মাটি কাকে বলে , মাটি বা মৃত্তিকা হলো পৃথিবীর উপরিভাগের নরম আবরণ। পাথর গুঁড়ো হয়ে সৃষ্ট খনিজ পদার্থ এবং জৈব যৌগ মিশ্রিত হয়ে মাটি গঠিত হয়।
জৈব পদার্থের উপস্থিতিতে ভূমিক্ষয় আবহবিকার, বিচূর্ণিভবন ইত্যাদি প্রাকৃতিক ও রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে পাথর থেকে মাটির উদ্ভব হয়েছে। সে কারণে অতি প্রাচীন কালের মাটি পৃথিবীতে পাওয়া যায় না ।
মাটি কাকে বলে
মাটি ও মৃত্তিকা হলো পৃথিবীর উপরিভাগের নরম আবরণ। পাথর গুঁড়ো হয়ে সৃষ্ট খনিজ পদার্থ এবং জৈব যৌগ মিশ্রিত হয়ে মাটি গঠিত হয়।জৈব পদার্থের উপস্থিতি তে ভূমিক্ষয় আবহবিকার,বিচূর্নভবন ইত্যাদি প্রাকৃতিক ও রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে পাথর থেকে মাটির সৃষ্টি হয়েছে
ভূপৃষ্ঠের উপরে খনিজ ও জৈব পদার্থের দ্বারা গঠিত বিভিন্ন স্তর যুক্ত প্রাকৃতিক বস্তুকে মাটি বলে।
মাটির উৎপত্তির জৈব প্রক্রিয়া (উদ্ভিদ ও প্রাণী দ্বারা) :-
(i) ছোটো বড়ো উদ্ভিদ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে খনিজ পদার্থের রূপান্তর ঘটিয়ে মাটি সৃষ্টি করে ।
(ii) শিলার ফাটলের মধ্যে উদ্ভিদের মূল প্রবেশ করলে ফাটলের আয়তন বাড়ে এবং উদ্ভিদের মূলের বৃদ্ধির ফলে শিলা ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায় ।
(iii) শিলার ওপর শৈবাল, ছত্রাক ইত্যদি জন্মালে শিলা নরম ও আলগা হয়ে মাটিতে পরিণত হয় ।
(iv) মাটিতে থাকা বিভিন্ন জীবাণু, মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণীদেহকে পচিয়ে জৈব পদার্থে পরিণত করে এবং পরোক্ষভাবে মাটি সৃষ্টিতে সাহায্য করে ।
(v) মাটিতে বসবাসকারী কেঁচো, উঁই, পিঁপড়ে, ইঁদুর প্রভৃতি প্রাণীরা মাটিকে ওলটপালট করে দিয়ে রাসায়নিক উপাদানের সঙ্গে জৈব উপাদানের মিশ্রণ ঘটিয়ে মাটি সৃষ্টিতে সাহায্য করে ।
মৃত্তিকা_বুনটের_শ্রেণীসমূহ_নিম্মরুপঃ
১৷ বালি
২৷ পলি
৩৷ কর্দম
৪৷ দোআশ
৫৷ দোঁআশ বালি
৬৷ বালি দোআশ
৭৷ বালি কর্দম দোআশ (Sandy clay loam)
৮৷ বালি কর্দম (Sandy clay)
৯৷ পলি দোআশ (Silt loam)
১০৷ কর্দম দোআশ (Clay loam)
১১৷ পলি কর্দম দোআশ(Silty clay loam)
১২৷ পলি কর্দম (Silty clay)
উদ্ভিদ এবং প্রাণীর মৃতদেহ ক্ষুদ্র অনুজীব দ্বারা আংশিক জারিত হয়। পরবর্তীতে এই আংশিক জারিত পদার্থ কিছু সংখ্যক জৈব পদার্থ দ্বারা আরও জারিত হয়ে গাঢ় কাল রঙের পদার্থ সৃষ্টি করে, যাকে হিউমাস বলে। এই হিউমাস মাটি সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন কর।
ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার সময় আপনার যে রোগগুলি আছে বা আপনি যেসব ওষুধগুলি গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কে আপনাকে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে,এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে
বিজ্ঞানীরা মাটির বিভিন্ন উপাদানগুলোর বিজ্ঞান সম্মত পরীক্ষানিরীক্ষা করে প্রমান করেন যে মাটির উপাদান প্রধাণত চারটি ;
১. খনিজ বা অজৈব উপাদান; মাটিতে খনিজ উপাদানের পরিমাণ সবচেয়ে বেশ। সমগ্র উপাদানের শতকরা ৪৫ ভাগই খনিজ পদার্থ।
২. জৈব উপাদান ; মাটির জৈব উপাদানকে সাধারণত হিউমাস বা সবুজসার বলে। মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ ৫ শতাংশ মাএ।
৩. মাটির বায়ু; মাটির স্তরে যে গ্যাসীয় পদার্থ বিদ্যমান মাটির বায়ু বলে। মাটিতে গ্যাসীয় পদার্থের পরিমাণ ২৫ শতাংশ।
৪. মাটির পানি; মাটির আরেকটি প্রধান উপাদান হলো পানি য মাটির মোট আয়তনের ৪৫ শতাংশ।
একনজরে বিভিন্ন প্রকার মাটির বৈশিষ্ট্যঃ-
বালি সবচেয়ে বড় কনা, এটি ভাল পানি নিষ্কাশন প্রদান করে কিন্তু পুষ্টি ধরে রাখে না।
পলিতে খুব সূক্ষ্ম কণা থাকে এবং আর্দ্রতা এবং পুষ্টি ধরে রাখে।
কাদামাটির ছোট কণা রয়েছে এবং এটি ভাল জল ধারণ করে তবে কম্প্যাক্টিংয়ে ভুগতে পারে।
দোআঁশ হল উপরের তিনটির সমন্বয় গঠিত মাটি। যা সবচেয়ে উর্বর।
(সূত্র:ইন্টারনেট)