মাগরিবের নামাজ কয় রাকাতমাগরিবের নামাজের সময় , সূর্য অস্ত যাওয়ার পরেই মাগরিবের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং সূর্যের লালিমা শেষ হওয়া পর্যন্ত বাকী থাকে। (মুসলিম, মিশকাত হা/৫৮১)
মাগরিবের নামাজ মোট ৭ রাকাত
৩ রাকাত ফরয
২ রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ
২ রাকাত নফল
মাগরিব নামাজের তিন রাকাত ফরযের নিয়ত
نويت أن أصلى لله تعالى ثلث ركعات صلوة المغرب فرض
الله تعالى متوجها إلى جهة الكعـبـة الـشـريـفـة الله أكبر
উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা ছালাছা রাকআ’তি সালাতিল মাগরিবি ফারদুল্লাহি তা’আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার ।
বাংলা নিয়তঃ আমি আল্লাহর জন্য কেবলামুখী হইয়া মাগরিবের দুই রাকয়াত সুন্নাত নামাজের নিয়ত করিলাম, আল্লাহু আকবার।
মাগরিবের দুই রাকাত সুন্নত আদায় করার নিয়ম
মাগরিবের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আর ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার নিয়ম একই প্রকার। শুধুমাত্র নিয়তের মধ্যে ফজরের দুই রাকাত সুন্নত এর স্থানে মাগরিবের দুই রাকাত সুন্নতের কথা বলতে হবে।
মাগরিবের দুই রাকাত নফল নামাজের নিয়ত
نويت أن أصلى لله تعالى ركعتي صـلـوة المغـرب نـفل
متوجها إلى جهة الكعبة الشريفة الله اكبر
উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন্ উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকয়াতাই সালাতিন্নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা নিয়তঃ আমি কেব্লামুখী হইয়া আল্লাহর জন্য দুই রাকয়াত নফল নামাজ আদায়ের জন্য নিয়ত করিলাম, আল্লাহু আকবার।
মাগরিবের নামাজ কয় রাকাত
তাশাহুদ :
“আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস্ সালাওয়াতু, ওয়াত্ তাইয়িবাতু। আস্সালামু ‘আলাইকা আইয়্যুহান নাবীয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আস্সালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস্ সালিহীন। আশহাদু আল-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আননা মুহাম্মাদান আদুহু ওয়া রাসুলুহু”
অর্থঃ“সকল তাযীম ও সম্মান আল্লাহর জন্য,সকল সালাত আল্লাহর জন্য এবং সকল ভাল কথা ও কর্মও আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপানার প্রতি শান্তি,আল্লাহর রহমত ও তাঁর বরকত বর্ষিত হোক। আমাদের উপরে এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপরে শান্তি বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মাদ আল্লাহর বান্দা এবং তাঁর রাসূল”
দরূদ :
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ছাল্লে আলা মুহাম্মাদিউ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা ছাল্লায়তা ‘আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লাহুম্মা বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিউ ওয়া আলা আ-লে মুহাম্মাদিন কামা বা-রতা ‘আলা ইবরাহীমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।
অনুবাদ : হে আল্লাহ! আপনি রহমত বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদের পরিবারের উপরে, যেমন আপনি রহমত বর্ষণ করেছেন ইবরাহীম ও ইবরাহীমের পরিবারের উপরে । নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত। হে আল্লাহ! আপনি বরকত নাযিল করুন মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদের পরিবারের উপরে, যেমন আপনি বরকত নাযিল করেছেন ইবরাহীম ও ইবরাহীমের পরিবারের উপরে। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত।
মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৯১৯
দুআ মাসুরা :
“আল্লাহুম্মা ইন্নি জলামতু নাফসি যুলমান কাছিরা, ওয়ালা ইয়াগ ফিরূজ যুনুবা ইল্লা আন্তা ফাগফিরলি মাগফিরাতাম মিন ইনদিকা ওয়ার হামনি ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহিম”
অর্থঃ
হে আল্লাহ! আমি আমার উপর অত্যাধিক অন্যায় করেছি গুনাহ করেছি এবং তুমি ব্যতীত পাপ ক্ষমা করার কেউ নেই। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। ক্ষমা একমাত্র তোমার পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। আমার প্রতি রহম কর। নিশ্চই তুমি ক্ষমাশীল দয়ালু।১১ ) ২ কাঁধে সালাম দিয়ে আমরা নামাজ শেষ করি ।
মাগরিবের নামাজের পর আমল
১. আল্লা-হু আকবার (একবার সরবে)। আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ।
অর্থ : আল্লাহ সবার চেয়ে বড়। আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মুসলিম, মিশকাত হা/৯৫৯, ৯৬১ ছালাত পরবর্তী যিকর’ অনুচ্ছেদ-১৮।
২. আল্লা-হুম্মা আনতাস সালা-মু, ওয়া মিনকাস সালা-মু, তাবা-রাকতা ইয়া যাল জালা-লি ওয়াল ইকরা-ম।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনিই শান্তি, আপনার থেকেই আসে শান্তি। বরকতময় আপনি, হে মর্যাদা ও সম্মানের মালিক। এটুকু পড়েই ইমাম উঠে যেতে পারেন।
মুসলিম, মিশকাত হা/৯৬০
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)