বিতরের নামাজের নিয়ত

বিতরের নামাজের নিয়ত , বিতর নামাজের সঠিক সময় , বিতর নামাজের সময় হল, এশার নামাজের পর থেকে নিয়ে ফজর উদিত হওয়ার আগ পর্যন্ত। উক্ত সময়ের মধ্যবর্তী সময়ে এ নামায আদায় করবে; যেমন ইতিপূর্বে খারেজা ইবনে হুযাফা (রাঃ) বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে।



তবে শেষ রাত্রে অর্থাৎ ফজরের পূর্বে আদায় করা উত্তম। সহীহ হাদীসে প্রমাণিত হয়েছে যে, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনাে রাতের প্রথম ভাগে কখনাে দ্বিতীয় ভাগে এবং অধিকাংশ সময় শেষ ভাগে বিতর নামায পড়েছেন।



আরবি

نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى ثَلَثَ رَكْعَتِ صَلَوةِ الْوِتْرِوَاجِبُ اللَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ

বাংলা উচ্চারণ


নাওয়াইতুয়ান উসালি্লয়া লিল্লাহি তা’আলা সালাছা রাকায়াতি ছালাতিল বিতরে ওয়াজিবুল্লাহি তা’য়ালা মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।



অর্থ
আমি কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে তিন রাকাত বেতের ওয়াজিব নামাজ আদায় করছি।আল্লাহু আকবার।

 

বিতরের নামাজের নিয়ত



বিতর নামাজ কি ওয়াজিব
বিতর সালাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। এটা ওয়াজীব নয়; তাই বিতর ছেড়ে দিলে কেউ গুনাহগার হবে না।

ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১৪৩; নাসাঈ হা/১৬৭৬; মিরআত ২/২০৭; ঐ, ৪/২৭৩-৭৪; শাহ অলিউল্লাহ দেহলভী, হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ ২/১৭।



বেতের নামাজ কয় রাকাত


বিতর নামাজ মূলত তাহাজ্জুদ নামাজের অংশ। তাই রাতের পূরা কিয়ামুল্লায়লকেও বিভিন্ন হাদীছে বিতর বলা হয়েছে।


এই জন্যই পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিতর নামাযের উত্তম সময় হচ্ছে শেষ রাত- যখন তাহাজ্জুদ নামায পড়া হয়। কিন্তু সঙ্গত কারণ থাকলে তা এশার নামাজের সাথে পড়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে- এই নামাযের প্রতি অধিক গুরুত্বারোপ করার জন্য।


বিতর নামাযের রাকাত সংখ্যা নির্দিষ্ট একটি সংখ্যায় সীমাবদ্ধ নয়; এ নামায ১, ৩, ৫, ৭, ৯, ১১ ও ১৩ রাকাত পর্যন্ত পড়া যায়।




বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম
আমরা পূর্বেই জেনেছি যে, বিতর নামাযের রাকাত সংখ্যা নির্দিষ্ট একটি সংখ্যায় সীমাবদ্ধ নয়; এ নামায ১, ৩, ৫, ৭, ৯, ১১ ও ১৩ রাকাত পর্যন্ত পড়া যায়। তাই আমরা সেগুলি একে একে বর্ণনা করব ইনশাআল্লাহ।



বিতর নামাজ
অন্যান্য ফরজ নামাজের ন্যায় দুই রাকাআত নামাজ পড়ে প্রথম বৈঠকে বসে তাশাহহুদ পড়া। তারপর তৃতীয় রাকআত পড়ার জন্য উঠে সুরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য কোনো সুরা বা আয়াত মিলানো। কিরাআত (সুরা বা অন্য আয়াত মিলানোর পর) শেষ করার পর তাকবির বলে দু’হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে তাকবিরে তাহরিমার মতো হাত বাঁধতে হয়। তারপর নিঃশব্দে দোয়া কুনুত পড়া। দোয়া কুনুত পড়ে পূর্বের ন্যায় রুকু, সিজদার পর শেষ তাশাহহুদ, দরূদ, দোয়া মাছুরা পড়ে ছালাম ফিরানোর মাধ্যমে বিতরের নামাজ সমাপ্ত করতে হয়।




বিতর নামাজের নিয়ত সম্পর্কে ধারণা
ঈমান আনার পর ইসলামের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আমল হচ্ছে সালাত বা নামাজ। নামাজকে ইসলামের প্রান বলা হয়। মুমিন এবং কাফেরদের মধ্যে বড় পার্থক্য হচ্ছে নামাজ। পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামায ছাড়াও নফল নামাজ আদায় করার বিধান ইসলামী শরীয়তে আছে। নামাজের নিয়ত নিয়ে আমরা অনেকেই চিন্তিত থাকি। কেউ কেউ মনে করে থাকি, নামাজের নিয়ত মুখে উচ্চারণ করতে হবে।



অনেকেই বলেন, আমাদের সমাজের মধ্যে যে আরবি নিয়ত প্রচলিত রয়েছে সেটি বলতে হয়। না হলে কমপক্ষে মুখে, “আমি নামাজ পড়ার নিয়ত করছি” এতোটুকুন বলতে হয়।