বেতর নামাজের নিয়ত

বেতর নামাজের নিয়ত ,  অন্যান্য নামাজের নিয়তের মতই। বিতর বা বেতর নামাজের নিয়তে ওয়াজিব শব্দটি ব্যবহার করতে হয়। মুখে উচ্চারণ করে বলবেন বা মনে মনে এই নিয়ত করবেন যে, “আমি কেবলামুখী হয়ে তিন রাকাত বিতর এর ওয়াজিব নামাজ আদায় করতেছি ” এতটু বললে আল্লাহু আকবার বলে নিয়ত বাধবেন। নিয়ত আরবিতে বলা জরুরী নয়।

 

কারণ নিয়ত মানে হলো এরাদা করা বা সংকল্প করা। তাই মুখে উচ্চরণ করে পড়া জরুরী নয়। বিতর নামাজ পড়ার জন্য দাড়িয়েছেন এটাই প্রকৃত নিয়ত।মুসলিম শরীফ নববীর ভাষ্য সহ। ৪/১৭২, ১৭৪।

 


অনেকে বলতে পারেন, আমরা কুনুত, কেরাত ও বর্ধিত তাকবীরের মাধ্যমে মাগরিব থেকে পার্থক্য করে নেই। কিন্তু একথা গ্রহণযােগ্য নয়। কেননা বিতর নামাযে কুনূত পাঠ করা ঐচ্ছিক বা মুস্তাহাব বিষয়। তাছাড়া নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাগরিবের নামাযেও কুনূত পড়েছেন।সহীহ মুসলিম, অধ্যায়ঃ মসজিদ ও সিজদার স্থান, হা/১০৯৩, ১০৯৪।



বেতর নামাজের নিয়ত



বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম বা বেতের নামাজের নিয়ম
১) পবিত্র স্থানে দাড়িয়ে কেবলামুখী হয়ে উপরে উল্লেখিত নিয়মে নিয়ত করা।



২) তারপর দুই হাত কানের লতি বরাবর উঠাতে হবে (মেয়েরা কাঁধ বরাবর হাত উঠাবে)। ছেলেরা আল্লাহু আকবার বলে নাভির নিচে বাম হাতের উপর ডান হাত রেখে, ডান হাতের বৃদ্ধা ও কনিষ্ঠা আঙ্গুল দিয়ে বাম হাতের কবজি ধরে নিয়ত বাধবে এবং মেয়েরা বুকের উপর বাম হাতের উপর ডান হাত বিছিয়ে হাত বাধবে। ।



৩) এবার ছানা পড়তে হবে।


ছানা বাংলাতে উচ্চারণ
সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলাহা গাইরুক।


ছানার বাংলা অর্থ


হে আল্লাহ! তুমি পাক-পবিত্র, তোমার জন্য সমস্ত প্রশংসা, তোমার নাম বরকতময়, তোমার গৌরব অতি উচ্চ, তুমি ভিন্ন অন্য কেহ উপাস্য নাই।


শায়খ আলবানী বলেন, তিন রাকাত বিতর দুই তাশাহুদে পড়লেই তা মাগরিবের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়। আর হাদিসে এটাকেই নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু যদি একেবারে শেষ রাকাতে বসে তবে কোন সাদৃশ্য হবে না। হাফেয ইবনে হাজার ফাতহুল বারীতে একথাই উল্লেখ করেছেন এবং ছানআনী সুবুলুস সালামে এই পদ্ধতিকে উত্তম বলেছেন।


সালাতুত তারাবীহ- আলবানী, পৃঃ ৯৭।


৪) তারপর আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম ও বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পড়ে সূরা ফাতিহা পড়তে হবে।


৫) সূরা ফাতিহা শেষ করার পর যেকোন একটি সূরা বা কোরআন শরীফের যেকোন স্থান হতে কম পক্ষে তিন আয়াত পড়তে হবে।


৬) এবার আল্লাহু আকবার বলে রুকু করতে হবে। রুকুতে যেয়ে রুকুর তাসবি পড়বেন, তিন বার, পাঁচবার, সাতবার যতবার ইচ্ছে। তবে বেজোড় সংখ্যা পড়লে উত্তম। সংখ্যা নির্ধারণ করে পড়লে নামাজে মনোযোগ ধরে রাখা যায়।


দারাকুতনী, ইবনে হিব্বান ও হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাকিম হাদীছটিকে বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ আখ্যা দিয়েছেন এবং ইমাম যাহাবী সমর্থন করেছেন। ইবনে হাজার ও শাওকানী ও সহীহ বলেছেন। (দ্রঃ ফাতহুল বারী, ২/৫৫৮, নায়লুল আওত্বার ৩/৪২-৪৩। শায়খ আলবানী ও ছহীহ আখ্যা দিয়েছেন (দ্রঃ সালাতুত তারাবীহ- ৮৪ ও ৯৭ পৃঃ)।




