মাযহাব মানা কি ফরজ , মাযহাব (আরবি: مذهب) হল ইসলামী ফিকহ বা আইনশাস্ত্রের অন্তর্ভুক্ত এক একটি চর্চাকেন্দ্র। নবী মুহাম্মদ (স.)- এর ইসলাম প্রচারের পর আনুমানিক প্রায় দেড়শত বছরের মধ্যে অনেক মাযহাবের উৎপত্তি হয়। সাহাবাদের মধ্যেও অনেকেই নিজস্ব মাযহাব প্রতিষ্ঠার জন্য কৃতিত্বের অধিকারী হয়ে আছেন।
মাযহাব মানা কি ফরজ
মাজহাব কোনো দ্বীন নয়। আমাদের সম্মানীত চারজন মাজহাবী ইমামেরা কোরআন এবং সুন্নাহর অনুসরন করেছেন। তাঁদের সময়ে যেসব বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং যেখানে পবিত্র কোরআন এবং সহিহ হাদিসের নির্দেশনা পান নি, সেক্ষেত্রে তাঁরা গবেষণা করেছেন। তাঁরা একথাও বলেছেন, ‘যদি আমার গবেষণার সাথে কোনো সাংঘর্ষিক হাদিস পাওয়া যায়, তাহলে সেটিই আমার মাজহাব, যদি আমার বক্তব্যের সাথে কোনো হাদিসের সাংঘর্ষিক অবস্থা হয়, তাহলে আমার বক্তব্যকে তোমরা দেয়ালের ওপারে ছুঁড়ে মারো।’
মাযহাব এর চারজন ঈমাম যদি বুঝতেন যে মানুষ তাদেরকে নিয়ে চারটি দল বানাবে, তাহলে তারা নিজ হাতে নিজের লেখা বই পুড়িয়ে ফেলতেন।
ইমাম আবু হানিফ, ইমাম মালেকী, ইমাম শাফিঈ, ইমাম হাম্বলি, এই চারজন ইমামের নামে চারটি মাযহাব (দল) রয়েছে। মজার ব্যাপার, এই চারজন মোটেই দল বানায় নি। তারা ফতোয়া দিয়েছেন, বই লিখেছেন। মানুষ তাদেরকে নিয়ে দল বানিয়েছে।
স্কুল কলেজে শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়েছেন? শিক্ষক তার ছাত্রদের জন্য, বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর লিখে তৈরি করে রাখেন। ছাত্ররা সেইসব উত্তর ফটোকপি করে নিজের সংগ্রহে রাখে। প্রচলিত ভাষায়, সেই উত্তর গুলোকে “নোট” বলে। ছাত্ররা শিক্ষকের সেই “নোট” মুখস্ত করে, পরীক্ষার খাতায় লিখে আসে। ছাত্রদের কাছে এমন কথা শোনা যায় – অমুক স্যারের “নোট” ভালো (অর্থাৎ, সঠিক উত্তর)।
মনে রাখবেন, সকল শিক্ষকই ভালো উত্তর লেখে। সকল স্যারের “নোট” ভালো। সকল শিক্ষকই সঠিক উত্তর লেখেন। তবুও মাঝে মাঝে সামান্য ভুল হয়ে যায়।
হে মুমিনগণ ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূলের (সাঃ) আনুগত্য কর। আর তোমাদের আমলসমুহ বিনষ্ট করো না।*
[সুরা- মুহাম্মদ, আয়াত-৩৩]
*”রাসুল তোমাদের যা দেন তা গ্রহন কর এবং যা নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক ।”*
[সুরা-হাশর, আয়াত-৭]
*”আর যেকেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে আল্লাহকে ভয় করে এবং তাঁর তাকওয়া অবলম্বন করে, তারাই কৃতকার্য।*
[সুরা-নুর,আয়াত-৫২]
*”আর তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহ ও রাসূলের, যাতে তোমাদের উপর রহমত করা হয়।*
“[সুরা-আলে-ইমরান, আয়াত-১৩২]
*”নামায কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর, যাতে তোমরা রহমতপ্রাপ্ত হতে পার।*
[সুরা-নুর, আয়াত-৫৬]
*”নামায কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর।”*
[সুরা-আহযাব, আয়াত-৩৩]
*”তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য কর। আল্লাহ খবর রাখেন তোমরা যা কর।*
[সুরা-মুজাদিলাহ, আয়াত-১৩]
*”আর যারা আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য করে তারা থাকবে তাদের সাথে, যাদের উপর আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন নবী, সিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্ম্শীলদের মধ্য থেকে। আর সাথী হিসেবে তারা হবে উত্তম ।”*
[সুরা-নিসা, আয়াত-৬৯]
*”এবং যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে, তাকে তিনি জান্নাতে দাখিল করাবেন, যার তলদেশে নহরসমুহ প্রবাহিত। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি পিছনে ফিরে যাবে তিনি তাকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দিবেন।”*
[সুরা-ফাতহ, আয়াত-১৭]
*”তোমাদের মধ্যে যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে এবং সৎকর্ম করবে, আমি তাকে দুবার প্রতিদান দেব এবং তার জন্য আমি সম্মান জনক রিযিক প্রস্তুতকরে রেখেছি।*
[সুরা-আহযাব, আয়াত-৩১]
*”তিনি তোমাদের আমল-আচরণ সংশোধন করবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন। যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে, সে অবশ্যই মহা সাফল্য অর্জন করলো।*
[সুরা-আহযাব, আয়াত-৭১]
*”হে আমাদের রব! আমরা সে বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করছি, যা তুমি নাযিল করেছ, আমরা রাসূলের অনুসরন করছি। অতএব, আমাদিগকে সাক্ষ্যদাতাদের তালিকাভুক্ত করে নাও।”*
[সুরা আলে-ইমরান, আয়াত-৫৩]”
*তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূলের অনুগত্য কর আর সাবধান হও। আর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে জেনে রাখ, আমার রাসূলের দায়িত্ব প্রকাশ্য প্রচার করা।”*
[সুরা-মায়িদা, আয়াত-৯২]