ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় , ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার উপযুক্ত সময় হচ্ছে রাত। তবে আপনি সকালবেলা ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন। তবে আপনি যদি কোন ডাক্তারের শরণাপন্ন হন তখন ডাক্তার আপনাকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল রাতে খেতে বলবে। তবে ঔষধের খাপে যে কাগজ দেয়া থাকে তার মধ্যে আপনি দেখতে পারবেন এটা আপনি দুই বেলা খেতে পারবেন।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি সত্যিই মোটা হওয়া যায়? এই প্রশ্নটিই আপনাদের মাথায় ঘোরাঘুরি করছে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর অনেকগুলো কাজ রয়েছে যেমন ত্বক মসৃণ করে, মাথার চুল পড়া কমায়, শরীরের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়
আপনারা জানলে অবাক হবেন যে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মোটা হওয়ার জন্য কোন ক্যাপসুল নয়। এই ট্যাবলেটটি মোটা হওয়ার জন্য তেমন কোনো ভূমিকা রাখে না। এই ট্যাবটিতে রয়েছে ভিটামিন-ই যা চুলের গোড়া মজবুত করে ও শরীরের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং শরীরের ভিন্ন ক্ষেত্রে কাজে লাগে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার সঠিক নিয়ম হলো খাবার 40 মিনিট পর খাওয়া। তবে আপনি যদি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর কাজ পরিমিতভাবে পেতে চান তাহলে আপনাকে প্রতিদিন রাতের বেলায় খাবার 40 মিনিট পর খেতে হবে। ভিটামিন ই ক্যাপসুলের উপকারিতা পেতে সঠিক নিয়ম মেনে চলুন।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয়
আপনি যে কোন ক্যাপসুল যদি নিয়ম অনুযায়ী গ্রহণ করে থাকেন তাহলে কোনো অসুবিধা দেখা দেয় না। আর আপনি যদি ওই ক্যাপসুলটি আপনার ইচ্ছে মত গ্রহণ করেন তাহলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঠিক তেমনি ভিটামিন ই ক্যাপসুল যদি আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করে থাকেন তাহলে আপনার কোন ক্ষতি হবে না।
আপনি যদি ডাক্তারের কথা ব্যতীত আপনার মন গড়া ভিটামিন ই ক্যাপসুল গ্রহণ করে থাকেন তাহলে মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরানো সমস্যা প্রচন্ড পেট ব্যথা হতে পারে, চোখের দৃষ্টিশক্তি ঘোলাটে হয়ে যেতে পারে, মাঝে মাঝে বমি হতে পারে, ক্লান্তি এবং দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ই ক্যাপসুল গ্রহণ করবেন এতে কোন প্রকার ক্ষতি হবে না।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে আপনার শরীরের ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী হবে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল শরীরের ত্বক উজ্জ্বল করে ও সেই সাথে সতেজ রাখে। আর অন্যদিকে এটি চুলের গোড়া শক্ত ও মজবুত করে। এবং চুলকে করে তোলে ঝলমলে কাল ও সতেজ। তাছাড়া ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার ফলে আপনার ত্বক কুচকে যাওয়া বন্ধ হয়।
এছাড়াও ভিটামিন এ ক্যাপসুল মুখের দাগ দূর করতে সহায়তা করে। আপনার মুখে অতি দ্রুত বয়সের ছাপ পড়া থেকে দূরে রাখে। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহার
চুল বাড়াতে: আপনি যদি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহারে চুল লম্বা করতে চান তাহলে আপনার যা করতে হবে। নারিকেল তেলের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে আধঘন্টা ভালো করে ম্যাসেজ করতে হবে এতে করে আপনার চুল অনেক দ্রুত বেড়ে যাবে।
মুখের ব্রণ কমাতে: ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে যদি মুখের ব্রণ কমাতে চান তাহলে ক্যাপসুল এর ভেতরে থাকা জেলটা ভ্রূণের উপরে লাগিয়ে দিন এর কিছুক্ষণ পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
হাত-পায়ের উজ্জ্বলতা বাড়াতে: ভিটামিন ই ক্যাপসুল মধু এবং লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করুন এতে অনেক উপকার পাবেন।
ঠোট ফাটা কমাতে: ঠোঁট ফাটা কমাতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল লাগিয়ে নিন এতে করে আপনার ঠোঁট ফাটা কমে যাবে।
নখ এর উজ্জলতা বাড়াতে: নখ এর উজ্জ্বলতা বাড়াতে গরম জলের মধ্যে ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে সেই জলে আংগুল ডুবিয়ে রাখুন। এটা কিছুদিন করলে অনেক উপকার পাবেন।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলে ব্যবহারের নিয়ম
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ভেতরে যে জেলি জাতীয় পদার্থ থাকে তা আপনাকে চুলে ভালো করে ম্যাসেজ করে নিতে হবে। দেখতে হবে ভিটামিন এ ক্যাপসুলের জেলি জাতীয় পদার্থ যেন চুলের গোড়াতে ভিজিয়ে রাখে। এরপর তা আপনাকে 40 মিনিট রাখতে হবে। যখন দেখবেন তা চুলের মধ্যে শুকিয়ে গেছে। এরপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিবেন।
শরীরের সৌন্দর্য রক্ষায় ও বৃদ্ধিতে ভিটামিন ই কাজে আসে। তাছাড়া আরো কি কি কাজে আসে ভিটামিন ই দেখে নেওয়া যাক-
প্রতিদিন যারা রান্না বা কাপড় কাচার মতো কাজ করে থাকেন, তাদের নখের উপর বাড়তি চাপ পড়ে। একটুতেই যত্ন করে বড় করা নখ ভেঙে যেতে পারে। অনেক সময় নখের মধ্যে হলুদ দাগছোপও পড়ে যায়। আর এই নখ ভাল রাখতে কাজে আসে ভিটামিন ই ক্যাপসুল। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নখ এবং নখের চারপাশে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভাল করে মালিশ করে নিলে নখ থাকবে সুস্থ ও সুন্দর।
রাতে ঘুমতে যাওয়ার আগে অনেকেই নাইটক্রিম বা কোনও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে থাকেন। এই ক্রিমের মধ্যে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে দিলে সিরামের কাজ করবে। ত্বক আর্দ্র থাকবে।
দেখবেন এভাবে চার থেকে পাঁচ মাস ব্যবহারের পর আপনি ভাল ফলাফল পাবেন। তবে মনে রাখবেন একমাস ব্যবহার করে হতাশ হয়ে পড়বেন না। কেননা আপনার চুলের জন্য তার যতটুকু প্রয়োজন ঠিক সেই পরিমাণ প্রয়োজন যদি ঠিকমতো পায় তাহলে তার পরিপূর্ণ কাজে আসবে।
ভিটামিন ই-র ক্যাপসুল ভেঙে তার নির্যাসটি ত্বকে মাখলেও নানা ধরনের উপকার হতে পারে। যেমন যাঁদের ব্রণর সমস্যা বেশি হয়, তাঁরা ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তরল মুখে মাখলে সেই সমস্যা কমতে পারে।