রুকুর তাসবির বাংলা উচ্চারণ: সুবহানা রব্বিয়াল আযিম

রুকুর তাসবিহ এর বাংলা অর্থ
আমার মহান প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করতেছি।



৭) রুকু হতে উঠার সময় পড়তে হবে

সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ্


আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
তোমরা মাগরিবের নামাজের সাথে সাদৃশ্য করে তিন রাকাত বিতর পড়না; বরং পাঁচ রাকাত দ্বারা বা সাত রাকাত দ্বারা বা নয় রাকাত দ্বারা কিংবা এগার রাকাত দ্বারা বিতর পড়।


উচ্চারণ: সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ্

অর্থ: যে আল্লাহর প্রশংসা করেছে, আল্লাহ তার প্রশংসা কবুল করেছেন।


সোজা হয়ে দাড়িয়ে পড়তে হবে

রব্বানা লাকাল হামদ



বিতর নামায মাগরিবের মতো আদায় করার ব্যাপারে আরেকটি যুক্তি পেশ করা হয়। তা হচ্ছে সহীহ হাদীছে বর্ণিত হয়েছে,

মাগরিব হচ্ছে দিনের বিতর নামায। অতএব তোমরা রাতের নামাযকে বিতর কর।


হাদীসটি ইবনে ওমরের বরাতে তাবরানী বর্ণনা করেন। (দ্রঃ সহীহুল জামে- আলবানী অনুচ্ছেদ রাতের নামায, হা/১৪৫৬।



উচ্চারণ: রব্বানা লাকাল হামদ।

অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক সকল প্রশংসা তোমারই।


৮) দাড়ানো থেকে আল্লাহু আকবার বলে সিজদায় যেতে হবে এবং সিজদার তাসবি পড়বেন তিন, পাঁচ অথবা সাতবার।

সিজদার তাসহিব আরবিতে
সুবহানা রাব্বিয়াল আ-লা


সিজদার তাসবির বাংলা উচ্চারণ: সুবহানা রাব্বিয়াল আ-লা


সিজদার তাসবিহ এর বাংলা অর্থ
আমার মহান প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করতেছে।



৯) এক সিজদা দেয়ার পর সোজা হয়ে বসে আবার দ্বিতীয় সিজদায় যেতে হবে। দুই সিজদার মাঝে সোজা হয়ে বসা ওয়াজিব এবং এক তাসবিহ পড়িমান সময় সোজা হয়ে অপেক্ষা করতে হবে। এক তাসবিহ হলো আল্লাহু আকবার বলতে যতটুকু সময় লাগে তাকে এক তাসবিহ পরিমান সময় বলে। এই পরিমান সময় দুই সিজদার মাঝে অপেক্ষা না করে দ্বিতীয় সিজদায় চলেগেলে ওয়াজি বাদ পরে যাবে এবং সু-সিজদা না দিলে নামাজ হবে না। এবার দ্বিতীয় সিজদায় যেয়ে তিন, পাঁচ অথবা সাতবার “সুবহানা রাব্বিয়াল আ-লা” পড়বেন।

 



আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

রাতের বিতর তিন রাকাত, উহা হল দিনের বিতর মাগরিবের মত।

দারাকুতনী ২/২৭,২৮; বায়হাকী হা/৪৮১২।

 


এ হাদীছটি ইমাম দারাকুতনী বর্ণনা করে বলেন, হাদীসটি সহীহ নয়; উহা যঈফ।

ইমাম বাইহাকী বলেন, হাদীসটি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত হলেও তা মূলতঃ ইবনে মাসউদ (রাঃ) এর নিজস্ব কথা হিসেবে প্রমাণিত।


১০) এবার আল্লাহু আকবার বলে দাড়িয়ে যাবেন। এভাবে প্রথম রাকাত শেষ হবে।

১১) এবার দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়বেন এবং তার সাথে আরেকটি সূরা পড়বেন এবং আগের নেয় রুকু এবং দুই সিজদা করে বসে তাশাহুদ পড়তে হবে।



তাশাহুদের বাংলা উচ্চারণ
আত্তাহিয়াতু লিল্লাহি ওয়াস সালাওয়াতু ওয়াত তায়্যিবাত। আসসালামুয়ালাইকা আয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্। আসসালামুয়ালাইনা আ’লা ইবাদিল্লাহিস সয়ালিহিন, আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রসূলুহ্”।

