প্রথম বাচ্চা নষ্ট করলে কি হয়,মেডিসিন ও স্বাস্থ্য টিপস

প্রথম বাচ্চা নষ্ট করলে কি হয় , গর্ভপাত ঘটানো বা যেভাবে হোক তার থেকে নিষ্কৃতি পেতে বাহানা করো না।বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে   কারণ, আল্লাহ তোমার জন্য রমযানের পানাহার বৈধ করেছেন যদি সিয়াম তোমার জন্য ক্ষতিকর হয়। যদি গর্ভের বাচ্চায় রূহ সঞ্চার করা হয় এবং গর্ভপাত ঘটানোর ফলে মারা যায়, তাহলে এটা অন্যায় হত্যার শামিল, যা আল্লাহ হারাম করেছেন।

প্রথম বাচ্চা নষ্ট করলে কি হয় 




গর্ভের বাচ্চা হত্যাকারীকেক্ষতিপূরণ দিতে হয়, যদিও তার পরিমাণ ব্যাখ্যা সাপেক্ষ।কতক আহলে ইলম বলেন, কাফফারা দেওয়া ওয়াজিব।অর্থাৎ মুমিন দাসী মুক্ত করা, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং যদি মুমিন দাসী পাওয়া না যায় লাগাতার দু’মাস সিয়াম রাখবে।কতক আহলে ইলম গর্ভের বাচ্চা হত্যাকে এক প্রকার জ্যান্ত দাফন গণ্য করেছেন।

শাইখ মুহাম্মাদ ইবরাহীম (রা.) বলেন, গর্ভে থাকা বাচ্চা ফেলে দেওয়া হালাল নয়, যদি তার মৃত্যু নিশ্চিত না হয়, মৃত্যু নিশ্চিত হলে ফেলে দিবে। [ফতোয়াসমগ্রে: ১১/১৫১]


বাচ্চা নষ্ট করার পর মাঝে মাঝেই যোনিপথে রক্তক্ষরণ হতে পারে। এই রক্তক্ষরণ অনেক সময় কয়েকদিন নিয়মিত হয়ে থাকে আবার অনেক সময় কয়েক দিন পর পর হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং যদি রক্তক্ষরণের পরিমাণ বেশি হয় তবে দ্রুত বিশেষজ্ঞ কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্জনীয়।



গর্ভপাতের পর নিয়মিত চিকিৎসা করিয়ে যান। নিজের শরীরে কোনও আকস্মিক পরিবর্তন লক্ষ্য করলে তা চিকিৎসককে জানাতে ভুলবেন না। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং এ সময় রক্ত কমে যেতে পারে, মথা ঘোরা, বমি পাওয়া, গা গোলানোর মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এমন কিছু হলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসককে জানান।




বাচ্চা নষ্ট করার কতদিন পর সহবাস করা যায়?


এটা নির্ভর করে শারিীরিক সুস্থতার ওপরে। বাচ্চা নষ্ট করার পরের মাসিক ভালোভাবে হবার পর সহবাস করা উত্তম।



স্বাভাবিকভাবে বাঁচা নষ্ট হয়ে গেলে স্বামী এবং স্ত্রী কারো কিছু করার থাকে না। কিন্তু ঔষধ সেবন এর মাধ্যমে গর্ভপাত মানে হলো একটি জীবন হত্যা করা। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং তাছাড়া অনেক সময় নষ্ট হয়ে যাওয়া বাচ্চার বিভিন্ন অংশ বাহিরে বের হতে পারে না যা পরবর্তীতে সার্জারি করে বের করতে হয়।

আবার অনেক সময় গর্ভপাতের পর ইনফেকশন হয়ে থাকে। সব মিলিয়ে বলা যায় যে গর্ভপাতের অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যা বহন করা অনেক মহিলার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে।

(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)