বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ কোনটি

বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ কোনটি , আয়তনে সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ হলো মধ্য এশিয়ার দেশ কাজাখস্তান। যার আয়তন ২৭২৪৯০০ বর্গকিলোমিটার পৃথিবীর মোট আয়তনের ১.৮%। আর জনসংখ্যায় সবচেয়ে বড় মুসলিমদেশ হলো দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়া মোট জনসংখ্যা ২৭০৬২৫৫৬৮।


এই অঞ্চলের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতায় বাঁধা দেওয়া হয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর, কাজাখস্তানে ইসলাম ধর্মের পুনঃআবির্ভাব ঘটে এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পুনর্নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭৩% মুসলিম।

 


বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ কোনটি



কাজাখস্তান


আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ কাজাখস্তান যার মোট আয়তন প্রায় ২৭ লক্ষ ২৪ হাজার ৯০০ বর্গকিলোমিটার। এটি প্রধানত মধ্য এশিয়ায় এবং আংশিকভাবে পূর্ব ইউরোপে অবস্থিত। দেশটির রাজধানীর নাম আস্তানা। সর্বপ্রথম ৮ম শতকে আরব ব্যবসায়ী ও ধর্মপ্রচারকদের মাধ্যমে এই অঞ্চলে ইসলাম ধর্মের আবির্ভাব ঘটে এবং ১১ শতকের মধ্যে ইসলাম দেশটির প্রভাবশালী ধর্ম হয়ে ওঠে। পরবর্তী ১৯৩৬ সালে কাজাখস্তান সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ হয়।



সম্প্রতি কাজাখস্তানের রাজধানী নুর সুলতানে প্রথম পরিবেশবান্ধব সৌর মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে। সৌরশক্তির মাধ্যমে এই মসজিদের বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। মসজিদটি নির্মাণের আগে স্থানীয় কর্মকর্তারা বিদ্যুৎ বিলের ব্যয় হ্রাস করার জন্য মসজিদে সৌর প্যানেল ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন।


পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এই মসজিদের খবরটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।



জনসংখ্যার ভিত্তিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া।


ইন্দোনেশিয়া দক্ষিণ – পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। ল্যাটিন ইন্ডাস থেকে ইন্দোনেশিয়া শব্দটি এসেছে। ল্যাটিন শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় দ্বীপ। ডাচ উপনিবেশের কারণে তাদের দেয়া নামটি ওই অঞ্চলের জন্য প্রচলিত হয়।


১৯০০ সাল থেকে জায়গাটি ইন্দোনেশিয়া নামে পরিচিতি পায়। প্রায় ৫, ০০০ দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত এই দেশটি পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র। এর রাজধানীর নাম জাকার্তা।



সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর দেশটিতে প্রতিবছর প্রচুর মসজিদ নির্মাণ করা হলেও পুরোপুরি সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ।


কাজাখস্তানে ২০১৯ সালে ৮০টি মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে। সোভিয়েত শাসনের সময় ঐতিহ্যবাহী মুসলিম দেশটির ধর্মীয় কার্যক্রমের ওপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং হাজার হাজার মসজিদ-মাদরাসা বন্ধ করে দেওয়া ঞয়।


১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পরও দেশের শাসনব্যবস্থায় ধর্মবিরোধী ছাপ থেকে গেছে। তবে আশার কথা হলো, দেশটিতে ধর্মীয় অনুরাগ বাড়ছে দিন দিন। বর্তমানে দেশটির ৭০ শতাংশ জনগণ মুসলিম এবং তাদের বেশিরভাগ তুর্কি বংশোদ্ভূত।



প্রচণ্ড বরফ উপেক্ষা করে নামাজ আদায় করছেন কাজাখস্তানের মুসলমানরা, ছবি: সংগৃহীত
কাজাখস্তানের মুসলিম জনসাধারণের উদ্যোগ ও অর্থায়নে মসজিদগুলো নির্মিত হয়। তবে সরকারের অনুমতি নিতে হয়। সরকারি হিসাবমতে, কাজাখস্তানে বর্তমানে দুই হাজার ৬৯১টি মসজিদ রয়েছে। আরও শতাধিক মসজিদ নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে।


আলজেরিয়া
আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ আলজেরিয়া যার মোট আয়তন প্রায় ২৩ লক্ষ ৮১ হাজার ৭৪১ বর্গকিলোমিটার। উত্তর আফ্রিকায় অবস্থিত এই দেশটি আয়তনের দিক থেকে আফ্রিকা মহাদেশের বৃহত্তম মুসলিম দেশ। দেশটির রাজধানীর নাম আলজিয়ার্স। সর্বপ্রথম ৭ম শতকে আরব সেনাবাহিনীর আগমনের মাধ্যমে আলজেরিয়ায় ইসলামের আগমন ঘটে।

 