 


তাশাহুদের বাংলা অর্থ


সমস্ত মৌখিক ইবাদত, সমস্ত শারীরিক ইবাদত এবং সমস্ত পবিত্র বিষয় আল্লাহ তা’আলার জন্য। হে নবী! আপনার উপর শান্তি ও তার বরকতসমূহ নাজিল হওক। আমাদের প্রতি ও আল্লাহ তা’আলার নেক বান্দাদের প্রতি তার শান্তি বর্ষিত হওক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত আর কোন মা’বুদ নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল।

 


হাদীসটি বর্ণনা করেন ইমাম হাকেম, তিনি হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।

একাধারে তিন রাকাত বিতর পড়ার ইঙ্গিতে আরেকটি হাদীছ পাওয়া যায়। উবাই বিন কা’ব (রাঃ) বলেন,

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিতর নামাযে প্রথম রাকাতে ‘সাব্বেহিসমা রাব্বিকাল আ’লা’, দ্বিতীয় রাকাতে ‘কুল ইয়া আইয়ুহাল কাফিরুন’ এবং তৃতীয় রাকাতে ‘কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ পড়তেন। আর সবগুলো রাকাত শেষ করেই সালাম ফেরাতেন।

 


নাসাঈ, অধ্যায় কিয়ামুল লাইল ও নফল নামাজ, অধ্যায় বিতরের ক্ষেত্রে উবাই বিন কাব এর হাদীস বর্ণনায় বর্ণনাকারীদের বাক্যের মধ্যে বিভিন্নতা। হা/১৬৮১।


১২) তাশাহুদ শেষ করে আল্লাহু আকবার বলে দাড়িয়ে যাবেন।

১৩) এখন তৃতীয় রাকাতে দাড়িয়ে সূরা ফাতিহা পড়তে হবে এবং তার সাথে আরেকটি সূরা পড়তে হবে এবং দাড়ানো অবস্থাতেই হাত ছেড়ে দিতে হবে। আবার আল্লাহু আকবার বলে হাত কানের লতি বরাবর উঠাতে হবে (মেয়েরা কাঁধ বরাবর উঠাবে) এবং নাভির নিচে (মেয়েরা বুকের উপর) হাত বাধবে এবং বাম হাতের উপর ডান হাত বাধতে হবে।

 



১৪) এবার এই দাড়ানো অবস্থাতেই দোয়া কুনুত পড়তে হবে।



বিতর নামাজে দোয়া কুনুত বাংলা
আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তায়ীনুকা, ওয়া নাস্তাগফিরুকা, ওয়া নু’মিনু বিকা, ওয়া নাতাওয়াক্কালু ‘আলাইকা, ওয়া নুছনী আলাইকাল খাইর। ওয়া নাশ কুরুকা, অলা- নাকফুরুকা, ওয়া নাখলাউ, ওয়া নাতরুকু মাঁই ইয়াফজুরুকা, আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া লাকানুসল্লী, ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাস’আ, ওয়া নাহফিদু, ওয়া নারজু রাহমাতাকা, ওয়া নাখশা আযাবাকা, ইন্না আযাবাকা বিল কুফ্ফারি মুলহিক।

 


দোয়া কুনুতের বাংলা অর্থ


হে আল্লাহ! আমরা তোমারই সাহায্য চাই। তোমারই নিকট ক্ষমা চাই, তোমারই প্রতি ঈমান রাখি, তোমার ওপর ভরসা করি এবং সকল মঙ্গল তোমারই দিকে ন্যস্ত করি। আমরা তোমার কৃতজ্ঞ হয়ে চলি, অকৃতজ্ঞ হ‍ই না। হে আল্লাহ! আমরা তোমার দাসত্ব করি, তোমারই জন্য নামাজ পড়ি এবং তোমাকেই সিজদাহ করি। আমরা তোমার দিকে দৌড়াই ও এগিয়ে চলি। আমরা তোমার রহমতের আশা করি এবং তোমার আযাবকে ভয় করি। আর তোমার আযাবতো কাফেরদের জন্যই নির্ধারিত।


হযরত আয়েশা (রাঃ) আরাে বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক রাকাত বিতর পড়তেন। তিনি দুই রাকাত এবং এক রাকাতের মাঝে কথা বলতেন।

মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, শায়খ আলবানী বলেন, হাদিসটির সনদ শায়খাইন (বুখারী মুসলিমের) শর্তানুযায়ী ছহীহ। দ্র ইরওয়াউল গালীল হা/ ৪২০।


