বাচ্চা হওয়ার জন্য কতটুকু বীর্য লাগে , একজন পুরুষের একবারে যতোটুক বীর্য বার হয়, সেইটাতে 100 মিলিয়ন পর্যন্তও শুক্রানু থাকে।পুরুষ আর মহিলা যখন মিলন করে তার পর শুক্রানু আর ডিম্বাণু এক সাথে হয়।
শুক্রানু আর ডিম্বাণু এক সাথে হতে গেলে অনেক রাস্তা পারি দিয়ে জেতে হয় শুক্রানুর।
প্রথমে শুক্রানু লিঙ্গ থিকে বার হয়, তার পর এইখান থিকে ফেলপিয়ান টিউব দিয়ে ডিম্বাণু অবধি পৌছায়। কিন্তু এখানেও শুক্রানুর অনেক টা কষ্ট করতে হয়, এইখানে যেগুলা কমজোর শুক্রানু থাকে অগুলা নষ্ট হয়ে যায়।
বাচ্চা হওয়ার জন্য কতটুকু বীর্য লাগে
খালি চোখে যে বীর্যকে দেখা যায়, তা আসলে কোটি কোটি শুক্রাণুর সমষ্টি। একবার বীর্যপাতে প্রায় ৪ থেকে ১২০ কোটি শুক্রাণু বেরিয়ে যায়। এই বিপুল পরিমাণ শুক্রাণুর মধ্যে, নিষেকের জন্য একটিই যথেষ্ট। একটি শুক্রাণু ও একটি ডিম্বাণুর মিলনে একটি ভ্রূণের জন্ম হয়। মিলনের সময় মাত্র কয়েকফোঁটা বীর্য, যোনিতে ঠিকমতো প্রবেশ করতে পারলে, তার ফলেও গর্ভধারণ হওয়া সম্ভব।
প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলে এতো পরিমাণ বীর্যের কী প্রয়োজন ? কম্পিটিশন ! মাই ডিয়ার বন্ধু, কম্পিটিশন !! এক্ষেত্রেও প্রকৃতি যোগ্যতমের উদ্বর্তনের নিয়মটি কাজে লাগায়। যোনিতে বীর্যপাতের পর একটি শুক্রাণুকে বেশকিছুটা পথ, অনেক বাধা পেরিয়ে ডিম্বাশয়ের কাছে পৌঁছাতে হয়। একটি শুক্রাণুর ডিম্বাশয় পর্যন্ত পৌঁছাতে আধঘন্টা থেকে শুরু করে একদিন পর্যন্ত সময় লাগে।
শেষে একটা সুস্ত শুক্রানু ডিম্বাণুতে পৌছায় আর ওইটার জন্নেই বাচ্চা হয়।
একটা কথা মনে রাখবেন একবার স্বামী স্ত্রী মিলনের পর ১ ঘণ্টা থিকে ৫ দিন অবধি সময় লাগতে পারে।
কি খেলে বীর্য অনেক ঘন হয় এবং দ্রুত বীর্য পাত বন্ধ হয় ?
কিছু খাদ্য আছে যেগুলা সময় মতে খেতে পারলে আপনার বীর্য অনেক ঘন হবে।
১। মুরগির ডিম-
ডিম হল একটা সহজ উপায় যেটা দিয়ে আপনার বীর্য ঘন করতে পারেন।
২। পালং শাক –
বিজ্ঞানীরা মানে যে ফোলীক এসিড দিয়ে শুক্রাণুর শক্তিশালী আর সুস্ত হয়। পালং শাকে অনেক ফোলীক এসিড থাকে আর শুক্রাণু অনেক টা সুস্ত করে তোলে।
৩। কলা-
কলাত ভিটামিন A, B1, আর C থাকে, যেটা শরীর আর লিঙ্গ দুইটাকে সুস্ত করে তোলে।
৪। কালো চকলেট-
ডার্ক চকলেট এল-আরজিনাইন এইচসিএল নামে একটি অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে বানানো করা হয়, যা শুক্রাণুকে ঘন করে ।
৫। আখরোট-
আখরোটে ওমেগা এসিড থাকে, এই ওমেগা -3 ফ্যাটি অণ্ডকোষে রক্ত প্রবাহ প্রচার করে শুক্রাণুর পরিমাণ বাড়াতেও সহায়তা করে।
৬। কুমড়ো বীজ-
এইটাতেও ওমেগা এসিড থাকে যেটা আপনার শুক্রাণুর ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে।
৭। যেগুলা সবজিতে বেচি জিঙ্ক থাকে ঐগুলা-
বার্লি
মটরশুটি
মাংস
দ্রুত বীর্যপাত হয় কেন?
আপনি যৌনা ক্রিয়ায় লিপ্ত হওয়ার সময় আপনার মন থেকে এই ভয়টা দূর করুন দেখবেন অনেক বেশি সময় অতিবাহিত করতে পারছেন।
এজন্য যৌন বিশেষজ্ঞরা ব্রেনের কিছু ওষুধ দিয়ে থাকে যাতে মনটা অন্যদিকে ঘুরে যায় যেমন প্যারক্সিটেন গ্রুপের ওষুধ।
পিরিয়ডের কতদিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয়?
