বাবার সম্পত্তি ভাগের নিয়ম, বাবার সম্পত্তি ভাগের নিয়ম সলামী পদ্ধতিতে সম্পত্তি ভাগাভাগির নির্দেশনা । আজকের এই আলোচনায় আপ্নারা জানতে পারবেন ইসলামি নিয়ম অনুযায়ী বাবার সম্পত্তি কি ভাবে ভাগ করতে হয় এবং মায়ের সম্পত্তি ভাগের নিয়ম, বাবার সম্পত্তিতে মেয়ের অংশ কতটুকু এবং মুস্লিম আইনে সম্পত্তি বণ্টন ছেলে ও মেয়ে সবার জানা উচিত সম্পত্তি কি ভাবে বণ্টন করা দরকার।
আমাদের সমাজে এই সম্পত্তি বণ্টন না জানার কারনে অনেক সময় নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। এ ধরনের সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে বাবার সম্পত্তি ভাগের নিয়ম আশা করি বুঝতে পারবেন।
বাবার সম্পত্তি ভাগের নিয়ম
ভাই বোনের সম্পর্ক টি হল রক্তের সম্পর্ক। তবে পিতার মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সংক্রান্ত সমস্যা প্রায় প্রতিটি পরিবারেই সমস্যা হয়। সুতরাং, কীভাবে এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করবেন এবং পিতার উত্তরাধিকার ভাগ করার সঠিক নিয়মগুলি বুঝতে পারবেন।
সম্পত্তি বণ্টন নিয়ে উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বিরোধ দেয় এবং এই বিরোধগুলি আইনি মামলার দিকে নিয়ে যায় অনেকে। তাই, আমরা এই আলচনার মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক পিতার উত্তরাধিকার বিভাজনের নিয়ম। একজন মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকার ৩ ভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে, যেমন:
১. প্রথম পদ্ধতি হল প্রত্যেক উত্তরাধিকারীদের নাম সহ একটি নোটিশ জারি করা। এইভাবে, প্রতিটি উত্তরাধিকারী তাদের নিজ নিজ সম্পত্তি থেকে অয়ারিশগন তাদের অংশ দাবি করতে পারে।
২. দ্বিতীয় পদ্ধতি হল পারস্পরিক আপস নামা দলিল করে নেওয়া। এটি প্রত্যেকর জন্য তাদের সঠিক জায়গা বেছে নিতে দেওয়া। যাইহোক, সম্পত্তি দলিল স্বাক্ষর করার জন্য সমস্ত উত্তরাধিকারীকে একসাথে উপস্থিত থাকতে হবে। কোন উত্তরাধিকারী স্বাক্ষর করতে ব্যর্থ হলে, এই দলিল করা সম্ভব নয়।
৩. তৃতীয় পদ্ধতি হল আদালতে উপস্তিত হয়ে বণ্টন মামলা করা। তাহলে আদালত উত্তরাধিকারীদের মধ্যে উত্তরাধিকার সম্পত্তি তত্ত্বাবধান বণ্টন করবে।
সাধারণত, বাংলাদেশে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি ভাগ করার জন্য এই তিনটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
মায়ের সম্পওি ভাগের নিয়ম
আপনি আপনার সম্পদ আপনার ইচ্ছা মত ব্যবহার করতে সক্ষম হবে। প্রয়োজনে দান করে দিতে পারেন, প্রয়োজনে বিক্রি করতে পারেন, কারো কথা শুনতে হবে না। এমনকি তোমার উত্তরাধিকারীরাও কিছু বলতে পারবে না।
সম্পদ বন্তনের ক্ষেত্রে, পিতা ও মাতাকে আলাদা করার প্রয়োজন হয় না। সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির কথা মাথায় রেখেও জমি বণ্টন করা হয়। মৃত ব্যক্তির মা থাকলে তিনিও একটি অংশ পাবেন এবং পিতা থাকলে তিনিও অংশ পাবেন। মৃত পিতার সম্পদ যেমন ভাগ করা হয়, তেমনি একজন মৃত মায়ের সম্পদও ভাগ করা হয়।
সুতরাং, সঠিক উত্তর হল কন্যারাও তাদের অংশ পাবে যেমন পুত্ররা পাবে পুত্র 200 টাকা পায়, তাহলে কন্যা ও 100 টাকা পাবে। আমি আশা করি আপনি এখন বুঝতে পেরেছেন। যদি একজন মৃত মায়ের কোন পুত্র না থাকে, তবে কন্যা অর্ধেক পাবে এবং অবশিষ্ট অর্ধেক অন্যান্য উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বন্টন করা হয়ে থাকে।
আর যদি ২/৩ জন কন্যা ও পুত্র না থাকে তবে ঐ সম্পদ ৩ ভাগে ভাগ করে দুই ভাগ কন্যাদের কাছে যাবে এবং অবশিষ্ট ১ ভাগ অন্য ওয়ারিশের কাছে যাবে যারা ওয়ারিশের অধিকারী।
বাবার সম্পওিতে ছেলে – মেয়ের অংশ কতটুকু । বাবার সম্পত্তি ভাগের নিয়ম
