ হতে অসুবিধা হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রসুন না খাওয়াই উত্তম।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)