মারফু হাদিস কাকে বলে,ইসলামিক টিপস

মারফু হাদিস কাকে বলে , মারফূ‘’র পারিভাষিক সংজ্ঞা প্রসঙ্গে লেখক রাহিমাহুল্লাহ্ বলেন: “নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সম্পৃক্ত কথা, অথবা কর্ম, অথবা সমর্থন, অথবা তার চারিত্রিক ও শারীরিক গঠনের বর্ণনা; অভিজ্ঞতাদের পরামর্শ অনুযায়ী হোক স্পষ্ট মারফূ‘ কিংবা হুকমান মারফূ‘।

সাহাবি তার সাথে সম্পৃক্ত করুক কিংবা তাবে‘ঈ কিংবা তাদের পরবর্তী কেউ, সকল প্রকার মারফূ‘র অন্তর্ভুক্ত”। অতএব মারফূ‘র সংজ্ঞায় মুত্তাসিল, মুরসাল, মুনকাতি‘, মু‘দ্বাল ও মু‘আল্লাক অন্তর্ভুক্ত, তবে মাওকুফ ও মাকতু‘ অন্তর্ভুক্ত নয়।

মারফু হাদিস কাকে বলে



রাবীদের সংখ্যা হিসেবে হাদীস তিন প্রকারঃ
.
১। খবরে মুতাওয়াতির: যে হাদীস এত অধিক সংখ্যক রাবী বর্ণনা করেছেন যাদেও মিথ্যার উপর একমত হওয়া অসম্ভব।
২। খবরে মাশহুর: প্রত্যেক যুগে অন্তত: তিনজন রাবী রেওয়ায়েত করেছেন,তাকে খবরে মাশহুর বলে, তাকে মুস্তাফিজ ও বলে।
৩। খবরে ওয়াহেদ বা খবরে আহাদ: হাদীস গরীব আজিজ এবং খবরে মাশহুর এ তিন প্রকারের হাদীদকে একত্রে খবরে আহাদ বলে, প্রত্যেকটিকে পৃথক পৃথকভাবে খবরে ওয়াহিদ বলে।

নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক দাসীকে বলেন:

«أَيْنَ اللَّهُ ؟ قَالَتْ: فِي السَّمَاءِ، قَالَ: مَنْ أَنَا؟ قَالَتْ: أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ، قَالَ: أَعْتِقْهَا، فَإِنَّهَا مُؤْمِنَةٌ»

“আল্লাহ কোথায়? সে বলল: আসমানে। তিনি বলেন: আমি কে? সে বলল: আপনি আল্লাহর রাসূল। তিনি বলেন: তাকে মুক্ত কর, কারণ সে মুমিন”।অভিজ্ঞতাদের পরামর্শ অনুযায়ী এখানে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাঁদির কথা প্রত্যাখ্যান না করে সমর্থন করেছেন, তাই বাদীর কথা তার কথা হিসেবে গণ্য। এটা তার তাকরির বা সমর্থন।