বাবা-মা মৃত্যুর পর সম্পত্তির ভাগ চেলে-মেয়ের কাছে কিবাভে করে দেওয়া হবে আতা সব মানুষের জানা উচিত। মা আথবা বাবার পর জিনিই হক্তা কান তার পরিত্যাক্ত সম্পদ জত গুলো রেখে যাবে সেগুলো মেয়ে আনব চেয়েদের মাজে সব্বন্তন করা হবে। ধরুন আকজন বেক্তির আকজন মেয়ে আছে ২ জন ছেলে আছে থাহলে আকজন মেয়ে যে পরিমান সম্পদ পাবে আকজন ছেলে তার ২ গুন পেয়ে থাকে।
আমি সংক্ষেপে উদাহরণ দিতেচি যে এক বেক্তির এক মেয়ে অ্যান্ড ২ ছেলে আছে। আর তার ওয়ারিশদের মধ্যে কেউ নেই। আপনি সেই ক্ষেএে সমুদয় সম্পওির মূল্য সেখানে ধরে সেখান থেকে ৫ ভাগ করে আনুমানিক ভাবে সেই হারে ভাহ করবেন।
আর ক্ষেএে আর দেক্তে হবে যে মেয়ে পাবে ৪ ভাগ আর ২ ছেলে পাবে ২ ভাগ করে মত ৪ ভাব, এই অনুপাতে ভাগ করতে হবে। এবং তার মা থাকলে তিনিও এই সম্পতির ভাগ পাবেন। , স্ত্রী থাকলে তিনিও ভাগ পাবেন আতে কোন সন্দেহ নাই, এই সথিক ভাবে ভাগ করার আগে আমাদের আগে ওয়ারিশ আছে কত জন তা দেখে নিতে হবে।
বাংলাদেশী আইন অনুসারে বাবার সম্পত্তি ভাগের নিয়ম
একজন মৃত ব্যক্তির সম্পদ চার শ্রেণীর ওয়ারিশদের মধ্যে বন্টন করা হয়। এই চার শ্রেণীর ওয়ারিশদের হল:
1. স্ত্রী
2. কন্যা
3. পুত্র
4. অন্যান্য যোগ্য ওয়ারিশগন
* বাংলাদেশী আইনের অনুসারে, সেই ওয়ারিশদের মধ্যে একজন মৃত ব্যক্তির সম্পদের ভাগ/বণ্টন নিচে আলোচনা করা হয়েছে।
* যদি মৃত ব্যক্তির স্ত্রী এবং কন্যা থাকে, তবে স্ত্রী মোট সম্পত্তির 1/8 পাবেন এবং প্রতিটি কন্যা মোট সম্পত্তির 1/2 পাবে। সম্পদের অবশিষ্ট অংশ মৃত ব্যক্তির জীবিত ভাই ও বোনদের মধ্যে ভাগ করা হবে।
* বাবার যদি পুত্র সন্থাতান থাকে তবে পুত্রটি সমস্ত সম্পত্তি পাবে। একাধিক পুত্র থাকলে সম্পত্তি তাদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করা হবে।
*মৃত ব্যক্তির স্ত্রী এবং একাধিক কন্যা থাকে, তখন স্ত্রী মোট সম্পত্তির 1/8 পাবে এবং কন্যারা সম্মিলিতভাবে মোট সম্পত্তির 2/3 পাবে, তাদের মধ্যে সমানভাবে ভাব করা হবে। সম্পদের অবশিষ্ট অংশ মৃত ব্যক্তির পিতা, ভাই ও বোনদের মধ্যে ভাগ করা হবে।
* যদি মৃত ব্যক্তির একমাত্র জীবিত উত্তরাধিকারী তার স্ত্রী হয় (কোন সন্তান না থাকে), তাহলে তিনি মোট সম্পদের অর্ধেক পাবেন এবং অবশিষ্ট অংশ মৃত ব্যক্তির পিতা, ভাই ও বোনদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।
* মৃত ব্যক্তির একমাত্র কন্যা সন্তান থাকলে, কন্যা মোট সম্পত্তির ১/২ পাবে। যদি মৃত ব্যক্তির একাধিক কন্যা থাকে, তবে তারা সম্মিলিতভাবে মোট সম্পত্তির 2/3 পাবে, তাদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করা হবে।
* যদি মৃত ব্যক্তির একটি পুত্র, কন্যা, নাতি (এক পুত্রের পুত্র), নাতনী (এক পুত্রের কন্যা), মামা এবং মামা থাকে, তাহলে সম্পদগুলি নিম্নরূপ বিভক্ত হবে:
1. মামা (মায়ের ভাই) – উপস্থিত থাকলে, মোট সম্পদের 1/2 পাবেন।
2. যদি একাধিক মামা থাকে, তারা সম্মিলিতভাবে মোট সম্পত্তির 2/3 পাবে, তাদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করা হবে।
একটা কথা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ওয়ারিশদের আইন এবং ধর্মীয় এবং আইনি কারণের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হতে পারে। উপরের তথ্যের উপর ভিত্তি করে ওয়ারিশদের বণ্টনের সঠিক ও বিশদ নির্দেশনার জন্য আইনী ব্যবস্তা বা পরামর্শ দেওয়া হয়।
মুসলিম আইনে সম্পত্তির বন্টন । বাবার সম্পত্তি ভাগের নিয়ম
আমাদের মুসলিম আইনে সম্পত্তি বণ্টন নিয়ম। বাবা ও মায়ের সম্পত্তি আমরা কিভাবে বণ্টন করবো তার সু-স্পস্ত ব্যাখ্যা আছে আমাদের পবিত্র আল-কুরআনে। এই ক্ষেএে যদি কোন ভাই যদি তার বনের কোনো অংশ না দেয় বা চালাকি করে তার অংশ নিজের নামে করে নিয়ে নেয়, থাহলে হাসরের ময়দানে তাকে তার এই হিয়াব কঠিন ভাবে অবশ্যই দিতে হবে।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)