সময়ের সাথে সাথে এই অঞ্চল আব্বাসীয় খিলাফত, ফাতিমীয় খিলাফত এবং অটোমান সাম্রাজ্য সহ বিভিন্ন ইসলামি সাম্রাজ্য দ্বারা শাসিত হয়। ফলে ধীরে ধীরে এখানকার জনগোষ্ঠীর মধ্যে ইসলাম ছড়িয়ে পড়ে এবং ১১ শতকের মধ্যে ইসলাম আলজেরিয়ার একটি প্রধান ধর্ম হয়ে ওঠে। বর্তমানে দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯৯% মুসলিম যার মধ্যে অধিকাংশই সুন্নি মুসলিম।




ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের ওপর সরকারি বিধিনিষেধ থাকায় কাজাখস্তানে মুসলিম সমাজের বেশিরভাগ কার্যক্রম মসজিদকেন্দ্রিক। মসজিদ থেকেই ধর্মীয় সচেতনতা বৃদ্ধি, ইসলামি সংস্কৃতির প্রচার-প্রসারের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। তা ছাড়া বড় বড় মসজিদের সঙ্গে কোরআন মুখস্থ করার জন্য হেফজখানা ও উচ্চতর ইসলামি গবেষণাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার রেওয়াজ রয়েছে।

 


বিশুদ্ধ কোরআনচর্চার জন্য কাজাখস্তানের প্রসিদ্ধি রয়েছে। কয়েক বছর আগে শায়খুল ইসলাম আল্লামা তাকি উসমানি ধর্মীয় এক সফরে কাজাখস্তান গিয়েছিলেন। সেখানে ধর্মীয় কয়েকটি কনফারেন্সে তিনি অংশগ্রহণ করেন। সেই সফরের বৃত্তান্ত তিনি ‘সফর দর সফর’ নামক তার (তৃতীয়) ভ্রমণকাহিনিতে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন।

 


ওই ভ্রমণকাহিনিতে তিনি লিখেন, সেখানকার (কাজাখস্তানের) কিছু উদ্যমী যুবকের মুখে আমি বিশুদ্ধ আরবি শুনে অবাক হয়েছি। জিজ্ঞেস করলে জানতে পারলাম তারা হাফেজে কোরআনও। অথচ বয়সের দিকে তাকালে বোঝা যায় যে, সোভিয়েত ইউনিয়নের শাসনকালেই তাদের বেড়ে ওঠা। কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, যেখানে দীর্ঘকাল কোরআনের কপি ঘরে রাখা অপরাধ ছিল, সেখানে আপনারা কীভাবে কোরআন হেফজ করলেন আর কেমন করেই বিশুদ্ধ আরবি শিখতে পারলেন? প্রশ্ন শুনে তাদের চোখগুলো থেকে অশ্রু ঝরতে লাগল।

 



সৌদি আরব
সৌদি আরব বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ যার মোট আয়তন প্রায় ২১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬৯০ বর্গকিলোমিটার। দেশটির রাজধানীর নাম রিয়াদ। সৌদি আরবে ইসলাম ধর্মের ইতিহাস কয়েকশো বছরের পুরনো কেননা এই দেশ থেকেই ইসলাম ধর্মের ইতিহাসের শুরু। এই দেশেই জন্ম নিয়েছিলেন ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ নবি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। ৬১০ খ্রিস্টাব্দে তিনি সর্বপ্রথম ফেরেশতা জিবরাঈল (আঃ) এর মাধ্যমে আল্লাহর ওহী লাভ করেন এবং এরপর থেকেই তিনি মক্কায় ইসলাম ধর্মের দাওয়াত দিতে শুরু করেন।

 

 

কিন্তু সময়ের সাথে সাথে মুহাম্মদ (সাঃ) মক্কায় ক্রমবর্ধমান বিরোধিতার সম্মুখীন হন। যার ফলে ৬২২ খ্রিস্টাব্দে তিনি মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন। মদিনায় হিজরতের পর তিনি সে অঞ্চলে ইসলামের দাওয়াত দিতে থাকেন, ফলে সেখানে দ্রুত গতিতে ইসলাম ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এভাবেই মুহাম্মদ (সাঃ) এর মাধ্যমে আরব উপদ্বীপের বেশিরভাগ অংশে ইসলাম ধর্মের আধিপত্য বিস্তার লাভ করে। বর্তমানে সৌদি আরবকে ইসলামের পবিত্রতম স্থানগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয় যেখানে দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯৩% মুসলিম।



তারা শোনালেন, তাদের পূর্বপুরুষ আলেমরা কীভাবে জান-মাল বিসর্জন দিয়ে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সন্তানদের এবং নতুন প্রজন্মকে ঘরে ঘরে গিয়ে গোপনে মাটির নিচে কোরআন শেখাতেন। শুধু তেলাওয়াতই নয়, আরবি ভাষা, ধর্মীয় জ্ঞান-বিজ্ঞান সবকিছুর তারা শিক্ষা প্রদান করতেন। বস্তুত তাদের ওই ত্যাগ-তিতিক্ষার বদৌলতে কাজাখস্তান স্বাধীনতা লাভের পর দ্বীনি শিক্ষার লোকের অভাব দেখা দেয়নি। আর তাদের হাতেগড়া তরুণরাই আজকের কাজাখস্তানে ধর্মীয় ক্ষেত্রে মুসলমানদের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে।

