মহিলাদের হার্ট কোন পাশে থাকে , তাহলে আমরা কিভাবে বুঝবো কোনটা হার্ট এটাকের ব্যথাঃ হার্ট এটাকের ব্যথা সাধারণত হঠাং করে শুরু হওয়া তীব্র ব্যথা। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং যেটা পুরো বুক জুড়ে হয়। বুকে চাপ বা বুক ভারী লাগে।
ব্যথা গলা,নিচের থুতনী,বাম বা ডান হাতের বাহুর দিকে যেতে পারে।
ব্যথার সাথে শরীরে ঘাম দেয়া,বমি বমি ভাব,বমি হওয়া এসব থাকতে পারে।
মহিলাদের হার্ট কোন পাশে থাকে
এটিকে বামদিকে কাত হয়ে শুয়ে হাতের দুটো আঙ্গুল সামান্য চাপ দিয়ে ধীরে ধীরে বুলাতে থাকুন l দেখবেন বাম ব্রেস্ট এর নিচের দিকে যে রিব হাড় গুলোর মাঝে কোন এক জায়গায় অনুভূতি আছেl বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং হার্ট এর স্পন্দন ছাড়াও পাঁজরের হাড়ের মাঝে মাংসপিন্ডের ন্যায় স্পর্শ ও অনুভূতি জাগে l ঠিক বাম স্তনের দু ইঞ্চি নিচে আরেকটু বাম পাশে কাত হয়ে শুয়ে আঙুলের প্রান্ত দিয়ে ধীরে ধীরে বুলাতে থাকুন l
হার্ট অ্যাটাকজনিত বুক ব্যথা
সাধারণত ৪০ বছরের নিচে হার্ট অ্যাটাক হতে দেখা যায় না। তবে এর ব্যতিক্রম এখন ঢের দেখা যাচ্ছে। যাদের হার্ট অ্যাটাক হয়, তাদের সাধারণত আগে থেকেই হাই ব্লাডপ্রেশার কিংবা রক্তনালীজনিত ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ থেকে থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং অধিকাংশ হার্ট অ্যাটাক রোগীর ইতিহাস নিয়ে জানা যায়, যেদিন হার্ট অ্যাটাক হয়েছে সেদিন কিংবা আগের দিন তারা প্রেশারের ওষুধ খাননি। এ কারণেও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
এটি রিফ্লাক্স, ইসোফেজিয়াল স্প্যাজম, ফুসফুসের সমস্যা যেমন হাঁপানি বা সিওপিডি, পেশীবহুল ব্যথা এবং চাপের কারণেও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং দুর্ভাগ্যবশত, এই অবস্থার একটির সাথে যুক্ত বুকের ব্যথা এবং হার্ট অ্যাটাকের সাথে যুক্ত বুকের ব্যথার মধ্যে পার্থক্য বলা কঠিন।
এমন অনেকে আছেন, তাদের যে উচ্চ রক্তচাপ বা আগে থেকে হৃদরোগ আছে, তারা তা ডাক্তারের কাছে না যাওয়ার আগে জানতেই পারেন না। তাই অনেকে বলে, সকালে সুস্থ দেখলাম হঠাৎ ঘুরে পড়ে মরে গেলো মানুষটা!
হার্ট অ্যাটাকের ব্যথা যেভাবে বুঝবেন
হঠাৎ খাবারের পর কিংবা কোনও জার্নি করার পর কিংবা হাঁটাহাঁটি বা ভারী কাজের পর কিংবা উত্তেজনাবশত কারও সঙ্গে চেঁচামেচি করার পর বা বেশি দুঃশ্চিতার সময় বুকের বাঁ পাশে চাপ দিয়ে ব্যথা শুরু হয়। মন হবে বুক জ্যাম হয়ে যাচ্ছে। ব্যথা পর্যায়ক্রমে বাড়তেই থাকবে।
ব্যথা পেটের দিকে, পিঠের দিকে, বাঁ বাহুর দিকে ও ঘাড়ের দিকে ছড়িয়ে পড়বে। ব্যথার তীব্রতায় রোগী দাঁড়ানো থেকে বুক ধরে বসে যাবে কিংবা শুয়ে পড়বে। কপালে মুখে ঘাম দেখা দেবে।
বমি বমি ভাব বা বমি হবে। ব্যথা কমবে না। বরং বাড়তেই থাকবে। সাধারণত ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ-এর ব্যথায় রোগী পেছনে কিছুতে হেলান দিয়ে বসলে ব্যথা কমে। তবে হার্ট অ্যাটাক-এর ক্ষেত্রে ব্যথার তীব্রতা বাড়বে। তীব্র হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকলে সঠিক সময় চিকিৎসা করাতে না পারলে রোগী মারাও যেতে পারে।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)