নাফে বলেন, আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) বিতরের দুই রাকাত এবং এক রাকাতের মাঝে সালাম ফিরাতেন এবং কোন দরকারী বিষয় থাকলে তার নির্দেশ দিতেন।

সহীহ বুখারী, অধ্যায় বিতর নামায, অনুচ্ছেদ বিতরের বর্ণনা। হা/৯৩২ (বাংলা বুখারী)।


১৫) দোয়া কুনুত শেষ করে আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যেতে হবে এবং রুকুর তাসবি পড়তে হবে। রুকু থেকে উঠে সিজদায় যেতে হবে।

১৬) তারপর তাশাহুদ, দুরুদ ও দোয়া মাসুরা পড়তে হবে এবং সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে হবে।





দুরূদ শরীফ বাংলা উচ্চারণ


আল্লাহুম্মা সল্লিয়ালা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ, কামা সল্লাইতা আলা ইব্রাহীমা ওয়ালা আলি ইব্রাহীম, ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়ালা আলি মুহাম্মাদ, কামা বারাকতা আলা ইব্রাহীমা ওয়ালা আলি ইব্রাহীম, ইন্নিকা হামিদুম্মাজিদ।

 

দুরূদ শরীফের বাংলা অর্থ


হে আল্লাহ! তুমি রহমত বর্ষণ কর হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি ও তাঁর পরিবারের পরিজনের প্রতি, যেমন রহমত বর্ষণ করেছিলে ইব্রাহীম (আ.) এর প্রতি ও তাঁর পরিবার পরিজনে প্রতি। নিশ্চয় তুমি প্রশংসিত ও সম্মানিত। হে আল্লাহ! তুমি বরকত নাজিল কর হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি ও তাঁর পরিবার পরিজনের প্রতি, যেমন বরকত নাজিল করেছিলে ইব্রাহীম (আ.) এর প্রতি ও তাঁর পরিবার পরিজনের প্রতি। নিশ্চয় তুমি প্রসংসিত ও সম্মানিত।




দোয়া মাছুরা বাংলা উচ্চারণ


আল্লাহুম্মা ইন্নি জলামতু নাফসি জুলমান কাসিরা, ওয়ালা ইয়াগফিরুজ্ জুনুবা, ইল্লা আংতা, ফাগফিরলী মাগফিরাতাম, মিন ইংদিকা ওয়ার হামনী, ইন্নাকা আংতাল গাফুরুর রাহীম।



দোয়া মাছুরা বাংলা অর্থ


হে আল্লাহ! আমি আমার আত্মার উপর অসংখ্য জুলুম করেছি এবং তুমি ব্যতীত পাপসমূহ ক্ষমা করার আর কেহ নাই। অতএব আমাকে ক্ষমা কর তোমার নিজের পক্ষ হতে এবং আমাকে দয়া কর। নিশ্চয় তুমি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।


এ পদ্ধতি অনুযায়ী বিতর মূলত এক রাকাতই। দুই রাকাত পড়ে সালাম ফিরানো অতঃপর এক রাকাত পড়া। যেমন ইবনে ওমর (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করা হল দু দু রাকাত মানে কি? তিনি বললেন: প্রত্যেক দুই রাকাত পর পর সালাম ফিরাবে।

মুসলিম- হা/১২৫২।

 



ইবনে ওমর (রাঃ), ইমাম মালেক, শাফেয়ী, আহমেদ, ইসহাক, প্রমুখ এভাবেই বিতর পড়তেন।
আল মুগনী ২/৫৮৮।

 



ইবনে উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে আরো বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বিতর নামায সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, দু’রাকাত এবং এক রাকাতের মাঝে সালাম ফিরে পার্থক্য করে নিবে।

আসরাম স্বীয় সনদে হাদিসটি বর্ণনা করেন। দ্রঃ আল মুগনী ২/৫৮৯।

আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন:

আমি বাড়ীতে থাকা অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কক্ষের মধ্যে নামায পড়তেন। তিনি দুই রাকাত এবং এক রাকাতের মাঝে পৃথক করতেন, এসময় তিনি আমাদেরকে শুনিয়ে জোরে সালাম দিতেন।

আহমাদ হা/২৩৩৯৮।



বিতর নামাজ দুই রাকাত পড়ে সালাম না ফেরানোর হাদিস


সাদ ইবনে হিশাম (রহ.) বর্ণনা করেন, আয়েশা রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহুমা তাকে বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের দুই রাকাতে সালাম ফেরাতেন না। (নাসায়ি১/২৪৮) এই হাদিসটিকে ইমাম হাকেম (রহ.) সহীহ বলেছেন।

 

(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)