মদিনার পূর্ব নাম কি , মদিনা শরিফের পূর্ব নাম ইয়াসরিব। যেদিন বনু সালেম ইবনে আওফের মহল্লায় জুমার নামাজ আদায়ের পর রসূল ( স) মদিনায় গমন করেন, সেদিন থেকেই ইয়াসরিবের নাম মদিনাতুর রসূল এর শহর সংক্ষেপে মদিনা হয়ে যায়।
মদিনার পূর্ব নাম কি
আমরা অনেকেই মক্কা এবং মদিনার পূর্ব নাম জানিনা। মক্কার পূর্ব নাম কি ও মদিনার পূর্ব নাম কি উক্ত আর্টিকেলটিতে আমরা জানবো মক্কা ও মদিনার পূর্ব নাম। পৃথিবীর পবিত্রতম ভূমি মক্কা এবং মদিনার পূর্ব নাম ছিল বাক্কা এবং ইয়াসরিব।অর্থাৎ মক্কার প্রাচীর নাম ছিল বাক্কা এবং মদিনার পূর্ব নাম ছিল ইয়াসরিব।
কাবা ঘরের গঠন নির্মাণ শেষে একজন ফেরেশতা অপার্থিব সাদা পাথর নিয়ে হাজির হন। যেটা পাশের আবু কুবাইস পর্বতের উপর আকাশ থেকে পতিত হয়েছিল। সেটা কাবার পূর্ব দিকের কোণে স্থাপন করে দেওয়া হয়েছিল।
মদিনার পুরব নাম কী ছিল? এবং কে এই নাম পরিবর্তন করেন?
রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় আসার আগে এ নগরীর নাম ছিল ইয়াসরিব। নুহ (আ.)-এর এক ছেলের নাম ছিল ইয়াসরিব। তাঁর বংশধরদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তিনি মদিনায় এসে বসবাস করেন। তাঁর নামানুসারে এ শহরের নাম ইয়াসরিব রাখা হয়। ইয়াসরিব অর্থ অভিযুক্ত করা বা ধমক দেওয়া। মহানবী (সা.)-এর হিজরতের পর এ নগরীর নাম রাখা হয় মদিনা। মদিনা শব্দের অর্থ শহর।
বাংলাদেশ থেকে মক্কা কত কিলোমিটার
মক্কার পূর্ব নাম কি ও মদিনার পূর্ব নাম কি আর্টিকেলটিতে প্রথমেই আমরা জানবো বাংলাদেশ থেকে মক্কা কত কিলোমিটার। আমাদের অনেকের প্রশ্ন বাংলাদেশ থেকে মক্কা কত কিলোমিটার । কোটি কোটি মুসলমান যে ঘরের দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করেন সেই ঘর কাবা শরীফ দেখার পরম সৌভাগ্য তাদেরই হয়েছে যাদেরকে আল্লাহতালা পছন্দ করেন। পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র স্থান মক্কা-মদিনায় সারা পৃথিবী হতে প্রতি বছর কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা হজ করার জন্য মক্কায় যেয়ে থাকেন। সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের সময়ের ব্যবধান হচ্ছে তিন ঘন্টা। বাংলাদেশ থেকে মক্কার দূরত্ব প্রায় ৫ হাজার ১৬৩ কিলোমিটার
মুসলিম শরিফে বর্ণিত আরেক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনাকে ‘তাইবাহ’ নামেও অভিহিত করেছেন। তাবাহ ও তাইবাহর অর্থ উত্তম। মদিনার উল্লেখযোগ্য আরো কয়েকটি নাম হলো আদ-দার, আল-হাবিবা, দারুল হিজরা, দারুল ফাতহ ইত্যাদি।
পবিত্র মক্কা শরীফ
মক্কার পূর্ব নাম কি এবং মদিনার পূর্ব নাম কি এবারে আমরা জানবো পবিত্র মক্কা শরীফ নিয়ে কিছু কথা। মক্কা পৃথিবীর পবিত্রতম নগরী হিসেবে স্বীকৃত। প্রাণ প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর জন্ম এ শহরেই। তিনি এখানেই কুরআনের ওহী লাভ করেন হেরাগুহায়। যা শহর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে। প্রতি বছর মুসলমানরা হজ পালনের জন্য এখানে এসে থাকেন।
মক্কার প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে কাবা। আর এই কাবাকে কেন্দ্র করেই আমরা পশ্চিম দিক হয়ে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে থাকি। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী কাবা হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম মসজিদ। এই শহরটিতে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর বংশধারা দীর্ঘদিন শাসন করেছে। ১৯২৫ সালে ইবনে সৌদ এর মাধ্যমে সৌদি আরব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে মক্কার দায়িত্ব লাভ করেন সৌদ বংশ।
নবীজি (সা.)-এর ইয়াসরিবে আগমনে স্থানীয় সব ধর্মবিশ্বাসের এবং সব গোত্রের সব অধিবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁকে শান্তির দূত ও অভিভাবক হিসেবে সানন্দে মেনে নেয়। মহানবী (সা.)-এর আগমনে আনন্দে উদ্বেলিত জনতা নিজ শহরের নাম বদলে ফেলে রাখলেন মাদিনাতুন নবী, অর্থাৎ নবীর শহর। তখন থেকেই ইয়াসরিব হয়ে যায় মদিনা।
মক্কা মদিনার ইতিহাস
মক্কার পূর্ব নাম কি, মদিনার পূর্ব নাম কি আর্টিকেলটিতে এবারে আমরা জানবো মক্কা মদিনার ইতিহাস। পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্রতম স্থান যেখানে আমাদের প্রাণ প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম জন্ম গ্রহণ করেছেন সেই মক্কা নগরী সম্পর্কে বেশ কিছু স্বনামধন্য লেখক বেশ কিছু বই লিখেছেন। সেই বইগুলো নিয়ে কিছু ইনফরমেশন তুলে ধরবো।যার মাধ্যমে আপনারা বাজার থেকে বইগুলো সংগ্রহ করে মক্কা-মদিনার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবেন। মক্কা ও মদিনা নিয়ে বই
পবিত্র দুই নগরী মক্কা এবং মদিনার ইতিকথা নিয়ে অধ্যাপক আব্দুল মালেক নুরী একটি বই লিখেছেন যার নাম মক্কা-মদিনার ইতিকথা। বইটিতে মক্কা এবং মদিনার ইতিকথা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
মক্কা মদিনার ইতিহাস সম্পর্কিত আরো একটি বই হচ্ছে , মক্কা শরীফের ইতিকথা। লিখেছেন এ এন এম সিরাজুল ইসলাম। প্রকাশনী বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার।
এছাড়াও আরো রয়েছে যেমন মক্কা মদিনা জেরুজালেম নামে একটি বই লিখেছেন আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ।
মাওলানা রশিদ আহমদ এর মক্কা শরীফ ও মদিনা শরীফের ইতিহাস।
আরও রয়েছে মক্কা মদিনার ইতিহাস।