 



কাজাখস্তানে নারীদের কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার আয়োজন ঐতিহ্যের অংশ। কাজাখস্তানের সবচেয়ে বড় শহর আলমাতির কেন্দ্রীয় মসজিদের সহযোগিতায় আলমাতি ও পাভলদার শহরে প্রতিবছর এ জাতীয় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।


কিছুদিন আগে কাজাখস্তানে যাত্রা শুরু করেছে ‘মিউজিয়াম অব ইসলামিক কালচার।’ এতে ওই অঞ্চলের প্রাচীন অনেক নিদর্শন স্থান পেয়েছে। বিশেষত কাজাখ মুসলিমদের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে।



কাজাখস্তানের বড় বড় শহরগুলোতে মুসলমানদের ধর্মীয় বিষয়াদী দেখভাল করতে ইমাম রয়েছেন। তিনি প্রধান ইমাম নামে পরিচিত। তাকে ‘ইমামে শহর’ বলা হয়। দেশটির বেশিরভাগ মানুষ ধর্মভীরু ও নামাজী। আর রোজাদারের পরিমাণ আরও বেশি। কাজাখস্তানের মুসলমানদের দৈনিক সাড়ে ১৮ ঘণ্টা রোজা রাখতে হয়। তারা গম থেকে তৈরি বিভিন্ন প্রকারের খাবার বেশি খায়।



ইন্দোনেশিয়া
আয়তনের দিক থেকে ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম মুসলিম দেশ। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অবস্থিত একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। দেশটির আয়তন প্রায় ১৯ লক্ষ ৪ হাজার ৫৬৯ বর্গকিলোমিটার এবং রাজধানী জাকার্তা। ধারণা করা হয়, ১৩ শতকে সুফিবাদ ও বিভিন্ন আরব মুসলিম ব্যবসায়ীদের আগমনে ইন্দোনেশিয়ায় ইসলাম ধর্ম ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং ১৬ শতকের মধ্যে জাভা দ্বীপসহ এই অঞ্চলের অনেক অংশে ইসলাম ছড়িয়ে পড়ে। এরপরেও ইসলাম ইন্দোনেশিয়ার সংস্কৃতি এবং পরিচয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে রয়ে যায়। বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম জনসংখ্যার দেশ যেখানে দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৭% মুসলিম।




২৭ লাখ ২৪ হাজার ৯০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দেশটিতে প্রায় ২ কোটি মানুষের বসবাস। আয়তনের দিক দিয়ে এটি বিশ্বের ৯ম বৃহত্তম দেশ। অষ্টম শতাব্দীতে আরবদের আগমনের ফলে এই অঞ্চলে ইসলামের প্রসার ঘটে। সোভিয়েত আমলে ধর্ম খুব বেশি গুরুত্ব না পেলেও এখন দেশটির প্রধান ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ মুসলিম। বাকী ৩০ ভাগ অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।


নুর সুলতান কাজাখস্তানের রাজধানী। কিছুদিন আগেও এই শহরটির নাম ছিল আস্তানা। দেশের প্রথম প্রেসিডেন্টের সম্মানে রাজধানী আস্তানার নাম পরিবর্তন করে নুর সুলতান রাখা হয়।

আয়তনে বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ কাজাখস্তান। আর জনসংখ্যায় পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া।


কাজাখস্তানের মুসলমানরা ধর্মকর্ম পালন করেন বেশ ঘটা করে। ধর্ম শুধু পরিচয়ের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয় বরং ধর্মের প্রভাব দারুণভাবে উপস্থিত। দেশটির গ্র্যান্ড মুফতির নাম আবদুস সাত্তার দারবিসিল।


সুদান
সুদান উত্তর আফ্রিকায় অবস্থিত একটি দেশ যা আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম মুসলিম দেশ। দেশটির মোট আয়তন প্রায় ১৮ লক্ষ ৬১ হাজার ৪৮৪ বর্গকিলোমিটার এবং রাজধানীর নাম খার্তুম। ৭ম শতকে আরবরা মিশর জয় করার এর প্রতিবেশী দেশগুলোতে ইসলাম ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে যার মধ্যে সুদান অন্যতম।

 

সেসময় সুদানের উত্তর দিক থেকে বিশেষ করে নীলনদ উপত্যকা বরাবর ইসলাম ধর্ম ছড়িয়ে পড়ে বলে মনে করা হয়। পরবর্তী সময়ে দেশটিতে ইসলাম ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং ১৬ শতকের মধ্যে ইসলাম এই অঞ্চলের বৃহত্তম ধর্ম হয়ে ওঠে। বর্তমানে দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯৭% মুসলিম।




দেশের উল্লেখযোগ্য মসজিগুলোর অন্যতম হলো- হজরত সুলতান মসজিদ। মসজিদটি রাজধানী নুর সুলতানে (আস্তানা) অবস্থিত। এটি কাজাখস্তানের সবচেয়ে বড় এবং মধ্য এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ। এই মসজিদে একসঙ্গে ৫০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।

(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)