সাধারণত ২৮ দিনের মাসিক চক্রে ১৪-১৬ দিনের কাছাকাছি ঘটে এটি। কিন্তু সব নারীর মাসিক চক্র ২৮ দিনের হয় না। সাধারণত এই মাসিক চক্র ২৬-৩২ দিনের হয়ে থাকে। আর ওভুলেশন হয় একজন নারীর পিরিয়ডস শেষ হওয়ার ১০ থেকে ১৯ তম দিনে। পরবর্তী মাসিকের প্রায় ১২ থেকে ১৬ দিন আগে।
বীর্য তৈরি হতে কতদিন সময় লাগে বা শুক্রাণু তৈরি হতে কতদিন সময় লাগে ?
শুক্রাণু তৈরি করতে, যাকে স্পার্মাটোজেনেসিস বলা হয়, প্রায় 2 থেকে 2.5 মাস সময় নেয়। এটি শরীরের একটি অংশে শুরু হয় যাকে টেস্টিস বলা হয়।
ভাই,সন্তান ধারনের জন্য বির্যের পরিমান এর দরকার নাই। শুধুমাত্র দরকার ১টা শুক্রানু,। ১ ফোটা বির্যের মধ্যে থাকে অসংখ্য শুক্রানু। যা খালি চোখেই দেখা যায় না। আল্লাহ তায়ালার সৃষটি জগতে এর রহস্য রয়েছে। উত্তর হলো, ১টা শুক্রানু ১টা ডিম্বানুর সাথে মিলিত হয়ে ১টা জায়গোটে তৈরী হয়।আর তা থেকে সন্তান হয়। এতে বির্যের পরিমান নির্ধারনের মত নয়।
শুক্রাণু প্রস্তুত হওয়ার আগে বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে। কিন্তু যে সব শুক্রাণু তৈরি হয় তা তাদের কাজে ভালো হয়ে ওঠে না। একজন লোকের বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই প্রক্রিয়াটি ঘটতে থাকে।
শরীরে বীর্য ধরে রাখলে কি হয়?
যদি শুক্রাণুযুক্ত বীর্য কিছুক্ষণের জন্য শরীরে থাকে, তবে এটি সাধারণত শোষিত হয়। কিছু লোক মনে করে যে এটি রাখা স্বাস্থ্যকর হতে পারে, কিন্তু বিজ্ঞান এটি পুরোপুরি প্রমাণ করে না।
আসলে সন্তান ধারনের ব্যাপারটা বীর্যের পরিমানের উপর নির্ভর করে না। এটা নির্ভর করে শুক্রাণুর উপর। এক মিলি বীর্য, এতে শুক্রাণু থাকে লক্ষ লক্ষ। কিন্তু বাচ্চা জন্মের জন্য মাত্র একটা সচল, সক্ষম শুক্রাণু প্রয়োজন। প্রশ্ন আসতে পারে, বাচ্চা জন্মের জন্য যদি একটা শুক্রাণু দরকার তাহলে বীর্যপাতে লক্ষ লক্ষ শুক্রাণু নির্গত হয় কেন? এর উত্তর বিজ্ঞানীরা এখনো খুজে পায়নি।
যাই হোক, মোট কথা হচ্ছে যেকোনো পরিমাণ শুক্রাণুই সন্তান উৎপাদনে সক্ষম। তবে প্রশ্নটি যদি এমন হয় যে, বীর্যে কি পরিমাণ শুক্রাণু কার্যকর থাকলে সন্তান জন্ম দেওয়া সম্ভব, তাহলে একটা উত্তর বের হয়ে আসতে পারে। সাধারণত স্পার্ম টেস্টে শুক্রাণুর পরিমান, আকার (Morphology) এবং চলাচলের গতি (Motility) এই তিনটি জিনিস যাচাই করা হয়।
আপনার বীর্যে প্রতি মিলিলিটারে ২০-১৫০ মিলিয়ন শুক্রাণু থাকলে তা স্বাভাবিক। আর এগুলোর মধ্যে কমপক্ষে ৪০% এর আকার ঠিক থাকলে, আর ২০% এর গতি স্বাভাবিক থাকলে সন্তান জন্ম দেয়া সম্ভব। উক্ত হিসেবের চেয়ে কম শুক্রাণু থাকলে বা অকার্যকরী শুক্রাণু থাকলে সন্তান জন্ম দেয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আর এজন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টেস্টটিউব বেবি নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
বীর্যপাতের মাধ্যমে নিয়মিত মুক্তি প্রাকৃতিক এবং প্রজনন ব্যবস্থাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সত্যিই দীর্ঘ সময়ের জন্য এটি না করা অস্বস্তির কারণ হতে পারে।
তবে এটি গুরুতরভাবে ক্ষতিকারক হওয়ার সম্ভাবনা কম। অন্যান্য স্বাস্থ্য সামগ্রীর মতোই, ভারসাম্য খুঁজে পাওয়া ভাল। চিন্তিত হলে, একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
শুক্রানু ঘাড় বা ঘন হউয়ার সব চেয়ে ভালো প্রোডাক্ট।
শুক্রাণু ঘন বা পরিবর্তন করার জন্য কোন নির্দিষ্ট পণ্য নেই। স্বাস্থ্যকর অভ্যাস যেমন ভাল খাওয়া, সক্রিয় থাকা এবং চাপের বিষয় এড়ানো।
কোন জাদুকরী পণ্য সত্যিই শুক্রাণুর গঠন পরিবর্তন করতে পারে না। শুক্রাণু সম্পর্কে চিন্তিত হলে, একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)