মহিলাদের প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া ঔষধ , প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ কোনো ওষুধ খাবেন না। ওষুধ যত কম খাবেন তত ভালো। প্রচুর পানি খাবেন। প্রতিদিন গোছল করবেন।
যদি সম্ভব হয় ডাব খাবেন। কচি ডাব। এছাড়া প্রচুর ফল খাবেন। রোদে যাবেন না। বাইরে গেলে সাথে পানির বোতল রাখবেন। একটু পর পর চুমুক দিয়ে পানি খাবেন। আখের রস খাবেন। সবচেয়ে উপরকারী ডাবের পানি।
মহিলাদের প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া ঔষধ
সাধারণ উপসর্গের মধ্যে থাকতে পারে:
ঘন ঘন প্রস্রাব করার তাগিদ অনুভব
প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া
ঘন ঘন, অল্প পরিমাণে প্রস্রাব হওয়া
প্রস্রাব মেঘলা দেখায়
প্রস্রাব লাল, উজ্জ্বল গোলাপি বা কোলার মতো দেখায় – যা প্রস্রাবে রক্তের উপস্থিতি বোঝায়।
প্রস্রাবে তীব্র গন্ধ
মহিলাদের মধ্যে পেলভিক বা শ্রোণিতে ব্যথা, বিশেষ করে শ্রোণির মাঝে এবং পিউবিক হাড়ের চারপাশে
বয়স্ক জনগোষ্ঠীর মাঝে মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণ প্রায়ই উপেক্ষিত হয় নাহয় অন্য কোন রোগ বলে ভুল ধরা হয়।
মূত্রনালীর কোন অংশে সংক্রমণ হয়েছে, তার উপর নির্ভর করে বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট লক্ষণ ও উপসর্গ পরিলক্ষিত হয়।
কিডনি (অ্যাকিউট পায়েলোনেফ্রাইটিস)
কোমরে ব্যথা
জ্বর
ঠান্ডাভাব
ঝাঁকুনি অনুভব
বমি বমি ভাব
বমি করা ইত্যাদি।
মূত্রাশয় (সিস্টাইটিস)
দৈনিক তিন থেকে চার লিটার পানি খাবেন। এর বেশী নয়। আপনার শরীর অতিরিক্ত পানি প্রসেস করতে পারবেনা। মাত্রাতিরিক্ত পানি পানে মৃত্যুও হতে পারে। এটিকে “water toxication” বলা হয়ে থাকে। ইনফেকশন থেকেও প্রস্রাবের রাস্তা জ্বালাপোড়া করতে পারে। কিডনিতে কোন সমস্যা থাকলেও এটি হতে পারে। নিয়মিত পরিমাণমত পানি পান করলে যদি সমস্যাটি না যায় তা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
পেলভিক প্রেশার বা শ্রোণিচাপ
তলপেটে অস্বস্তি
ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া
প্রস্রাবের সময় ব্যথা অনুভব
প্রস্রাবে সাথে রক্ত যাওয়া ইত্যাদি
ইউরেথ্রা (ইউরেথ্রাইটিস)
প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া
স্রাব বের হওয়া ইত্যাদি।
প্রস্রাবে ইনফেকশনের ঝুঁকিতে কারা আছেন?
মহিলাদের মধ্যে মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণের হার বেশি। এর পেছনের সম্ভাব্য কারণগুলো হচ্ছে:
নারীর শারীরিক গঠন: পুরুষদের তুলনায় নারীদের ইউরেথ্রা আকারে ছোট। যার কারণে মূত্রাশয়ে সংক্রমণ হবার জন্য ব্যাকটেরিয়ার যে দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়, তা কম।
যৌন কার্যকলাপ: যৌনভাবে সক্রিয় নারীদের মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণ হবার সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে।
প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুয়ায়ী সঠিক মেয়াদে ও সঠিক মাত্রায় সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে হবে। আর যাদের ঘন ঘন সংক্রমণ হয়, তারা দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা নিতে পারেন। পানি পানের পরিমাণ বাড়ালে প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়ার সমস্যা কম হবে।
প্রস্রাবের ইনফেকশন এড়াতে আপনি খেতে পারেন-
বেরি জাতীয় খাবার: ক্রেনবেরি, ব্লুবেরি, রাস্পবেরি।
প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার: টকদই, কিমচি, আচার ইত্যাদি
উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: কলা, বাদাম, ডাল, বীজ, গোটা শস্যাদি ইত্যাদি
স্যালমন, মাছের তেলের সম্পূরক ইত্যাদি।
প্রস্রাবের ইনফেকশন এড়াতে যে যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন বা কম খাবেন:
বেশি মশলাযুক্ত খাবার
টক জাতীয় ফল
কফি
সোডা
এলকোহল
আর্টিফিশিয়াল সুইটনার ইত্যাদি।
প্রস্রাবে ইনফেকশন ঔষধের নাম
সমস্যার প্রধান কারণ হতে পারে যদি আপনি পাণি অল্প পরিমানে পান করেন। যদি এমননহয় তাহলে পানি বেশি করে পান করুন এবং প্রস্রাব করার পর প্রতিবার সাধ্যমত পানি পান করুন। এরপরো সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্রস্রাবে ইনফেকশনের জন্য সুপারিশকৃত ওষুধের মধ্যে আছে:
ট্রাইমেথোপ্রিম / সালফামেথোক্সাজোল
ফসফোমাইসিন
নাইট্রোফুরানটয়েন
সেফালেক্সিন
সেফট্রিয়াক্সোন
অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের একটি গ্রুপ হলো ফ্লুরোকুইনোলোনস যেমন – সিপ্রোফ্লক্সাসিন, লেভোফ্লক্সাসিন ইত্যাদি সাধারণ ইউটিআই এর জন্য দেওয়া হয়না। কিছু ক্ষেত্রে, কিডনিতে সংক্রমণ বা কমপ্লিকেটেড ইউটিআই চিকিৎসায় যদি অন্য কোন বিকল্প না থাকে, তখন ফ্লুরোকুইনোলোন ওষুধ দেওয়া যেতে পারে।
মহিলাদের প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া ঔষধ
প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া অনুভব হলে অবশ্যই সবার প্রথমে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। তবে কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা আছে, যা প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া খানিকটা উপশম করবে। তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, ঘরোয়া প্রতিকারগুলো ক্লিনিক্যাল পরামর্শের বিকল্প নয়।
১. হাইড্রেটেড থাকুন
প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া বা প্রস্রাবের সময় ব্যথা অনুভব করা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই হাইড্রেটেড থাকতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান করুন। প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া ডিহাইড্রেশনের কারণে হতে পারে।
২. ক্র্যানবেরি জুস
প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কমাতে ক্র্যানবেরি জুস উপকারি। ক্র্যানবেরি জুস সংক্রমণরত ব্যাকটেরিয়াকে ধবংস করে।
৩. নারিকেল পানি
প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কমাতে যেসব ঘরোয়া চিকিৎসা আছে, তার মধ্যে নারিকেল পানি পান অন্যতম। নারিকেল পানিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইলেক্ট্রোলাইটস আছে, যা আপনার শরীরের তারল্যসূচক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য দুর্দান্ত।
৪. মধুমিশ্রিত লেবুপানি
কুসুম গরম পানিতে ১ টা লেবুর রস ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। মধুমিশ্রিত লেবুপানি প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কমাতে একটি জনপ্রিয় ঘরোয়া চিকিৎসা।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)